আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

রুমানা মঞ্জুর কে কিছু বলতে চাইলাম , জানিনা পুরুষবাদী হয়ে গেলো কিনা........

টটটটটটটটটটটটটটটটটটটটটটটটটটটটটটটটটটটটটটটটটটটটটটটটটটটটটটটটটটটটটটটটটটটটটটটটটটটটটটটটটটটটটটটটটটটটটটটটটটটটটটটটটটটটটটটটটটটটটটটটটটটটটটটটটটটটটটটটটটটটটটটটটটটটটটটটটটটটটটটটটটটটটটটটটটটটটটটটটটটটটটটটটটটটটট লিখবো কি লিখবো না ভাবছিলাম। একবার কিছু টাইপ করি , তো আবার ব্যাকস্পেস চেপে ধরে মুছে ফেলি। আবার ভাবি নাহ লিখেই ফেলি...... কিন্তু পরক্ষণেই যখন রুমানা মঞ্জুরের চোখ আর নাকে দৃষ্টিঅসহ্য খামচি আর কামড়ের দাগ ভেসে ওঠে মনের পর্দায় তখনি আবার আঙ্গুল থেমে যায়...... এ দৃশ্য যখনি চোখে ভেসে ওঠে তখনি জোর করে অন্য কিছুতে অন্যমনস্ক হতে চাই...... সহ্য হয়না। এমন বীভৎস ভাবে এই মহিলাকে কুকুরের কামড়ের মত করে আঘাত করা হয়েছে - কি বোর্ডের উপর আংগুল গুলো নিস্তেজ হয়ে যায়...... তখন ভাবি - আমার এত সমাজ উদ্ধারক মহান চিন্তাবিদ না হলেও চলবে তবুও ভেতরের কিছু অনুভুতি আমাকে তাড়িত করে , থেমে যেতে চাইলে অস্থির করে তোলে......... তাই শেষ পর্যন্ত ভাবলাম লিখবো , নিজেকে শক্ত করে হলেও লিখবো...... ১৮ বছরের ভালবাসার আর কোন ফুল যাতে কোন কুৎসিত কীটের সাঁড়াশির বিষে বিবর্ণ না হয় , ঝরে না পড়ে- সে কামনা থেকেই লিখবো........ পুরুষের মন নাকি নারীরাই সবচে ভালো বোঝে। আমি জানিনা হাসান সাইদের মন কেমন বুঝেছিলেন রুমানা মঞ্জুর।

৮ বছরের প্রেম আর ১০ বছরের বিয়ে - ১৮ টি বছর এই শরীর মনের রসায়নেই জীবনের স্বাদ নিয়েছেন একসঙ্গে সাইদ-রুমানা যুগল ! এই সেলফোন আর ফেসবুক পোকিং এর যুগে আজ ভালবাসা হয় , তো কাল ভেঙ্গে যায়। আজ বিয়ের কাবিনে সাইন করে , তো ৩ মাসে ডিভোর্সের নোটিশ চলে আসে...... প্রেম ভালবাসা কেমন যেন চুইংগাম চাবানোর মত হয়ে যাচ্ছে...... ২ মিনিট মিষ্টি লাগছে তো মুখে রাখছে , চিবুতে চিবুতে পানসে লাগছে তো 'থু' বলে ফেলে দিচ্ছে , আরেকটা নতুন চুইংগাম মুখে পুড়ছে......... এমনি এক সময়ে সাইদ-রুমানার ভালবাসা টিকে ছিল সুদীর্ঘ ১৮ বছর ! জেলখানায় বসে তাই মাকে বলা সাইদের শেষ কথাটি ছিলঃ রুমানাকে বোলো আমি ভালো আছি...... আমি সাইদের জন্য দুঃখিত নই , নই রুমানার জন্যও , তারা কেউ আমার আত্নিয় নন, সুহৃদ কেউও নন। বরাবরই আবেগ অনুভুতিতে জমাট বরফ করে রাখি নিজের ভেতরটা......... তবুও আমি ভারাক্রান্ত...... আমি ভারাক্রান্ত একটি পরাজয়ে। রুমানা মঞ্জুরের পরাজয়ে। হ্যা , রুমানা মঞ্জুর পরাজিত।

১৮ বছর ধরে যে সাইদকে তিনি অনুভব করতেন ,তাকে হঠাৎ তিনি অনুভব করতে পারেননি........ স্ত্রী হয়েও সাইদের যে দহন টের পাননি রুমানা মঞ্জুর – যে পুরুষ মানুষ তার স্ত্রীর সম্ভ্রমের প্রতি সংবেদনশিল নয় , স্পর্শকাতর নয় , সে আসলে তার স্ত্রীকে ভালোইবাসেনা। মোটেই না। সাইদের ভেতরে তার ১৮ বছরের ভালোবাসার জীবন সঙ্গিনী , অর্ধাঙ্গিনী রুমানার সম্ভ্রমের প্রতি যে সংবেদনশীলতা ছিল , যে স্পর্শকাতরতা ছিল সেটাই ছিল তার ভালোবাসার তরলের তীব্র বহিঃদহন। এই দহনের যন্ত্রনাতেই সাইদ কুকুরের মত হিংস্র হয়ে উঠেছিলো......... রুমানা মঞ্জুর ঠিক এটাই বুঝতে পারলেন না। রুমানার কাছে এমন স্বামীই এখন ভালো যিনি স্ত্রীর প্রতারনা কে যন্ত্রনার অনুভুতি হীন ভাবে মেনে নেবেন।

তেমনটাই যদি তিনি চান তো তাকে এমনই এক স্বামীর উদাহরণ দেইঃ ২০০১-২০০৬ আমলের জ্বালানি মন্ত্রী মোশাররফ হোসেন সাহেব। ইনি দারুন এক ভদ্রলোক ! ভদ্রলোক বলছি কারন স্ত্রীর সাথে তার সামান্য কোন বিবাদ – বিরাগ নেই। শোনা যায় এরশাদ সাহেবের আমলে এই ভদ্রলোক নিজের সুন্দরী স্ত্রী জিনাত মোশাররফকে লম্পট এরশাদের মনোরঞ্জনে ব্যবহার করতেন ! বিনিময়ে এরশাদের আমলে বহাল তবিয়তে ছিলেন সবদিক থেকেই। স্ত্রীর সম্ভ্রমের প্রতি তার ন্যুনতম কোন সংবেদনশীলতা নেই , স্পর্শকাতরতা নেই , স্ত্রীর সম্ভ্রম পরপুরুষের হাতে নষ্ট হতে দেখে তার কোন বিকার নেই , নেই কোন অন্তর্যন্ত্রনা............ বুঝে দেখুন মোশাররফ সাহেব কতটা ভালো একজন স্বামী ! কতই না তার ভালোবাসা স্ত্রীর প্রতি ! এমন একজন ভদ্রলোক স্বামী যদি আপনার থাকতো , তো আজ কানাডার তাহির নাভিদের সাথে শারিরিক-মানসিক অন্তরঙ্গ জীবন নির্বিঘ্ন থাকতো আপনার ! এমন স্বামীই তো আদর্শ , তাইনা রুমানা মঞ্জুর ! এই যে দেখুন পারসোনা কেলেংকারিতে সেই ডাক্তার নারীর স্বামি ইশতিয়াক সাহেব কে ! রাগে ক্ষোভে পাগল হয়ে অকথ্য গালাগালি করতে করতে পারসোনার শুকর ছানা পুরুষ কর্মী গুলোকে মারধোর করছে............ কেন করছে ? কেন এমন উন্মত্ত পাগল হয়ে গেছেন ইশতিয়াক সাহেব ? ঐ যে বললাম একটু আগে......... তার স্ত্রীর সম্ভ্রমের প্রতি তার যে সংবেদনশীলতা , যে স্পর্শকাতরতা সেখানে তিনি আঘাত পেয়েছেন। গুরুতর আঘাত ! সে আঘাত সহ্য করতে পারেননি ইশতিয়াক সাহেব।

তার মনের ভেতরে তার স্ত্রীর সম্ভ্রম-সম্মানের প্রতি যে নরম কোনটি রয়েছে , সেখানে পারসোনার কুলাংগার বদমাইশরা তাকে যন্ত্রনাবিদ্ধ করেছেন , যে যন্ত্রনার অসহনীয়তা থেকে তিনি আত্ননিয়ন্ত্রন হারিয়েছেন , পাগলের মত আক্রম্নাত্নক হয়েছেন। বুঝতে ভুল করলেন রুমানা মঞ্জুর ! এমন একটি মন সাইদের ও ছিল , সে মনটি আপনার জন্যই ছিল। নিজেকে ঠকালেন আপনি , অনুতাপের অযোগ্য ভুল করলেন। পারসোনার সে কেলেংকারির শিকার যদি আপনি হতেন , তো সাইদও সেদিন ইশতিয়াকের মত পাগল হয়ে পারসোনার কুলাঙ্গার গুলোকে পেটাতে যেতো । কেবলই আপনার প্রতি ভালোবাসা থেকে , আপনার সম্ভ্রমের প্রতি স্পর্শকাতরতা থেকে , সংবেদনশীলতা থেকে।

যে স্পর্শকাতরতা প্রতিটি স্ত্রী প্রেমী পুরুষ মানুষের ভেতরেই থাকে......... আপনার জন্মদাতা বাবাকে জিজ্ঞেস করে দেখুন.........আপনার গর্ভধারিনি মায়ের সম্ভ্রমের প্রতি এমন সংবেদনশীলতা আপনার বাবা নামক পুরুষ মানুষটিরও আছে ! এমন সংবেদনশীলতা ছিল বলেই মায়ের , বোনের , স্ত্রীর , কন্যার সম্ভ্রম হারানোর বদলা নিতে এদেশের মানুষ মুক্তিযুদ্ধে গিয়েছিল......... ভেবে দেখুন খোশনুর আলমগির কিংবা গুলতেকিন আহমেদের কথা............ প্রতারক স্বামীর হাতে ৩০ বছরের ভালোবাসার সম্পর্কের সুতোটি যখন কাটা পড়েছিলো তাদের অন্তর্দহন কেমন ছিল......... মানুষ চিনতে ভুল করলেন রুমানা মঞ্জুর ! নিজেই নিজের সম্ভ্রম বিকিয়ে দিলেন ঠাণ্ডা রক্তের ধুর্ত লেডি কিলার তাহির নাভিদের কাছে ! যার কাছে আপনার এই সম্ভ্রমের কোন দামই নেই ! আজ আপনি , তো কাল আর কেউ , পরশু অন্য কেউ – মেয়েদের কে যে চামড়ার রং , চেহারা-ফিগারের জ্যামিতি দেখে মাপে ! অনেকটা আমাদের গ্রামাঞ্চলের সেইসব জানোয়ার গুলোর মত যারা কন্যাদায়গ্রস্ত পিতার অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে বিয়ের অজুহাতে মুম্বাই , হাওড়া আর দিল্লির পতিতা পল্লিতে ভাগ্যবঞ্চিত মেয়েদের বিক্রি করে দেয়......... আপনি ভুল করলেন রুমানা মঞ্জুর......... এই প্লে বয় তাহির নাভিদের কাছে আপনি রসালো আখের কঞ্চি মাত্র ! রস চুষে ছোবড়ার মত ছুড়ে ফেলে দেবে ! আপনার সম্ভ্রমের দাম ছিল কেবল একজনের কাছে। ১৮ বছরের ভালোবাসার স্পর্শকাতর আচ্ছাদনে ছিল , তীব্র ভাবে ছিল , এতটাই তীব্র – যে তীব্রতার দংশনে , বিকৃত ক্রোধে সাইদের ভেতরের মানুষটা মুহুর্তের দুর্ঘটনায় কুকুর হয়ে গিয়েছিলো। এত তীব্রভাবে আপনার সম্ভ্রম নিয়ে আর কেউ কখনো এই পৃথিবীতে ভাববে না। ভাবার মানুষটি চলে গেছে......... খল নায়কের কলঙ্ক মাথায় নিয়ে চলে গেছে........... তাহির আর আপনাকে দিয়ে গেছে নায়ক-নায়িকার গৌরব......... একদিন আপনি বুঝবেন। অনাগত জীবনের কোন একদিন আপনি বুঝবেন , ঠিক জগজিতের মত করেইঃ বুঝিনি তো আমি , পৃথিবীতে ভালোবাসা সবচেয়ে দামী !  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.