আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

যেদিন আমি মারা যাব

বাংলাকে ভালোবাসি

আমার বয়োস ২৭ পেরিয়ে ২৮ বছর শুরু হয়েছে। আমি বেশ মোটা। তার উপর আবার প্রচুর সিগারেট খাই। মাঝে মাঝে মনে হয় হঠফত করে কখন জেনো মারা যাব আমি। পৃথিবীর এই মায়ার জগত তো আর ছাড়তে ইচ্ছা করে না।

মনে হয় পৃথিবী যত দিন আছে তত দিন বেচেথাকি। কিন্তু তা কি আর হবার আছে? শরীর নামক এই জৈবিক কারখানা রীতি মত তার কমক্ষমতা তাহারেয়ে পরিতেক্ত কারখানার মত হয়ে যায়। তার পর আস্তে আস্তে ধবংশ হয়ে যায়। আমার জীবনেও সে দিন টি আসবে একদিন। হয়তো এখনো আসেতে পারে আবার ৪০ বছর পর ও আসতে পারে।

তবে এটা যে আসবে তা চিরন্তন সত্য । আমি মোটা, দেখতে খারাপ ও কালো। এই বিসইটি নিয়া আমাকে অনেক সমস্যাই পড়তে হয়েছে। অনেক মানুষের অনেক কথা সুনেছি। আমি ওগুলোতে গা লাগাই না।

তাই কনো মেয়েকেই তাদের বাড়িতে কার সাথে ঝগরা করতে হয় না। মানে আমার সাথে কনো মায়ের কনো রকম ভালোবাসার সম্পরক নেই। অবশ্য আমি অনেক কেই প্রস্তাব দিয়াছি। কিন্তু, নিজের চেহারা, শরীর ইত্যাদির প্রতি আত্মবিশবাস কম তাই কিছুদুর আগানোর পর ছেড়ে দিয়াছি সবগুল। এসব নিয়ে আমার বন্ধুরা আমাকে অনেক উপহাস করে।

আসলে তাদের তো আর আমার মতো সুন্দর চেহারা না যে তারা কি করে বুজবে আমার মনে কি বেথা ! তবে হ্যাঁ আমি কারো করূনার পাত্র নই। এ যাবত কালে যত কাজে হাত দিয়েছি মোটামুটি সমস্ত কাজে সফল হয়েছি। আমার কিছু খারাপ বৈশিষ্ট আছে, যেমন মানুষকে তারাতারি বিস্বাস করা আর মানুষকে ক্ষমা করে দেওয়া। আধুনিক যুগে এই বৈশিষ্ট সম্পন্ন মানুষ একেবারেই ওচল। আমার বাবা-মা বেশ ধর্মিক মানুষ।

কেনো জানি না ছোট বেলা থেকেই ধর্মের প্রতি বিশ্বাস ছোট বেলা থেকেই ওনেক কম। কিন্তু আস্তে আস্তে সে ভুল ভংতে সুরু করেছে। কারন আমি যতই বিজ্ঞান জানার চেষ্টা করছি ততই একথা স্পষ্ট হচ্ছে যে আল্লাহ আছেন। আর তা সারা আমি দেখছি যে ভাগ্য ওনেক সহাই আমার উপর। আর ভাগ্য এক মাত্র আল্লাহ লেখতে পারেন।

যদিও ভবিষ্যতে এ ধারা বজায়ে নাও থাকতে পারে। এতক্ষন এসব আলোচনা করলাম এ জন্য যে, যা আমি এখন যা বলবো তা হতো ঐ সব ঘটনার সাথে যোগসূত্র থেকে জেতেও পারে কারন তখন তো আমি থাকবো না, আমি চিরো বিদায় নিয়ে চোলে যাবো। আমি কি তখন বুজতে পারবো আমার চারপাশে কি হচ্ছে? হয়তো বা পারবো। হয়তো আমার প্রান প্রিয় বাবা-মা আমার পাশে বসে কাঁদবেন। কাঁদতে কাঁদতে হয়তো বা তাদের চোখের জল শুকিয়ে যাবে, হয়তোবা তাদের মুখে কথা থাকবে না, কিন্তু আমি তাদের একটুকুও সান্তনা দিতে পারবো না।

যদি সে সময় আমার নানা-নানি বেঁচে থাকেন তাহলে তারা তাদের সমস্ত মুখের ভাষা হারিয়ে ফেলবেন। কারন তারা আমাকে প্রচন্ড ভাবে ভালোবাসেন। আমার দাদা ওনেক আগে মারা গেছেন। তাই তার কথা আমার খুব একটা মনে নাই। শুনেসি মৃত্যুর সময় নাকি মানুষ তার সমস্ত জীবনের কর্ম এক বার করে দেখতে পায়! আমি আমার দাদা কে অনেক বেশি সময় ধরে দেখতে চাই।

দাদী তো অনেক অসুস্থ ছিলেন তাই তার আদর আমরা খুব একটা পাই নাই। আমার বন্ধুরা এসে আমার দাফন কাফনের বাবস্থা করবে হয়তো। হঠাৎ করে তাদের একজন ভালো বন্ধু চলে যাওয়াতে তারা স্তম্ভিত হয়ে যাবে। কিছুদিন পর হয়তো তাদের মনে আমার জন্য আর ফাকা জায়গা থাকবে না। কারণ এই পৃথিবী বড়ই নিষ্ঠুর জায়গা।

আমার ভাই ও বোনেরা আমাকে খুব ভালোবাসে। আমিও তাদের অত্যন্ত ভালোবাসি। আমার ভাই হইতো আমার লাশের পাশে বসে আহাজারী করতে থাকবে আর আমার বোনেরা নিরবাক মুখ আমার চোখের সামনে হয়তো ভেসে উঠতেও পারে। হয়তো বা উঠবে না। হয়তোবা তাদের এতো সব কান্না আমি শুধু ওনুভব করবো।

হয়তোবা তাদের চিন্তার স্রোতে আমি বার বার ভেসে জেতে থাকবো। হয়তোবা আমার একজন স্ত্রী ও থাকবে। সে তো সব হারিয়ে পাথর হয়ে দরজার চৌকাঠের সাথে মাথা হেলান দিয়ে নির্বাক নয়নে আমার দিকে চেয়ে থাকবে। হয়তো সে মাঝে মাঝে কেঁদে উঠবে, আর ছিন্তা করতে থাকবে সে এখন কার কাছে আশ্রয় নিবে? হয়তোবা বেশ কিছুদিন পরে আমারই কোন খুব ঘনিষ্ঠ বন্ধুর সাথে সম্পর্ক গড়ে তুলবে, তার জীবনটাকে সুখী রাখার জন্য বা তার জৈবিক চাহিদা পুরন করার জন্য। হয়তো বা সে একদিন আমার সাথে তার দাম্পত্য জীবনের সুখের সৃতিগুলো ভুলে যাবে।

হয়তোবা কেউ কেউ বলবে উনি খুব সৎ , নিষ্ঠাবান বা খুব ভাল মানুষ ছিলেন। আবার কেউ কেউ হয়তো আড়ালে আবডালে বলবেন উনি খুব দাম্ভিক ছিলেন কারো সাথে ভাল করে কথাও বলতেন না। এর পর সমস্ত আনুষ্ঠানাদি সম্পন্ন করে আমাকে দাফন করা হবে। আমি নির্বাক ভাবে সব কিছু ওনুভ করব মাত্র। আমার স্বপ্নের ভুবনে স্বাগত


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।