আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ছদ্মবেশী ঘাতক

http://farm5.staticflickr.com/4084/5106907209_d4c9a50a8b_z.jpg শাপলা বড়ুয়া শত্রুর হাত থেকে বাঁচিয়ে চলতে জন্তু-জানোয়ারদের কায়দা-কানুনের কী শেষ আছে! কখনো গায়ের রং বদলে ফেলে কখনো বা আলো ছুঁড়ে দিয়ে ফন্দিবাজদের কাছ থেকে পালিয়ে বাঁচে এরা। কেউ কেউ তো আবার বিষাক্ত প্রাণীদের খাতায়ও নাম লেখায় নিজেদের। যখনই সুযোগ পায় তখনই কাটা ফুটিয়ে দিয়ে বা লালা ছুঁড়ে ফেলে হার মানিয়ে ছাড়ে প্রতিপক্ষকে। তবে বিষাক্ত এই প্রাণীদের নামের ফর্দটিও কিন্তু ছোট কিছু নয়। পোকা থেকে শুরু করে মাছ, সাপ, ব্যাঙ— সক্কলেরই কিছু না কিছু জাতভাই আছে, যারা সুযোগ পেল কী অমনি ছুঁড়ে দিল নিজেদের ব্রহ্মাস্ত্রটি।

আর এভাবেই এক ঢিলে দুই পাখি মারার কায়দাটা কাজে লাগিয়ে নেয় এরা। এতে শুধু শিকারীই নয় ঘায়েল হয় শিকারও। তাই বলে এদের দলে বিষাক্ত পাখিও যে থাকতে পারে তা কি কেউ কখনও ভাবতে পেরেছে! তেমনি এক পাখি হল পাপুয়া নিউগিনির হুডেড পিটোহুই। এদের দেখলে মনেই হতে চাইবে না অমন ভীষণ কালকূট পাখি এরা! কমলা আর কালোর মিশেলে এমনই জাঁকালো চেহারা, যে কারোরই চোখে পড়লেই ধন্দে পড়ে যাবে নিশ্চিত। আর এমনি করেই এদের চটকদারী ছিরিতে আত্মহারা হয়ে ভবলীলা সাঙ্গ হয়েছে অনেকের।

তবে হুডেডদের এই গরলটা কিন্তু পৌত্রিকসূত্রে পাওয়া নয়। কোরসাইন নামের এক জাতের পোকা খাওয়ার জন্যই মূলত বিষটা ঢুকে পড়ে ওদের শরীরে। অনেকে তো মনেই করে বসেন হুডেডদের ডিমের সঙ্গেও নাকি গাঁটছড়া বাঁধে এই বীজটি। তাই এদের খপ্পরে কেউ পড়েছে কী আর রক্ষে নেই। প্রথমেই আগুনে দেয়া জুলুনি শুরু হয়ে যায় পুরো শরীর, এর পর পরই নিথর হয়ে পড়তে থাকে শত্রু প্রাণীটি।

তবে যতই বিষদুষ্ট হোক না কেন বেশ গুণী পাখি এরা। যেমনই বাহারি ছাঁদ তেমনি গায়কী ঢং এদের। এজন্যই হুডেড পিটোহুইদের গুণপনায় ভুলে অন্য প্রাণীদের মত নিজেদের কাল ডেকে আনে অনেক মানুষও। আর যদি এই বিষ মাত্রা ছাড়িয়ে যায় তাহলে তো কথাই নেই আলবত্ পক্ষাঘাত। এমনকি ঘটে যেতে পারে মৃত্যুও।

সেজন্যই বুঝি পাপুয়া নিউগিনির বাসিন্দারা রাক্ষুসে পাখি ডাকতেও ছাড়েন না এদের। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।