আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

যেদিন তোমার শহরে আমি

মহান পুরুষ নিয়ে লেখার কি আছে। তুমি বুঝবে না, অথবা বুঝেও না বোঝার ভান করবে। জানি এটা তোমার ইচ্ছাকৃত। মিথ্যা। ভালবাসার সমুদ্র ঠিকই চেন, সমুদ্রকন্যা।

যে বছর তোমার হাসির মাত্রা ছাড়িয়ে গিয়েছিল সে বছরই আমি তোমার প্রেমে পড়ি। আবার ভেবো না, নিয়মিত প্যান্ট-শার্ট পরার মতো রেগুলার ব্যাসিসে রেগুলার প্রেমে পড়ি আমি। তারও ঠিক তিন বছর পর, তোমার ভালবাসা তলানিতে ঠেকে ছিল যে বছর, শ্বাস নেবার মতো কিছু দীর্ঘশ্বাস ছিল হয়তো। অথবা, আমাকে ভূলতে চাওয়ার সব চেষ্টাই প্রায় সফল পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছিলে তুমি। সে বছরই, শ্যামলী পরিবহনের চাকা ব্রন ওঠা তরুনীর গালের মতো রাস্তা স্পর্শ করতে করতে তোমার শহরে পৌছায়।

সঙ্গে আমিও। কতদিন ভোর দেখিনি! আমরা যারা ভূইফোড় শহরবাসী, তারা শহরে এসে প্রথম যা করি তাহলো, দেরীতে ঘুম থেকে ওঠার অভ্যাস। তাইতো একেকটা ভোরে কতগুলো পাখি চেচাঁয় কত বড় সূর্য ওঠে কতগুলো পতিতা রাতকর্ম ছেড়ে বিছানায় যায়, তার কিছুই দেখা হয় না। অথচ তোমার শহরে এসে যে জিনিষটা প্রথম উপভোগ করলাম তা হলো ভোর। সারারাত নির্ঘূম থাকার পরও শুধু, তোমাকে দেখবো বলে রেল লাইনের মতোই দু চোখের পাতা এক হয়নি আমার।

আমি জানি অতটা ভোরে তোমারও ঘুম ভাঙেনা। একটা পুরুষের বাহু ও গরম বিছানা। দুটোই তো আটকে রাখার জন্য যতেষ্ট। অবশ্য তুমি সেদিন ছেড়ে ছিলে, আমি আসবো সেটা তো জানতেই। তোমার শহরের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে পদ্মা।

হাত ধরে এক সাথে তোমার পদ্মা দেখবো এমন কথা হয়ে আছে আমাদের। অথচ সে পদ্মার পারে আমি একাই গেলাম। ভরা বর্ষায় পদ্মা এখন উথাল-পাথাল। ভরা যৌবনের নারীর মতো ফুলে উঠেছে পদ্মা। অথব সেসব আমাকে টানছে না।

আমার অপেক্ষা তোমার জন্য। আদৌ কি তুমি আসবে? তবে কি তোমার শহরে এসে কি তোমাকে না দেখেই ফিরে যাবো? ভোর যে সকাল হয়েছে কখন! নাকি পদ্মা মানেই তোমাকে দেখা! না, সকল কল্পনার অবসান ঘটিয়ে তুমি এলে... কি অদ্ভূত, সমুদ্রে দেখা তুমি এখনও সমুদ্র কন্যার মতোই। সমুদ্রে হাটু সমান পানিতে দাড়ালে একেকটা ঢেউ যেভাবে ধাক্কা দেয় সেভাবেই তোমার আগমন আমাকে ধাক্কা দিচ্ছে। তোমার পাশে কখনও বসে থাকা হবে, হুড তোলা রিকশায় তোমার শরীরের গন্ধ নিতে নিতে একেকটা স্পীড বেকার পার হবো তা কল্পনাও করিনি কখনও। অথচ কি অবলীলায়, কি ভালবাসায় সে স্বাধ দিলে তুমি।

আমি জানি, অতটা গভীরে কখনই যাওয়া হবে না আমার। যতটা গভীরে গেলে তীব্র শীতেও তোমাকে ঘামিয়ে তোলা যাবে যতটা গভীরে গেলে তোমার কিছু কামার্ত শ্বাস বিধবে আমার পাঁজরে। যতটা গভীরে গেলে আরও গভীরতা খুঁজতে চাইবে মন! আমি জানি সেসবের কিছুই হবে না। তোমার মুখে যেটা ‘সম্ভব নয়’ হয়ে বেরোবে। তবুও কম কিসে, এই যে হুড তোলা রিকশায় শরীরে শরীরে ঠোকাঠুকি এই যে পরীর চুল স্পর্শ করা, এই যে ভালবাসতে বাসতে ঠোঁট দুটো দখলে নেয়া ইটের ওপর ইট সাজিয়ে চুম্বনের স্তর রচনা করা বন্য এবং মনুষ্য জাতীয় প্রানীদের মধ্যে এসেও সবাইকে অন্ধ ভেবে একে অপরকে জড়িয়ে ধরা।

এটাই বা কম কিসে? তারপর.. কিছু দীর্ঘশ্বাসের পূনরাবৃত্তি করে তোমার ফিরতি যাত্রা। স্পর্শ কাতর জায়গাগুলোতে স্পর্শ করার তীব্রআকাঙ্খা নিয়ে পুরুষ হওয়ার বাসনায় তোমার শহর ছাড়া। গুডবাই পরী, গুডবাই। কৈফিয়ত: আমি কবি নই। কবিতা লিখতেই পারিনা।

এটা কোন কবিতা হই নাই বলে নাক সিটকাবেন তাদের কাছে আগেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।