১ম পর্ব জীবনানন্দের কাব্যে প্রেম এর পর ।
অথচ বিরহ বা বিচ্ছেদকে জীবনানান্দ রোমান্টিক দৃষ্টি ভঙ্গিতে দেখেননি । যেখানে রবীন্দ্রনাথ বলেছেন-
' চিত্ত ভরিয়া রবে ক্ষনিক মিলন চির বিচ্ছেদ করি জয় '
এমনকি প্রিয়জনের মৃত্যুতে যদি অনন্ত বিচ্ছেদ ও আসে তবুওকবির কাছে সে শুন্যতাকে শুন্যতা বলে মনে হয়নি ।
সেখানে জীবনানন্দ বলেছেন -
যদি ও বীণার মত বেজে 'ওঠে হৃদয়ের বন
একবার-দুইবার জীবনের অধীর আঘাতে ,-
তবু প্রেম তবু তারে ছিঁড়ে ফেঁড়ে গিয়েছে কখন
তেমনি ছিঁড়িতে পারে প্রেম শুধু ।
কবি উপলব্দি করেছেন বিচ্ছেদ পূ্ণতা দেয়না ,বিধ্বস্ত করে দেয় দেহ ,মন ,আত্তা ।
কবির কাছে তাই বিচ্ছেদের অর্থ অনন্ত শূন্যতা ।
সুরঞ্জনা
তোমার হৃদয় আজ ঘাস
বাতাসের ওপারে বাতাস-
আকাশের ওপারে আকাশ ।
ভিজে মেঘের দুপুর ,ধানসিড়ি নদীর ধারে চিলের উদাস ডাক যেন এক অপরিপীম শূন্যতাকেই ব্যঞ্জিত করছে । রোমন্টিক কবিদের শাশ্বত প্রেমের আদ্শে জীবনানন্দর বিশ্বাস
নেই। কবির মতে শুধু দেহই ক্ষনিক নয় ,মনের কাজ গলো ওক্ষনিক ।
দেহ ঝরে ,-ঝরে যায় মন
তার আগে
আধুনিক কবি জানেন প্রেম ক্ষনিকের খেলা মাত্র ,শুধু দৈহিক বিচ্ছেদ অনিবার্য নয় ,মানষিক বিচ্ছেদ ও অবধারিত বলে । তাইতো কবি বলেন -
একদিন -একরাত করেছি প্রেমের সাথে খেলা ।
একরাত -একদিন করেছি মৃত্যুরে অবহেলা।
একদিন একরাত তারপর প্রেম গেছে চলে ।
শরীর রয়েছে তবু মরে গেছে আমাদের মন ?
---------হলুদ পাতায় ভরে হৃদয়ের বন ।
প্রেম নশ্বর, কিন্তু স্মৃতি ও কি নশ্বর ?এই প্রশ্ন জীবনানন্দ বারবার করেছেন ।
'সব শেষ হবে তবু আলোড়ন সে কী শেষ হবে । '
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।