অর্কিড ফুলে বিচরণকারী পতঙ্গটি দেখতে অনেকটা ফুলের মতো, কোনো কোনো ক্ষেত্রে ফুলের চেয়েও আকর্ষণীয়। আর শিকার ধরতে সেই অবয়বকে অপূর্ব দক্ষতায় ব্যবহার করতে পারে প্রাণীটি। অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে অবস্থিত ম্যাককারি বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক বলছেন, এরা ফুলের পাপড়ির মতো ‘ছদ্মবেশের’ সাহায্যে শিকারকে ধোঁকা দিতে সমর্থ হয়।
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ক্রান্তীয় বনাঞ্চলের বাসিন্দা প্রাণীটির শরীরে রয়েছে ফুলের ‘ছদ্মবেশ’ এবং এদের পা দেখতে অনেকটা পাপড়ির মতো। এদের অনুকরণপ্রবণ ও আগ্রাসী আচরণের বিষয়টি নিয়ে সেই ১৮৮০-এর দশক থেকেই গবেষণা চলছে।
প্রকৃতিবিদ আলফ্রেড রাসেল ওয়ালেস এ ব্যাপারে প্রথম ধারণা দিয়েছিলেন। নতুন গবেষণায় ১৩ প্রজাতির বুনো ফুলের সঙ্গে পতঙ্গটির রঙের প্রায় অভিন্নতা শনাক্ত করা হয়। এসব রং ও আলোকতরঙ্গের সম্পর্ক এবং প্রজাপতি ও মৌমাছির মতো বিভিন্ন পতঙ্গকে আকর্ষণের সামর্থ্য বিশ্লেষণ করে দেখা হয়।
প্রাকৃতিকভাবেই অনেক প্রাণী অনুকরণপ্রবণ হয়ে থাকে। যেমন: কয়েকটি প্রজাপতি প্রজাতি রয়েছে, যারা আত্মরক্ষার্থে অনেক সময় বিষাক্ত প্রজাপতির মতো আচরণ করে।
এতে তাদের আক্রমণকারী প্রাণীগুলোকে এড়ানো সম্ভব হয়। আবার অনেক প্রাণী ক্ষেত্রবিশেষে উদ্ভিদের মতো আচরণ করে। প্রাণীখেকো উদ্ভিদের অস্তিত্বও পাওয়া গেছে, যা ছদ্মবেশে বিভিন্ন পোকাকে কাছে টেনে একপর্যায়ে গ্রাস করে নিতে পারে।
আমেরিকান ন্যাচারালিস্ট সাময়িকীর আগামী সংখ্যায় ওই পতঙ্গের শিকার-কৌশল নিয়ে একটি গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশিত হতে যাচ্ছে। সংশ্লিষ্ট শীর্ষ গবেষক জেমস ও’হ্যানলন বলেন, পতঙ্গটির আচরণ সম্পর্কে অনেক আগে থেকেই জানা থাকলেও এই প্রথম এটির শিকার-কৌশল ও অন্যান্য বৈশিষ্ট্য নিয়ে বিস্তারিত গবেষণা হলো।
পতঙ্গটি ফুলের অনুকরণে নিজ ছদ্মবেশ ব্যবহার করে এবং শিকারেও অপূর্ব কৌশল প্রয়োগ করে। এই কৌশল অবলম্বন করেই এরা শিকারি অন্যান্য প্রাণীর কবল থেকে আত্মরক্ষা করে। লাইভসায়েন্স।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।