যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের জন্য গণজোয়ার সৃষ্টি করতে হবে। আইন প্রতিমন্ত্রীর ঘোষণা। অন্যদিকে একটি পেপারে দেখলাম মাননীয় প্রধাণমন্ত্রী ৬৪ জেলা সফর করবেন যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের জন্য জনমত সৃষ্টির উদ্দেশ্যে। আমার কথা হলো, যুদ্ধাপরাধীর বিচার এবং যথাযথ শাস্তি হোক। কিন্তু আইন মন্ত্রী বলছেন যারা যুদ্ধাপরাধীকে রক্ষার কথা বলবে তাদেরও বিচার হবে।
এটা তো গণতন্ত্রের কথা নয়। তাই এ জন্য আইনমন্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা হওয়া উচিত। কারণ একপক্ষ বিচারের জন্য জনমত সৃষ্টি করার অধিকার যদি রাখে তবে অন্যপক্ষ নিজেকে নিরাপরাধী প্রমাণের চেষ্টা কেন করতে পারবে না? বিশেষ করে দীর্ঘকাল অপরাধের কোন প্রমাণ ছাড়াই যাদেরকে জেল খাটানো হচ্ছে। দ্বিতীয়ত: ৪০ বছর ধরে তাদের কোন অপরাধ তাদের শত্র“রাও দেখাতে ব্যর্থ। অতএব ধরে নেয়া যায় ৪০ বছর পূর্বেও তারা নিরাপরাধী ছিল।
তবে এটা সত্য যে, পাকিস্তান যখন একটি দেশ ছিল তখন বিভিন্ন দলের বিভিন্ন মত থাকা স্বাভবিক। এছাড়া শুধুমাত্র ইসলামী দলের নেতা হবার কারণে কতিপয় কমুনিষ্ট যারা নাস্তিক হিসেবে পরিচিত তারা তাদের চিরশত্র“ ইসলাম ও ইসলামী দলের নেতাদের নিশ্চিহ্ণ করতে চায়। কতিপয়ের ইচ্ছাকে সরকারের ঘাড়ে চেপে জনসাধারণের ইচ্ছা হিসেবে প্রমাণ করতে তারা সকল শক্তি নিয়োগ করেছে। মনে হয় দেশের জনগণ তা বোঝে। তবে এ সব করে ইসলামকে নির্মূল করা কি সম্ভব হবে! তাদের আদর্শ সোভিয়েট রাশিয়া ৭০ বছর ধরে ইসলামকে ধংস করার চেষ্টা করেছে, ৭০ বছর পর দেখা গেল ছয় ছয়টি ইসলামী রাষ্ট্র মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে।
এ ইসলাম ছিল কোথায়? মিশরে ইখওনুল মুসলিমুনের নেতাদের ফাঁসী দেয়া হয়েছিল। এত বছর পরে এসে সেখানে ইখওনকে নায়কের আসনে দেখা যাচ্ছে। আসলে শহীদের রক্ত যেন রক্ত নয়, জীবন্ত বীজ যা থেকে লক্ষ-কোটি শহিদী তামান্নায় জীবন্ত মানুষের সৃষ্টি হয়। আমি ক্ষমতাবানদেরকে সত্যিকার গণতান্ত্রিক হবার জন্য বিনীত অনুরোধ করি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।