আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কমেছে চালের দাম

রাজধানীর বাজারে চালের দাম আরও কমেছে। কমেছে পেঁয়াজের দামও। এদিকে, সবজির দাম সহনীয় তবে স্থিতিশীল রয়েছে ডাল, মসলা ও মাংসের বাজার। সামান্য বেড়েছে আটা ও ময়দার দাম। খুচরা বাজারে প্রতিকেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২৪ থেকে ২৮ টাকায়।

আর ভারতীয় মোটা পেঁয়াজ ২০ থেকে ২২ টাকায়। চালের বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রতিবস্তা (৫০ কেজির) ভালো মানের মিনিকেট চাল গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ২ হাজার ১০০ থেকে ২ হাজার ১৫০ টাকায়। গতকাল বিক্রি হয়েছে ২ হাজার থেকে ২ হাজার ২০ টাকায়। একই হারে পাইকারি বাজারে দাম কমেছে নাজিরশাইল, পাইজাম, লতা, বিআর-২৮ ও স্বর্ণা চালের। এর প্রভাবে খুচরা বাজারেও কেজিতে ২ টাকা কমেছে।

খুচরা বাজারে ভালো মানের মিনিকেট বিক্রি হচ্ছে ৪৪ থেকে ৪৬ টাকায়। গত সপ্তাহে এর দাম ছিল ৪৬ থেকে ৪৮ টাকা। এ ছাড়া বর্তমানে প্রতিকেজি পারিজা ৩৫ থেকে ৩৭ টাকায়, বিআর-২৮ চাল ৩২ থেকে ৩৬ টাকায় এবং স্বর্ণা মোটা চাল ৩০ থেকে ৩২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ভালো মানের নাজিরশাইল বিক্রি হচ্ছে ৫২ থেকে ৫৪ টাকায়। চালের দাম কমা প্রসঙ্গে কারওয়ানবাজারের খাতুন রাইস এজেন্সির মালিক লতিফুর রহমান বলেন, বাজারে এখন নতুন চাল আসছে প্রচুর।

এ কারণে নতুন চালের পাশাপাশি কমছে পুরনো চালের দামও। পাইকারি ব্যবসায়ীরা জানান, মিল মালিকরা এখন চাল দেওয়ার জন্য মুখিয়ে রয়েছেন। মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটের পাইকারি ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম বলেন, এক সময় আমরা মিল মালিকদের কাছে চাল চেয়ে পেতাম না। অগ্রিম টাকা দিয়েও সময়মতো চাল পাওয়া যেত না। এখন না চাইতেই তারা চাল পাঠিয়ে দিচ্ছেন।

সরবরাহ প্রচুর থাকায় চাল এখন ক্রেতার নাগালের মধ্যে। মাছের বাজার কিছুটা চড়া থাকলেও মাংসের বাজার রয়েছে স্থিতিশীল। বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সব মাছের দাম কেজিতে ৫০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। রুই বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ৩০০ টাকায়, কাতল ২২০ থেকে ৩২০ টাকায়, কৈ ১৫০ থেকে ২৫০ টাকায় (ফার্মের), শিং ৫০০ থেকে ৬০০ টাকায় এবং গলদা চিংড়ি ৪০০ থেকে ৫৫০ টাকায়। ৭০০ থেকে ৮০০ গ্রাম ওজনের এক হালি ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১৫শ’ থেকে ২ হাজার টাকায়।

এক কেজির একটি ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৮০০ থেকে ৯০০ টাকায়। প্রতিকেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ২৭০ থেকে ২৮০ টাকায় এবং খাসির ৪৭০ থেকে ৪৮০ টাকায়। প্রতিকেজি দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩২০ থেকে ৩৪০ টাকা এবং ব্রয়লার ১১০ থেকে ১১৫ টাকায়। কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা যায়, শীতকালীন সবজি এখন খুবই সস্তা। অধিকাংশ সবজির কেজিই ৩০ টাকার নিচে।

গতকাল রাজধানীর বাজারগুলোয় প্রতিকেজি বেগুন বিক্রি হয়েছে ২০ থেকে ২৫ টাকায়। অন্যান্য সবজির মধ্যে প্রতিকেজি পটোল ২৫ টাকা, করলা ৩০ টাকা, বরবটি ৩০, মুলা ৮ থেকে ১০, কচুরলতি ২৮, শসা ২০, পেঁপে ১০ থেকে ১২, কচুরমুখি ২৫, ঝিঙে-ধুন্দুল ২৫ থেকে ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া শিম বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ২২ টাকায়। পুরনো আলু ১৪ থেকে ১৬ টাকায় বিক্রি হলেও নতুন আলু বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকায়। ব্যবসায়ীরা জানান, বর্তমান বাজারে প্রতিকেজি খোলা আটা বিক্রি হচ্ছে ৩২ থেকে ৩৪ টাকায়, যা গত সপ্তাহে বিক্রি হয় ২৮ থেকে ৩০ টাকায়।

আর প্যাকেটজাত আটা বিক্রি হচ্ছে ৩৮ থেকে ৪০ টাকায়। খোলা ময়দা বিক্রি হচ্ছে ৩২ থেকে ৩৪ টাকায় এবং প্যাকেটজাত ময়দা বিক্রি হচ্ছে ৪৪ থেকে ৪৬ টাকায়। ।


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।