আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আপুদের জন্য রেড সিগন্যাল

নিজে শিখি ও অপরকে জানাই ক্লাসে স্যার এর কাছে শুনেছিলাম যে, বিখ্যাত মুষ্টিযোদ্ধা মুহাম্মাদ আলি ক্লে একদিন এক হোটেলে খেতে গেলেন কিন্তু তিনি কৃষ্ণাঙ্গ হওয়ায় তাকে সেখানে ডুকতে দেয়া হলনা । তিনি অপমানিত হয়ে চিন্তা করতে লাগলেন কিভাবে শ্বেতাঙ্গদের পিটান যায় কোন ঝামেলা ছাড়াই? হ্যাঁ, তিনি পেয়েও গেলেন শ্বেতাঙ্গদের বৈধভাবে পিটানর রাস্তা !!! বুঝতেই পারছেন সেই থেকে তার মুষ্টিযোদ্ধা হয়ে উঠা । গ্ল্যাডিয়েটরদের সমন্ধে যারা জানেন বা হলিউডের গ্ল্যাডিয়েটর মুভিটা যারা দেখেছেন তারা জানেন, প্রাচীন রোমে, গ্রীসে দাসদের সাথে দাসদের মারামারি লাগিয়ে দিয়ে রাজারা তা উপভোগ করত আনন্দদায়ক হিসেবে । অথচ সেটা ছিল জীবন –মরনের খেলা । যেখানে বাকি সবাইকে মেরে একজন টিকে থাকতে পারে বা সেও মারা যেতে পারে ।

সেই সুপ্রাচীনকাল থেকেই মানুষের মাঝে এমন অনেক বিকৃত রুচি, অভ্যাস, প্রথার প্রচলন খুঁজে পাওয়া যায় । এযুগেও তাদের সুযোগ্য উত্তরাধিকারীদের নমুনা খুঁজে পাওয়া কঠিন কিছু নয় । মানুষ যখনি তার সৃষ্টিকর্তাকে ভুলে যায়, ভুলে যায় মরনের পর আরেক জীবন আছে যেখানে তাকে তার প্রভুর সামনে জবাবদিহি করতে হবে তার দুনিয়ার জীবনের কৃতকর্মের , তখনি মানুষের মনে এমন লালসা জাগে যা তার কাছে শোভনীয় মনে হলেও বস্তুত তা রুচির পরিপন্থী । মানুষ বস্তুবাদের জাঁতাকলে নিষ্পেষিত হয়ে ধর্মকে আফিম মনে করে একে বাদ দিয়ে ধর্মবিরোধী জীবন যাপনে অভ্যাস্ত হয়ে উঠছে । ফলে এমন এক কুলাঙ্গার শ্রেণীর উদ্ভব হচ্ছে যারা নৈতিকতার ধার ধারেনা, নগ্ন, পাশবিক ক্রিয়াকলাপই তাদের নৈমিত্তিক কাজ ।

এরা শুধু নিজেরাই নষ্ট হচ্ছেনা বরং এদের দ্বারা যারা ভালো আছে তারাও নষ্টের স্বীকার হচ্ছে বা তাদের নষ্টামির ফাঁদে পড়ছে । বিশেষ করে নারীরা এদের প্রধান শিকার । নানাভাবে এরা নারীর চরিত্রহননে উঠে পরে লেগেছে । কেননা, নারীকে লাগামহীন করে দেয়া মানেই পাশবিকতাকে উস্কে দেয়া, জাতিকে ধ্বংসের মুখে নিক্ষেপ করা । তাদের ষড়যন্ত্র নারীর চারপাশ ঘিরেই ।

তাই তাদেরকে সচেতন হতে হবে যারা তাদের সম্ভ্রমকে বিকিয়ে দিতে আগ্রহী নন । আসুন কিছু নমুনা দেখি যেখানে আপনাদেরকে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে । ১- আপনি কোন মার্কেটে গেছেন হতে পারে তা বসুন্ধরা সিটি বা এশিয়ান শপিং মল বা প্রিন্স প্লাজা বা রাইফেলস স্কয়ার । কোন পোশাক পছন্দ হল আর আপনি তা পরখ করতে চেঞ্জিং বা ট্রায়াল রুমে গেলেন । শিকারিরা কিন্তু এটা জানে তাই তারা এখানে ফাঁদ স্বরূপ গোপন ক্যামেরা ফিট করে রাখে ।

এর থেকে বাঁচতে আপনাকে যা করতে হবে তাহল আপনার মোবাইলটা দিয়ে পরিচিত কাউকে কল দিতে হবে যদি কল যায় তবে ঝামেলা নাই কিন্তু না গেলেই বুঝবেন ঝামেলা আছে মানে গোপন ক্যামেরা ফিট আছে । তো যত দ্রুত পারেন কেটে পড়েন এখান থেকে, অপরকে জানান ব্যাপারটা , দোকানীকে নয় এতে ঝামেলা বাড়তে পারে । ২- ভুলেও কোন ভি আই পি হলের বা সেমিনারের বা হোটেলের বেসিনে হাত-মুখ ধুতে গিয়ে বেশি খোলামেলা হবেন না । কেননা, গ্লাসেও অনেক সময় ব্যাপার-স্যাপার থাকে । কেননা, এখানে দ্বিমুখী আয়না ফিট করা থাকতে পারে ।

গ্লাসে আপনার আঙ্গুল রাখলে যদি প্রতিচ্ছবি ও আপনার আঙ্গুলের মাঝে একটু ফাক থাকে বুঝবেন গ্রিন সিগন্যাল আর যদি প্রতিচ্ছবিকে আপনার আঙ্গুল সরাসরি স্পর্শ করে তাহলে রেড সিগন্যাল। আর টয়লেটের কথা কি বলব? সেখানে শতভাগ সতর্কতা অবলম্বন করবেন । ৩- একই কথা বাথরুমের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য । হতে পারে তা আপনার বান্ধবির বাসা বা কোন অভিজাত হোটেল । পরিচিতরাই কিন্তু সর্বাধিক ক্ষতি করে থাকে আপনার জীবনের দুর্বল ক্ষন গুলি তাদের জানা থাকে বলে ।

মোহিত কামালের বই পড়লে আরেকটু ধারনা পাবেন। ঝর্নার মুখেও বা মাঝেও ক্যামেরা ফিট করা থাকে একটু নযর করলেই দেখতে পাবেন । তাই কষ্ট হলেও একটু দেখে নিন । ৪- অনেক ক্ষেত্রে বেডরুমে ডেস্ক ল্যাম্পের মাঝেও গোপন ক্যামেরার সংযোগ থাকে । তাই , এখানেও সতর্ক থাকুন ।

৫- সামাজিক সাইট গুলোতে অনেক মেয়েরাই জড়িত আছেন । তারা অহরহ নিজেদের ছবি সেসব সাইটে আপলোড করে থাকেন । আপনারা জানেন কি আপনার ফেস কেটে নিয়ে ফটোশপের দ্বারা তা কোন নগ্ন ছবিতে যুক্ত করা যায়? হ্যাঁ, এরকম চক্রও আছে যারা অবলীলায় এই জঘন্য কাজটি করে থাকে । তাই, সতর্কতা আবারও । পরিশেষে যে কথা না বললেই নয়, আপুমনিরা নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন যে আপনাদের শরীর হেলাফেলার বিষয় নয় বরং এক ধরনের হাতিয়ার যার অপব্যবহার করে দুর্বৃত্তরা আপনাকে, আপনার পরিবারকে, সমাজকে, দেশকে ধ্বংসের দিকে ধাবিত করে ।

তাই, একান্ত অনুরোধ, সতর্কতাকে আপনার চাদর বানিয়ে নিন । সর্বোপরি, আল্লাহকে ভয় করে চলুন । ভাইদের কাছে অনুরোধ আপনারা বিষয়টি আপনাদের বোনদের বিশেষ করে যারা ভার্সিটি পড়ুয়া, স্ত্রীদের, নিকট আত্মীয়দের সাথে শেয়ার করুন । সবার মঙ্গল কামনায়...  ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১০ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।