এটা কেমন ধরনের ন্যায় বিচার ?
রাজাকার আর মুক্তিযোদ্ধা সবাই এ দেশে সমানাধিকার পাবে কেন ?
আমরা জানি মালয়েশিয়ায় দুই ধরনের নাগরিক রয়েছে। যারা ওখানকার আদীবাসী বা মালয়ী তাদেরকে বলে ভুমিপুত্র। তারা হলো প্রথম শ্রেণীর নাগরিক। আর যারা চীনা বা বহিরাগত পরবর্তিতে মালয়েশিয়ায় গিয়ে স্থায়ী হয়েছে তারা হল দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিক। দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিকরা নিজ নামে ট্রেড লাইসেন্স করতে পারেনা।
একমাত্র প্রথম শ্রেণীর নাগরিকরা তা করতে পারে। ফলে সে দেশে সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠানই প্রথম শ্রেণীর নাগরিকদের । চীনারা বা অন্যান্যরা ব্যবসা করতে চাইলে মালয়ীদের সাথে নিতে হয়। ফলে তারা সব সময় একটা সুবিধা পেয়ে থাকে।
আমি মনে করি আমাদের দেশে তিন শ্রেণীর নাগরিক থাকা উচিত।
০১. মুক্তিযোদ্ধা এবং তাদের সন্তান-সন্ততিগণ
০২. অমুক্তিযোদ্ধা এবং তাদের সন্তান-সন্ততিগণ ও
০৩.রাজাকার,আল-বদর ও তাদের সন্তান সন্ততিগণ।
এবার আসি এই তিন ধরনের নাগরিকের সুবিধা অসুবিধা নিয়ে ।
০১.
বর্তমানে সংবিধান অনুযায়ী যে সকল সুবিধা একজন নাগরিক পায় তার সবই পাবে ০১ নম্বর অর্থাৎ মুক্তিযোদ্ধা এবং তাদের সন্তান সন্ততিগণ।
০২.
দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিকগণ রাজনৈতিক দল গঠন বা রাজনৈতিক কর্মকান্ডে অংশগ্রহণ ছাড়া আর সকল কাজের সুযোগ সুবিধা পাবে।
০৩.
তৃতীয় শ্রেণীর নাগরিকগণ রাজনীতি ও ব্যবসা ছাড়া সকল কাজে অংশগ্রহণ করতে পারবে।
ভোট দেয়া ছাড়া আর কোন রাজনৈতিক কর্মকান্ডে অংশগ্রহণ করতে পারবেনা। নিজের নামে ব্যবসা করতে পারবেনা কারো পার্টনার হতে পারবেনা। তবে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে কর্মচারী-কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে পারবে। এমনকি তারা কোনদিন বিচারকও হতে পারবেনা।
আমি মনে করি, নাগরিকত্বের এই তিন ক্যাটাগরি করে এই ভাবে যদি সুযোগ-সুবিধা বন্টন করা হয় তাহলে কোন রাজাকার কোনদিন মন্ত্রী-এম্পি হতে পারবেনা।
বন্ধুগণ আপ্নারা যদি আমার সাথে একমত হন তাহলে আসুন সবাই মিলে জনমত গঠন করি এর পক্ষে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।