© তন্ময় ফেরদৌস
ভূমিকাঃ
জার্নালিজম মূলত আমার সাব্জেক্ট না। তবে এ ব্যাপারে অনেক আগ্রহ আছে। সময় পেলেই চেষ্টা করি এ নিয়ে কিছু জানার। তাছাড়া মিডিয়ার স্টুডেন্ট হিসেবে আগে থেকেই কিছু ধারনা ছিলো। আর নেট ঘাটাঘাটি করে পেয়ে গেলাম আরো কিছু দরকারী কন্টেন্ট।
প্রব্লেম হলো সবি ইংরেজীতে। সেখান থেকে বাংলা করা
বেশ কষ্টসাদ্ধ্য একটা কাজ। তারচেয়ে আমি যা বুঝতে পেরেছি, সেটাই বরং সারমর্ম করে আপনাদের সামনে তুলে ধরার চেস্টা করি। এর অনেক থিওরী বাংলাদেশের সাংবাদিকরা না মানলেও আপনারা পড়ে অন্তত জাস্টিফাই করতে পারবেন। নিউজ রিপোর্টিং এর কাজ ও চালিয়ে যেতে পারবেন।
অন্তত খবের কাগজে চোখ বুলানোর সময় নতুন দৃষ্টিভঙ্গী নিয়ে, নতুন কিছু ভাবনার খোরাক নিয়ে পড়তে পারবেন বলে মনে করি। আমারো শিখা হবে, আপনাদের সাথেও শেয়ার করা হবে। তাই এই প্রচেস্টা। পুরাপুরিভাবেই আমার নিজের মত লেখার চেষ্টা করবো।
নিউজ রিপোর্টিং সম্পর্কে ধারনা থাকা কেন জরুরী ?
১) বাংলাদেশ একটা গরীব দেশ হলেও এ দেশের মিডিয়ার কোন অভাব নাই, একশর উপর পত্রিকা, ত্রিশটির মত টিভি চ্যানেল, পাচ সাতটি রেডিও স্টেশন মোটেই কম নয়।
এদের নিউজ আবার অনেক ক্ষেত্রেই নিজেদের সঙ্গে সাঙ্ঘর্ষিক। তাহলে কার গ্রহন যোগ্যতা কতটুকু তা বুঝবেন কিভাবে ?
প্রথম আলো বাংলাদেশের সর্বাধিক পঠিত পত্রিকাগুলার মাঝে এক্টা। এদের নিয়ে সমালোচনাও কিন্ত কম নয়। তাহলে এত মানুষ কেন পড়ে প্রথম আলোর খবর ? কি আছে এদের নিউজ স্টাইলে ? নিউজ
রিপোর্টিং সম্পর্কে মোটামুটি ধারনা থাকলে আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন কোন খবরটির গ্রহনযোগ্যতা কতটুকু ।
২) আমাদের দৈনন্দিন জীবনে মিডিয়ার গুরুত্ব কতখানি তা নিশ্চই আবার বুঝিয়ে বলা লাগবেনা।
বাঙ্গালী হিসেবে আমরা জাতিগতভাবে খুবি বিশ্বাসী। সবার কথাই অন্ধভাবে বিশ্বাস করার একটা প্রবনতা আমাদের মাঝে কাজ করে। নিউজ মিডিয়ার একটা উদাহরন দেই।
কদিন আগে " কেএফসির খাবারে তেলাপোকা " নিউজটি আপনাদের চোখে পড়েছে নিশ্চই। এর পর পল্টন কেএফসিতে সেল কমে গেছে প্রায় ৫০%।
কোন রিপোর্ট পড়ে কতটুকু দরকারি তথ্য পাচ্ছেন তা জানা অবশ্যি জরূরী।
৩)খবরের যথাযত মূল্যায়ন করা শিখার জন্য।
৪) এবং বোনাস হিসেবে বলা যায় নলেজ একুয়ার করতে পারবেন। হাতে সময় আছে , একটা নতুন বিষয় সম্পর্কে জেনে নিতে সমস্যা কোথায় ?
আমরা যা যা শিখার চেস্টা করবো।
১) নিউজ রিপোর্টিং কি এবং রিপোর্টারের কাজ কি ?
২) কয়েক ধরনের নিউজ রিপোর্টিং
৩) নিউজ এডিটিং সমর্কে কিছুটা ধারনা।
৪) মেরিট এনালাইসিস- রিপোর্টারের অবশ্য কর্তব্য।
৫)লিড/ইন্ট্রো রাইটিং- মোস্ট ইম্পর্টেন্ট।
৬)যেভাবে লেলখবেন ইন্ট্রো- নিয়ম কানুন।
উদাহরন সহ কিছু তুলনা।
৭) প্রকারভেদ- কয়েক ধরনের ইন্ট্রো।
৮) আডভান্স ইন্ট্রো- স্পেশাল নিউজের ক্ষেত্রে।
৯) হেড লাইন রাইটিং।
১০) বডি রাইটিং- ইনভার্স পিরামিড স্ট্রাকচার।
১১) খবরের কাগজের কিছু টার্ম যা জানা প্রয়োজন।
আজকে থেকেই যা শুরু করবেন।
উপরের লিস্ট দেখে নিশ্চই বুঝে গেছেন, নিউজের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন হচ্ছে নিউজের ইন্ট্রো বা ভূমিকা লেখা। তাই এটার উপর ধারনা থাকা খুবি জরুরী। হাতের কাছে একাধিক খবরের কাগজ নিয়ে বসে পড়ুন। একই বিষয়গুলা নিয়ে রিপোর্ট করেছে এমন খবরগুলা খুজে বের করুন। আলাদা করে দাগিয়ে নিন।
এরপর শুধু হেডলাইন এবং ভূমিকাটুকু পড়ে ফেলুন। দেখুন কোন পত্রিকার টা বেশি ভালো লাগছে। এবং কেন তা বুঝার চেস্টা করুন।
ভালো কথা, রিপোর্টিং এর সাথে ফিচার অথবা কলাম কে গুলিয়ে ফেলবেন না যেন। একজন রিপোর্টার
শুধুমাত্র রিপোর্টার শুধুমাত্র নিউজ কালেক্ট করে এবং ডেলিভারি দেয়, প্রেজেন্ট করে।
এখানে তার নিজস্ব মতামত দেয়ার কোন সূযোগ নেই। অন্যদিকে ফিচার বা কলামে রিপোর্টিং এর কোন নিয়ম ফলো করা হয় না। লেখকের মতামত এবং মূল্যায়ন্টাই এখানে বেশি জরুরী।
এই পোস্টের সীমাবদ্ধতা।
আমি যেহেতু জার্নালিস্ট না, এবং জার্নালিজমের ব্যাপারে ধারনা সীমিত, তাই কিছু ভুল্ভ্রান্তি হতে পারে।
এ ব্যাপারে যে কোন আলোচনা সমালোচনা এবং উপদেশ সাদরে গৃহীত হবে। ব্লগের অভিজ্ঞদের মন্তব্যের অপেক্ষায় থাকবো।
বাংলায় রিপর্টিং এর ব্যাপারে ভালো বই আছে কনা আমার জানা নেই। কাজেই আমার লেখায় বাংলা ইংরেজী জগা খিচুড়ি হয়ে যেতে পারে। ( অলরেডি সূচিপত্র দেখে মনে হয় ধারনা করতে পেরেছেন)
নিউজ রিপোর্টিং সাংবাদিকতার একটা পার্ট মাত্র।
কাজেই একে পুর্ন সাংবাদিকতার টিউটোরিয়াল ভেবে থাকলে ভুল হবে। আমি সাংবাদিকতার দিক্ষার প্রধান তিনটি জিনিস ই স্কিপ করে যাবো।
ইন্ট্রোডাকশন টু জার্নালিজম।
হিস্টরি অফ জার্নালিজম।
মিডিয়া ল এন্ড এথিকস।
কাজেই এই পোস্ট শুধুমাত্র নিউজ রিপোর্টিং এর উপর।
প্রাথমিক ভাবে শুধুমাত্র বাংলা ইংরেজী প্রিন্ট মিডিয়ার জন্য রিপোর্টিং শেখার চেস্টা করবো। টিভি, রেডিও ও ই-মিডিয়ার জন্য রিপোর্টিং পার্টে পরে আসবো।
শেষকথাঃ
আমার ধৈর্য অনেক কম। তাই আজকে এই পর্যন্তি থাক।
তাছাড়া একটু ভয়ে ভয়ে আছি। এই প্রথম খুব এক্টা হোমওয়ার্ক না করেই লিখতে বসলাম, তাও আবার টেকি পোস্ট। এখন আপনাদের অনুপ্রেরনাই মূলকথা। উৎসাহ আর সহযোগিতা পেলেই পরের পর্ব লেখায় হাত দিবো।
হেপ্পি নিউজ রিপোর্টিং।
------------------------------------------------------------------------------
পোস্ট উৎসর্গঃ আমাদের সবার প্রিয় ছাইরাছ হেলাল ভাই। এই মানুষটার মন্তব্য না পেলে আমার কেন যেন পোস্ট অসম্পুর্ন মনে হয়। ছোট দু লাইনের মন্তব্য, অথচ কিযে ভালো লাগার অনুভূতি দেয়।
হেলাল ভাই, আপনি অনেক ভালো থাকুন, আর আমাদের চমৎকার সব কবিতা উপহার দিন। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।