আপু অর্থাৎ নারীদের জীবনের একটি মূল্যবান সময় কেটে যায় রূপচর্চায়। অনেক আপু আছেন যারা সাজু গুজু করে নিজেদের চেহারাই পাল্টে ফেলেন। বিশেষ করে পাত্রী দেখার ক্ষেত্রে অনেক অভিভাবক তার কালো মেয়েকে পার্লারে এমনভাবে সাজান যাতে তার মূল চেহারাই পরিবর্তন হয়ে যায়। পাত্রীকে অপরূপ দেখে ছেলে পক্ষ রাজী হয়ে গেলেও বিয়ের পর আসল চেহারা দেখে সংসারে অশান্তি সৃষ্টি বা সংসার ভেঙ্গে যাবার ইতিহাস খুব একটা কম না।
সাজসজ্জা ও রূপচর্চার ব্যাপারে কিছু শর্ত ও সীমা মেনে চলা উচিত।
যেমন :
১. অর্থনৈতিক অবস্থার সাথে সংগতি রেখে রূপচর্চা করা যেতে পারে। ঋণ করে রূপচর্চা করা ঠিক নয়;
২. ঘন্টার পর ঘন্টা রূপচর্চায় ব্যয় করা যাবে না। সরঞ্জামাদি সব সময় ভ্যানিটি ব্যাগে নিয়ে ঘুরতে হবে এবং থেকে থেকে রূপচর্চা করবে এমনটা না হওয়াই উত্তম;
৩. অলংকার সেই পরিমাণ ব্যবহার করা উচিত যার যাকাত দেয়া যায়। নচেৎ সেটা অলংকার নয়, আগুণে পরিণত হবে;
৪. অতিরিক্ত আটসাঁট পোশাক ও শরীর দেখা যায় এমন পোশাক পড়া চলবে না;
৫. তীব্র সুগন্ধি ব্যবহার করা যাবে না;
৬. শরীরের ত্বকে কোন নকশা আকা লেখা যাবে না;
৭. কৃত্রিম চুল ব্যবহার করা উচিত নয়;
৮. যাদের সাথে দেখা দেয়া বৈধ নয় তাদের মনরঞ্জনের জন্য সাজগোজ করা যাবে না;
৯. হনুমান বা বানরের মত বড় নখ রাখা যাবে না;
১০. নেইলপালিশ ব্যবহারে ওজু হবে না, তাই তা বর্জন করতে হব;
১১. আসল চেহারা পরিবর্তন হয়ে যায় এরূপ সাজসজ্জা সম্পূর্ণ নিষেদ।
সাজতেই হবে, তবে এমন সাজ নয় যা হবে জাহান্নামে যাবার কারণ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।