অন্ধ বিশ্বাস নয় বরং যুক্তিতে বিশ্বস্ত মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে বাঙলাদেশটা কিছুকালের জন্য হলেও মুসলমানের দেশ হয়ে গিয়েছিল। হিন্দুরাও সালাম-পাঁচ কলেমা মুখস্থ-ঠোঁটস্থ-কন্ঠস্থ করে ফেলেছিল। আর মুসলমানেরা নিজের লুঙ্গীর ভিতরে হাত ঢুকিয়ে বারবার দেখত তাদের মুসলানিত্বের প্রমাণ “কাটা চামড়াটুকু” আবার পূরণ হয়ে যায়নিতো! আমি মুক্তিযুদ্ধ দেখিনি। তবে যুদ্ধের ইতিহাস পড়ে, গল্প শুনে বোঝার চেষ্টা করেছিলাম, যুদ্ধটা কেমন ছিল। কিন্তু পারিনি।
কারণ বই পড়ে কী আর সে
ই সময়ের বাস্তবতা উপলব্ধি করা যায়? তবে একদিন এক বৃদ্ধের সাথে যুদ্ধের ইতিহাস নিয়ে কথা বললে বলতে যখন দেখলাম, তাঁর চোখ দুটো অনেক বড় বড় হয়ে গেল, শরীরের লোমগুলো কাশবনের রুপ পরিবর্তন করে কোন বাহিণীর সিপাইয়ের মত হয়ে গেল; ঠিক তখনি কিছুটা বুঝেছিলাম- যুদ্ধটা ছিল ভয়াংকর। যেদিন এক বৃদ্ধা হয়তবা সন্তান কিংবা স্বামী হারানোর কথা মনে পড়ায় অথবা নিজেই ধর্ষিত হবার করুণ-অসহায় স্মৃতি ভেসে ওঠায় তাঁর যুদ্ধকালীন স্মৃতিচারণ বন্ধ করে ঢুকরে কেঁদে বলেছিল- “আর কইতে পারুম না বাজান”। সেদিন উপলব্ধি করতে পেরেছিলাম, যুদ্ধটা ছিল বেদনা বিধুর, নির্মম। যা যুগ যুগ হৃদয়ে ক্ষত সৃষ্টি করতে সক্ষম।
তাই মাঝে মধ্যে চিৎকার করে বাঙলাদেশকে বলতে ইচ্ছে করে- বাঙলাদেশ তুমি কেমন ছিলে সেই সময়, যখন তোমার বুকের সাথে মিশে মানুষগুলো অসহায় মৃত্যু বরণ করত? যখন তাদেঁর জীবন চলে যাবার বাতাসে তোমার ধুলি উড়ত? যখন নারীদের লজ্জাস্থান থেকে ফোটা ফোটা রক্ত তোমার বুকে পড়ত? এখন কেমন আছ বাঙলাদেশ? আজো তোমার বুক থেকে সকল সম্ভাবনাগুলোকে খুটে খুটে খাচ্ছে একদল শকুন।
তাহলে কি বাঙলাদেশ, তুমি ভাল অথবা মন্দ থাকার বাইরে চলে গেছ?
এই বিজয়ের মাসে এক যুদ্ধাপরাধীর ফাঁসী দেখতে মনটা আকুল হয়ে আছে। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।