আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ছোটগল্প । দি ডিরেক্টর

রাত গভীর হইলেও ঘুমাই নাই আমরা যারা যারা, সকাল হইতে না হইতেই দশ নম্বর বাসের পিছনে ছুটতে ছুটতে গুলিস্তান, মতিঝিল কিংবা ফার্মগেটে যাদের কোন কাজই থাকে না কিংবা ছিলো না কোনকালে; তাদের লগে বইসা আছি ঘাসে, আজিজ মার্কেটের সিড়িতে নাকি শাহবাগের ফুটপাতে? আমাগো কারুর খাইয়া কোন কাম নাই। যদিও আমরা বাম রাজনীতিতে বিশ্বাস যাই, পুঁজিবাদের গুষ্ঠি উদ্ধার করি, লিটলম্যাগে কবিতা লেখি আর বলি যে এইটা হইলো আন্দোলন; তবু আমরা সবাই ফিল্ম মেকার হইতে চাই। আমাগো লগে একমত পোষন করে চায়ের দোকানদার নাজির। সে স্বভাবে দার্শনিক, বয়স সাড়ে সতেরো। পাকনামিতে এইটিন প্লাস।

কথিত আছে, শাহবাগে না জানি আজিজ মার্কেটে যায় এমন সব মেয়েদের ফোন নাম্বারই আছে তার কাছে। মেয়েরা তাদের বয়ফ্রেন্ডগো নাজিরের লগে পরিচয় করায়া দেয়, তারপর তারা একলগে গুড়ের চা খায় কাঠের বেঞ্চিতে বইসা বেনসনসহযোগে। তো, সেই পোলার লগে অন্য কোন মেয়েরে দেখা গেলেই নাকি নাজির মিসকল নাকি এসএমএস দিয়া জানায়া দেয় তার প্রেমিকারে। আমরা সেই সব কথা জানি। তারপর কোন একদিন একা একা নাজিরের দোকানে চা খাইতে গিয়া ফিস ফিস কইরা তারে জিগাই, বয়ফ্রেন্ড নাই এমন মেয়েরা তোরে ফোন নাম্বার দেয় না? আরো কত কী জানতে চাই আমরা, কত কিছু জিগাই তারে, জিগাই- কেননা, আমাগো কারুর খাইয়া কোন কাম নাই।

তারপরে আমরা সবাই ফিল্ম মেকার হইতে চাই। তো, একদিন না ঘুমানো রাত শেষে বেনসনসহযোগে গুড়ের চা খাইতে গিয়া শুনি যে,এইসব ঘটনা নিয়া নাকি ফিল্ম হইতেছে, ডিরেক্টর কালা চশমা পরে। চরস খায়। ফলে, সে ভালো দেইখা এ্যসিস্টান্ট খুঁজতাছে। এ্যমেচার হইলে চলবে না।

প্রফেশনাল। (আংশিক) ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।