ব্রিটিশদের প্রথম প্রদক্ষিণ। বিশ্ববিখ্যাত সমুদ্র অভিযাত্রী স্যার ফ্রান্সিস ড্রেক ১৫৪০ সালে ইংল্যান্ডের ডেভন অঞ্চলে জন্মগ্রহণ। তিনি ছিলেন মহারানী প্রথম এলিজাবেথের আমলের একজন ইংরেজ নৌ-সেনাপতি, সমুদ্র-অভিযাত্রী ও রাজনীতিবিদ। তিনি প্রথম ব্রিটিশ পৃথিবী প্রদক্ষিণকারী অভিযাত্রীদলের নেতৃত্ব দেন। তার আগে শুধু স্প্যানিশ ম্যাগেলান-ইলক্যানোর অভিযাত্রী দল সমুদ্রপথে প্রথম বিশ্ব ভ্রমণ করেন।
ড্রেক ২৩ বছর বয়সে প্রথম সমুদ্রযাত্রা করেন। কিন্তু তাদের জাহাজটি মেঙ্কিান পোর্টের কাছাকাছি পৌঁছলে স্পেনিয়ার্ডদের হামলার শিকার হন। কোনো মতে তিনি জীবন বাঁচিয়ে পালাতে সক্ষম হন। ঠিক তখন থেকেই স্পেনিয়ার্ডরা তার শত্রুতে পরিণত হয়। এ পরাজয় তাকে প্রতিশোধপরায়ণ করে তোলে।
পরবর্তী সময়ে তিনি স্প্যানিশদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ব্রিটিশদের নেতৃত্ব দেন। বিশ্ব ভ্রমণের অংশ হিসেবে ১৫৭৭ সালে ইংল্যান্ডের প্লাইমাউথ বন্দর থেকে প্যালিক্যান নামক একটি জাহাজে করে ৫০ জন নাবিক নিয়ে বিশ্বভ্রমণে বের হন এবং ১৫৮০ সালে ফিরে আসেন। এই নৌপথে বিশ্বভ্রমণ করার মাধ্যমে স্পেনিয়ার্ডদের পরোক্ষভাবে পরাজিত করেন তিনি।
নিজ দেশে জাতীয় বীর হিসেবে পরিচিতি পেলেও অন্যসব দেশে ড্রেককে জলদস্যু, যুদ্ধবাজ, ক্রীতদাস ব্যবসায়ী প্রভৃতি বলে সম্বোধন করা হতো। এমনকি তাকে ধরিয়ে দেওয়ার জন্য স্পেনের তৎকালীন রাজা দ্বিতীয় ফিলিপ ২০০০ হাজার ডুক্যাটস (বর্তমান সময়ে বারো মিলিয়ন মার্কিন ডলার ঘোষণা করেন)।
ফ্রান্সিস ড্রেক ইংরেজদের নাক উঁচু করেন বিশ্ব দরবারে সমুদ্রযাত্রার জন্য। এ প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অবদান রাখার জন্য রানী প্রথম এলিজাবেথ তাকে নাইটহুড উপাধি দেন। এ সাহসী অভিযাত্রী মাত্র ৫৫ বছর বয়সে আমাশয় রোগে ভুগে ১৫৯৬ সালে পানামায় মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তার সমুদ্র অভিযানের কথা থাকত মানুষের মুখে মুখে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।