রফিকুল ইসলাম ঃঃ___ যে-আশা নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষিকা রুমানা মঞ্জুরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ভারতে নেয়া হয়েছিল সেই আশার প্রদীপ নিভে গেছে। এ সপ্তাহেই দেশে ফিরছেন আশাহত রুমানা। ভারতের পন্ডিচেরির চিকিৎসকরা পরীক্ষা-নীরিক্ষার পর তার পরিবারকে জানিয়ে দিয়েছেন, রুমানা তার দু’ চোখ দিয়ে আর পৃথিবীর আলো দেখতে না-ও পারেন। তবে দু’মাস পর চোখের ফলোআপ চিকিৎসার জন্য রুমানাকে আবারো সেখানে নিয়ে যেতে বলেছেন তারা।
চিকিৎসদের বরাত দিয়ে গতকাল শনিবার রুমানার মামাতো ভাই রাশেদ মাকসুদ বলেন, রুমানা অন্ধ হয়ে গেছেন।
আর কোনোদিন হয়তো তিনি দেখতে পাবেন না। তার কোনো চোখই কাজ করছে না। সর্বশেষ ভরসা ছিল পন্ডিচেরি অরবিন্দ আই হাসপাতালের চিকিৎসক ড. ভেনকি। তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, বাইরে থেকে আলো ফেললেও রুমানার দু চোখের কোনো চোখেরই রেটিনার মাধ্যমে মস্তিষ্ক তা গ্রহণ করতে পারছে না। তাই চিরতরে অন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
এর আগে তাকে চেন্নাইয়ের শংকর নেত্রালয়ে চিকিৎসা দেয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকরা অরিবিন্দ আই হাসপাতালের ড. ভেনকিকে দেখানোর পরমর্শ দেন। শংকর নেত্রালয়ের চিকিৎসকরা বলেছিলেন, হয়তো রুমানার একটি চোখ বাঁচানো যেতে পারে। এরপর শুক্রবার ড. ভেনকি’র সঙ্গে যোগাযোগ করে তাকে দেখানো হলে তিনি এই নৈরাশ্যজনক তথ্যটি দেনÑ রুমানা হয়তো আর কোনোদিনই দেখতে পাবে না। রাশেদ মাকসুদ আরো জানান, রুমানাকে আগামী সোম অথবা মঙ্গলবার দেশে ফিরিয়ে আনা হচ্ছে।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের ডিসি (দক্ষিণ) মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, বলেছেন, শিক্ষিকা রুমানার স্বামী হাসান সাইদকে জিজ্ঞাসাবাদ অব্যাহত রয়েছে। আজ তার ২ দিনের পুলিশ রিমান্ড শেষ হবে। তাকে ফের পুলিশ রিমান্ডে আনতে আদালতে আবেদন করা হবে। তিনি বলেন, হাসান সাইদ বুয়েট থেকে পাস না-করলেও স্ত্রীকে বলেছিলেন, তিনি পাস করেছেন। মিথ্যা তথ্য দিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে প্রতারণার বিষয়টি সাইদ স্বীকার করেছেন।
তাছাড়া তিনি যে চোখে কম দেখেন, বিয়ের আগে এ বিষয়টিও গোপন রেখেছিলেন রুমানার কাছে। স্বীকার করেছেন এ-কথাও।
পুলিশ জানায়, হাসান সাইদ স্ত্রীকে সব সময় সন্দেহ করতেন। শেয়ার ব্যবসায় লোকসান, পারিবারিক ব্যর্থতা এবং নিজের দৃষ্টিপ্রতিবন্ধিতা নিয়ে তার মধ্যে হতাশা ছিল। অনিশ্চিত জীবনের প্রতি অতিষ্ঠ হয়েই তিনি স্ত্রীকে নির্যাতন করেন।
হাসান সাঈদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী রুমানার পরকীয়া ও ইরানি বয়ফ্রেন্ডের বিষয়ে তদন্ত করা হচ্ছে বলেও জানায় গোয়েন্দা পুুলিশ। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।