এই শহরে আমি এক নতুন চোর। সাবধান.... ! গত ২৩ নভেম্বর বুধবার বাংলাদেশ শিশু একাডেমী মিলানায়তনে "যৌনকর্মীদের অধিকার ও আইনি সহায়তা" শীর্ষক জাতীয় সম্মেলনে ওই যৌনকর্মী এ কথা বলেন। যৌনকর্মীদের সংগঠন দুর্জয় নারী সংঘ এবং এর নেটওয়ার্কের সদস্য সংগঠন এবং বাংলাদেশ উইমেন্স হেলথ কোয়ালিশন এই সম্মেলনের আয়োজন করে।
এসময় মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মেহের আফরোজ চুমকি যৌনকর্মীদের আইনি স্বীকৃতির বিষয় জোর দেন।
সাংসদ তারানা হালিম বলেন, রাষ্ট্র যৌনকর্মীদের মিথ্যা বলতে বাধ্য করছে।
শুধু মায়ের পরিচয়েই সন্তানকে স্কুলে ভর্তি করা নিশ্চিত করতে হবে। তিনি বলেন , তিনি যৌনকর্মীদের অধিকার নিয়ে সংসদে কথা বলবেন।
দিনভর এই সম্মেলনে ১২টি যৌনপল্লি , হিজড়াদের পাচঁটি সংগঠনসহ ১৭টি ভাসমান যৌনকর্মী সংগঠনের প্রায় ৭০০ যৌনকর্মী ও তাদের ছেলেমেয়ে ছাড়াও সাংসদ,সরকারি কর্মকর্তা এবং জাতিসংঘের বিভিন্ন অঙ্গসংস্থার প্রতিনিধিরা অংশ নেন। সম্মেলনে বলা হয় , দেশে নারী যৌনকর্মীর সংখ্যা ৭৪ হজার ৩০০। এর মধ্যে ভাসমান যৌনকর্মীর সংখ্যা ৩০ হাজার ৭০০।
সম্মেলনের দ্বীতীয় অধিবেশনে বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট, এফএইচআই ৩৬০, অ্যাশনএইড বাংলাদেশ, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন, সেভ দ্য চিলড্রেন এবং সম্মেলন আয়োজক সংস্থার প্রতিনিধিরা যৌনকর্মীদের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে আলোচনা করেন।
আলোচনার এক ফাঁকে মিলনায়তনের বাইরে সচেতন শিল্পী সংঘের প্রেসিডেন্ট ইভান আহমেদ বলেন " যৌনকর্মীদের চেয়েও হিজড়াদের অবস্থা খারাপ। সন্তান সমকামী পুরুষ অথবা যৌনকর্মী হলেও বাবা-মা তাদেরকে সন্তান হিসাবেই মেনে নেন। কিন্তিু হিজড়াদের বেলায় বাবা-মাও সন্তান হিসাবে স্বীকৃতি তেন না।
সেক্স ওয়ার্কার্স নেটওয়ার্ক অব বাংলাদেশের সেক্রেটারি হেনা আক্তার বলেন, "একজন খদ্দেরর জায়গায় ১০জন আইস্যা ধর্ষণ করলেও বিচার পাই না।
বিচার চাইতে গেলে গালি দেয়। "
সম্মেলনে শুরুতে সেক্স ওয়ার্কার্স নেটওয়ার্ক অব বাংলাদেশর সভাপতি জয়া শিকদার নেটওয়ার্কের কাজ নিয়ে আলোচনা করেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।