যৌনকর্মীদের পুজার অনুমতি কেন দেয়া যাবে না- এ প্রশ্ন তুলেছে এবার কলকাতা হাইকোর্ট। আগামী মঙ্গলবারের মধ্যে পুলিশকে এ ব্যাপারে জবাবও দিতে বলেছেন আদালত। যৌনকর্মীদের সংগঠন দুর্বার মহিলা সমন্বয় কমিটির এক রিট পিটিশনের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার বিচারপতি সঞ্জীব বন্দোপাধ্যায় এ নির্দেশ দেন। ১৭ অক্টোবর পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য্য করা হয়েছে।
সোনাগাছিতে পুজা করতে চেয়ে বড়তলা থানায় আবেদন করেছিল দুর্বার মহিলা সমন্বয় কমিটি।
থানা দেয়নি অনুমতি। বাধ্য হয়ে আদালতের দারস্থ হতে হয়। এ নিয়ে সোমবার হাইকোর্টে রিট পিটিশন দাখিল করেন আইনজীবী অনিন্দ্য লাহিড়ি। বৃহস্পতিবার শুনানির দিনও রাজ্য সরকারের আইনজীবী যৌনকর্মীদের পুজার অনুমতি দেয়ার বিরোধিতা করেন। যুক্তি হিসেবে দাড় করান, ঘিঞ্জি জায়গায় পুজার অনুমতি দিলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করা সম্ভব হবে না।
প্রতিউত্তরে অনিন্দ্য লাহিড়ি বলেন, অবিনাশ কবিরাজ স্ট্রিটের যে অংশে পুজা করার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে, সেখানে এর আগে সুবিশাল মঞ্চ গড়ে গণেশ পুজা হয়েছে। তাহলে এবার মাত্র ১৫০ বর্গফুটের একটি মণ্ডপ তৈরি করতে কেন অনুমতি দেয়া যাবে না? দুর্বারের তরফে গণেশপুজার ছবির একটি কপিও আদালতের হাতে তুলে দেওয়া হয়। হাইকোর্ট তখন রাজ্য সরকারের আইনজীবীকে একই প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেন। বিচারপতি মঙ্গলবারের মধ্যে কলকাতা পুলিশকে এ সংক্রান্ত রিপোর্ট জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন।
দুর্বারের সচিব ভারতী দে আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, আমরা সমস্ত নিয়মকানুন মেনেই পুজা করতে চেয়েছি।
এর সঙ্গে কয়েক হাজার যৌনকর্মীর আবেগ জড়িত। তাদেরও তো ধর্ম আছে। তারাও তো মানুষ। মাত্র ১৫০ বর্গফুট জায়গা চেয়েছি। এর জন্য হাঁটাচলা, যান চলাচল কোনো কিছুই ব্যাহত হবে না।
আশা করি হাইকোর্ট আমাদের পক্ষেই রায় দেবেন। সূত্র: ওয়েবসাইট।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।