মানুষ আর প্রাণীর মধ্যে পার্থক্য হলো-চেতনাগত ও সংস্কৃতিগত।
বর্তমান মহাজোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর তারা বলেছিলেন যে, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের কাজ সর্বপ্রথম শুরু হবে। কিন্তু ৬ মাস অতিবাহিত হওয়ার পরেও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়নি। এ বিষয়ে মহাজোট সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রি বিভিন্ন সময়ে বক্তব্য দিয়েছেন। এমনকি প্রধানমন্ত্রিও বার বার বলেছেন খুব শীঘ্রই যুদ্ধাপরাধীর বিচারের কাজ শুরু হবে।
মহাজোট সরকারের মাননীয় আইনমন্ত্রি বলেন-খুব শীঘ্রই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু হবে। সরকার ক্ষমতায় আসার পর বিডিআর হত্যাকাণ্ড,বসুন্ধরার অগ্নিকাণ্ড,অর্থনৈতিক বিশ্বমন্দা ও আসুলিয়ায় শ্রমিক হত্যা এবং বিএনপি জামাত- জোট সরকারের যাওয়া আইন ও প্রশাসনের কারণে আমরা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কার্য শুরু করতে পারিনি। প্রচলিত আইনে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সম্ভব নয়। তাই আইন সংশোধন করে যুদ্ধাপরাধী বিচারের আইন পাশ করেছি। যুদ্ধাপরাধী বিচারের জন্য অর্থ প্রয়োজন।
২০০৯-২০১০ সালের বাজেটে যুদ্ধাপরাধী বিচারের জন্য অর্থ বরাদ্দ রাখা হয়েছে। সরকার খুব শীঘ্রই যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের কাজ শুরু করবে। আন্তর্জাতিক সহযোগিতা পাব। এই বছরের মধ্যেই বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের ও যুদ্ধাপরাধীর বিচার কার্য শুরু করবে সরকার।
যুদ্ধাপরাধী বিচার প্রসঙ্গে বিচারপতি গোলাম রাব্বানী বলেন- মহাজোট সরকারের মহাবিজয়ের অন্যতম কারণ যুদ্ধাপরাদের বিচার।
তরুণ প্রজন্ম এজন্যই মহাজোটকে ভোট দিয়েছে। এদেশের গণতান্ত্রিক-প্রগতিশীল মানুষও যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের জন্যই তাদেরকে নির্বাচিত কারেছে। এদেশের সকল মানুষ যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চায়। সেক্টর কমান্ডার ফোরাম ইতোমধ্য সাংবাদিক সম্মেলন করে বলেছে যে, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের ব্যপারে সরকার উদাসীন। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিয়ে প্রয়োজনে শক্তিশালী আন্দোলন গড়ে তুলবো।
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক –মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখন সময়ের দাবী। যত দ্রুত সম্ভব যুদ্ধারাধীদের বিচারের কাজ শুরু করুন। জনগণ কোনো ধরনের ওযুহাত শুনতে রাজি নয়।
কিন্তু প্রশ্ন হলো আদৌ কি যুদ্ধাপরাধীর বিচার এই বাংলার মাটিতে হবে? আওয়ামীলীগ কি এ বিচার মনে প্রাণে চাই? যদি চায়, তাহলে হচ্ছে না কেন? সমস্যা কোথায়? না কি শেষ পর্যন্ত আর একটা মুক্তিবাহিনী ও একটা স্বাধীনতাযুদ্ধ প্রয়োজন হবে? যদি হয়, তাহলে সেই যুদ্ধের আমি একজন যোদ্ধা। আপনি কি আমার সহযোদ্ধা হবেন?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।