যুদ্ধাপরাধীর বিচার ও জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবী করছি দেশের বাইরে আছি এক যুগের উপরে - কিন্তু দেশ আমাকে ছাড়ে না। বিশেষ করে ক্রিকেট খেলার কারনে কোন না কোন ভাবে দেশের সাথে এক হয়ে যাই।
আগে পাকিস্তানীরা ছিলো অগ্রগামী বিশেষ করে যখন বাংলাদেশের টিম হারতো - পাকিস্তানী সহকর্মীরা এক একজন স্যার ব্রডম্যান হয়ে বাংলাদেশরে ক্রিকেটের জন্যে উপদেশ দিতো। আমরা যদি বলতাম তোমাদের হারিয়েইতো আমরা টেস্ট স্টেটাস পেলাম! উত্তর পেতাম এমন যে ঐ ম্যাচটাতো ছিলো ভাই ভাই ম্যাচ। ভাব এমন ছিলো যে - ওরা ম্যাচটা ইচ্ছা করেই ছেড়ে দিয়ে বাংলাদেশকে বিরাট একটা দান করেছে।
তবে সাম্প্রতিক কালে পাকিস্তানীরা একটু চুপচাপ থাকে। আমাদের সাথে কোন বিষয়ে আগ বাড়িয়ে জ্ঞান-গর্ভ আলোচনায় আসে না। ওরা বাংলাদেশের টাকা আর পাকিস্তানী রুপীর মান নিয়ে খুবই বিব্রত। আর আমরাও বেঁচে গেছি ফালতু উপদেশ থেকে।
এখন ঝামেলা করছে ভারতীয়রা।
কথা কথায় বাংলাদেশের ক্রিকেট নিয়ে জ্ঞান দিতে ওদের উৎসাহের অভাব নেই। ওদের ফালতু জ্ঞানে দান ঠেকাতে কিছু পরিসংখ্যান যোগাড় করেছি - যা বলা মাত্রই ওরা চুপ মেরে যায়।
হয়তো কারো দরকার হতে পারে - তাই পরিসংখ্যানগুলো নীচে দিয়ে দিলামbr />
১) ১৯৭২ সালে ভারতে ক্রিকেট খেলা শুরু হয়।
২) ১৯৩২ সালে প্রথম ভারতীয় টিম (কলকাতা ক্রিকেট ক্লাব - যাতে বেশীর ভাগ খেলোয়ার ছিলো ইংরেজ) টেস্ট খেলে।
৩) ১৯৪৭ সালে ভারত স্বাধীন হলে নিজেদের টিম হয়।
৪) ১৯৫২ সালে ভারতের মাটিতে ভারত প্রথম টেস্ট ম্যাচ জিতে।
৫) ১৯৬২ সালে দেশের মাটিতে টেস্ট সিরিজ জিতে।
৬) ১৯৬৭ সালে দেশের বাইরে প্রথম টেস্ট জয়ী হয় নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে।
৭) ভারত হচ্ছে ৪র্থ টেস্ট খেলার দেশ - যদিও এখনও ভারত হেট-টু-হেডে এগিয়ে আছে নিউজিল্যান্ড, শ্রীলংকা, জিম্বাবুয়ে আর বাংলাদেশের বিরুদ্ধে। আর বাকী দেশগুলো জয়ের পাল্লা ভারতে চেয়ে এগিয়ে।
দেখা যাচ্ছে ভারতের স্বাধীনতার পর খেলা শুরু ধরলে প্রথম নিজের মাটিতে টেস্ট জিততে লেগেছে ১৫ বছর আর বিদেশের মাটিতে জিততে লেগেছে ২০ বছর।
অন্যদিকে বাংলাদেশ ১১ বছর টেস্ট খেললেও ইতোমধ্যে টেস্ট জিতে রেখেছে দেশের মাটিতে। (জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে)
তারপরের প্রশ্ন ভারত ১১ বছরে বাংলাদেশকে কেন একবারও ভারতের মাটিতে খেলতে আমন্ত্রন জানায়নি?
এই প্রশ্নের পর ভারতীয়রা চুপ মেরে যায়।
(২)
পাকিস্তানের বিরুদ্ধে টেস্ট শুরু হচ্ছে কিছুক্ষনের মধ্যেই। এই সময়ে মুলতান টেস্টের কথা মনে পড়ছে - রফিক,রাজিন সালেহ আর পাইলটের দুর্দান্ত পারফর্মমেন্স আর আম্পায়ার অশোকা ডি সিলভার কারনে একটা ইতিহাস হতে গিয়েও হয়নি।
এবার কি পারবে বাংলাদেশ টিম একটা ইতিহাস গড়তে। খুব একটা আশাবাদী না আমি। কারন আশরাফুলের টিমে ডেকে নেওয়া মানে হলো বাংলাদেশ টিম এখণও তৈলাক্ত বাঁশে বানরের উপরে উঠর মতো এগুচ্ছে। যদি সত্যই টিম আগাতো - তবে আশরাফুলের দরকার হতো না।
তারপরও আছি - দেশের টিমের সাথে।
আশায় বুক বাঁধি বারবার। হেরে গেলে আগে কষ্ট পেতাম - এখন আর পাই না। অপেক্ষা করি পরের খেলার। একদিন না একদিনতো আমাদের দিন হবেই। ইনশাল্লাহ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।