‘আমি পতিতা নই
আমি আমার স্বামীর কথামতো কাজ করি।
আমি মানুষের কাছে ভাড়া খাটি। ’
এ স্বীকারোক্তি গাইবান্ধার বিউটি খাতুনের।
তার স্বামীর নাম আবদুর রাজ্জাক প্রদীপ।
তিনি তার স্ত্রীকে ১০ মিনিট থেকে ঘণ্টা,
এমনকি রাতের জন্য অন্যের কাছে ভাড়া দেন।
বিনিময়ে তিন বেলা ভাত আর কমিশন নেন তিনি।
অভাবনীয় এ ঘটনা ঘটছে গাইবান্ধা শহরেই।
২০১০ সালের প্রথম দিকে বিয়ে করেন প্রদীপ।
বিয়ের পর থেকেই স্ত্রী বিউটি (২০)-কে নিয়ে বাবা-মায়ের সঙ্গে বাস করেন তিনি।
তার নিজের কোন কর্ম নেই।
তাই আবদুর রাজ্জাক আয়-রোজগারের পথ খুঁজতে থাকেন।
অবশেষে স্ত্রীকে ভাড়া দেয়ার মতো অমানবিক সিদ্ধান্ত নেন।
স্ত্রী বিউটি রাজি ছিলেন না। কিন্তু স্বামীর কথা না শুনলে সংসার ছাড়তে হবে। তাছাড়া তার ধারণা- স্বামীর পায়ের নিচে স্ত্রীর বেহেশত।
এই ভ্রান্ত ধারণা ও স্বামীর চাপের কারণে বিউটি বাধ্য হন ভাড়া খাটতে।
স্বামী রাজ্জাক নিজেও খদ্দের ধরে আনেন তার বাড়িতে।
পরে স্ত্রীর কাছে থেকে কমিশন হিসেবে শতকরা ১০ টাকা নেন।
বিউটি বলেন, আমি মানুষের কাছে ভাড়া খাটি।
সে সময় স্বামী আশপাশেই থাকে।
মানুষ সন্তুষ্ট হয়ে হয়তো আমাকে ১০০ টাকা দেয়। পার্টি বড় হলে তার বাড়িতেই যেতে হয়।
তখন রেট একটু বেশি দিতে হয়। তার কথা, এতে কোন পাপ নেই। প্রতি রাতেই এভাবে তার উপার্জন হয় ৩০০ থেকে ৬০০ টাকা।
আর স্বামী আবদুর রাজ্জাককে দিতে হয় ৩০ থেকে ৬০ টাকা। কমিশনের এই টাকায় চলে তার পান-সিগারেট খাওয়া। আর স্ত্রীর উপার্জন থেকে জোটে তিনবেলা খাবার আর কাপড় চোপড়। বছরখানেক আগে থেকে সে ভাড়া খাটলেও তার হাতে কোন টাকা জমা নেই। স্বামীকে না জানিয়ে পানদোকানির কাছে কিছু জমা করছেন নিজের ভবিষ্যতের জন্য।
বিউটি জানান, স্বামীর এমন রুচির কারণে তার প্রতি ঘৃণা ধরে গেছে।
কিন্তু কোথায় যাবে? কে তাকে আর স্ত্রীর মর্যাদা দিয়ে ঘরে তুলে নেবে? আবদুর রাজ্জাক জানায়, আমি বিউটিকে বিয়ে করেছি এক বছর আগে। শুনেছি আগে থেকেই বিউটি খারাপ স্বভাবের। বিউটির শাশুড়ি বিষয়টি মেনে নিতে পারেননি। তাই ছেলে ও ছেলের বউকে আলাদা করে দিয়েছেন সংসার থেকে।
mzamin থেকে নেয়া ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।