বাকি ৩৭ কোটি ডলারের ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে দিতে হবে স্বল্প সুদ। ঋণ পরিশোধেও দীর্ঘ সময় পাওয়া যাবে।
শুক্রবার বিশ্ব ব্যাংকের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘উপকূলীয় বাঁধ উন্নয়ন প্রকল্পে’ এ অর্থ ব্যয় হবে, যার মধ্য দিয়ে ছয়টি উপকূলীয় জেলার অধিবাসীদের জলোচ্ছ্বাস থেকে সুরক্ষার ভিত তৈরি হবে।
বিশ্ব ব্যাংক যে ৩৭ কোটি ৫০ লাখ ডলার ঋণ দেবে তা পরিশোধে ৪০ বছর সময় পাওয়া যাবে। এর জন্য সুদ দিতে শূন্য দশমিক ৭৫ শতাংশ।
ঋণ পরিশোধের ক্ষেত্রে ১০ বছর 'গ্রেস পিরিয়ড' থাকছে।
এ প্রকল্পে অর্থায়নের সিদ্ধান্ত আসায় চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশে দাতা সংস্থাটির অর্থায়নের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৬০ কোটি ডলারে। যদিও এ সময় দেশের সবচেয়ে বড় অবকাঠামো খাত পদ্মা সেতু প্রকল্পে বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়ন বাতিল হয়েছে।
বাঁধ উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় উপকূলীয় জেলা বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা, বরগুনা, পটুয়াখালী ও পিরোজপুরে ১৭টি নিচু এলাকা সুরক্ষিত হবে, যাতে জলোচ্ছ্বাস ও অতিরিক্ত জোয়ারের প্লাবন থেকে সরাসরি রক্ষা পাবে সাত লাখ ৬০ হাজার মানুষ।
এছাড়া এর ফলে কৃষি, কর্মসংস্থান ও খাদ্য নিরাপত্তার দিক দিয়ে জেলাগুলোতে বসবাসকারী প্রায় ৮৫ লাখ মানুষ উপকৃত হবে।
বিশ্ব ব্যাংকের আবাসিক প্রতিনিধি জোহানেস জুট বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত দুর্যোগ মোকাবেলায় সক্ষমতা বৃদ্ধি বাংলাদেশের উন্নয়নের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
এ সব বাঁধ নির্মাণের ফলে দুর্যোগ ঝুঁকি কমে আসার পাশাপাশি উপকূলীয় এলাকার অধিবাসীরা লবণাক্ততা থেকেও সুরক্ষা পাবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।