Engineer Ashikujjaman Ashik লন্ডনের সুরম্য আকাশচুম্বী ভবন দেখে যেসব যুক্তরাজ্যবাসীর গর্বে বুক ভরে যেত, তাদের জন্য হোঁচট খাওয়ার মতোই তথ্য এটি। লন্ডনের বাণিজ্যিক এলাকার এসব ভবনের বেশির ভাগের মালিকই নাকি বিদেশি। আবাসন প্রতিষ্ঠান ডেভেলপমেন্ট সিকিউরিটিজের নতুন প্রতিবেদনে দেখা যায়, এসব বাণিজ্যিক ভবনগুলোর ৫২ শতাংশের মালিকই বিদেশি। তাদের মধ্যে এশীয়রাও আছে শক্ত অবস্থানে।
ডেভেলপমেন্ট সিকিউরিটিজের পরিচালক ম্যাথিউ ওয়েনার জানান, ২০০৬ সালে লন্ডনের এসব অফিস ভবনের শতকরা ৪০ ভাগ ছিল বিদেশিদের মালিকানায়।
এখন তা ৫২ শতাংশে পৌঁছেছে।
তবে এটিকে লন্ডনবাসীর জন্য সুুসংবাদ হিসেবেই দেখছেন ম্যাথিউ ওয়েনার। তাঁর মতে, ‘বিদেশিদের উপস্থিতি এবং বিনিয়োগ বাজারে তারল্য বাড়াতে যেমন ভূমিকা রাখছে, তেমনি লন্ডনের জন্যও বয়ে আনছে আন্তর্জাতিক রাজধানীর মর্যাদা। পাশাপাশি বিনিয়োগকারীরা দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগের কথা ভাবছে। এটা বাজার স্থিতিশীল রাখতেও ভূমিকা রাখছে।
’
রয়টার্সের খবরে বলা হয়, লন্ডনে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের স্থাবর সম্পত্তি বৃদ্ধিতে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখে ২০০৮ সালের অর্থনৈতিক মন্দা। ওই সময় শক্ত আর্থিক অবস্থানে থাকা বিনিয়োগকারীরা প্রায় অর্ধেক দামে এসব বাণিজ্যিক ভবন কিনে নেয়।
এ প্রসঙ্গে ম্যাথিউ ওয়েনার বলেন, লন্ডনে এখন কাজাখস্তান বা তুর্কেমেনিস্তান থেকে যেমন বিনিয়োগকারী আসছেন, তেমনি গ্রিস বা ইতালি থেকেও আসছেন। তবে বড় বিনিয়োগকারীদের বেশির ভাগই জার্মানির। পিছিয়ে নেই এশীয়রাও।
লন্ডনবাসীর জন্য সুখবর হলো, ইউরোপে অর্থনৈতিক মন্দা সত্ত্বেও শীর্ষ বাণিজ্যিক কেন্দ্রের স্থানটি ধরে রেখেছে লন্ডন। স্থানীয় আবাসন কোম্পানির ব্যবসায় বর্তমানে মন্দাভাব বিরাজ করলেও, লন্ডনের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সোনার দামেও এক টুকরো জমি খুঁজে পাওয়া দুষ্কর।
লিংক: ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।