আমি আমার আনন্দে লিখি!!! ঐ যে, ঐ ছেলেটা, তোমাদের গতিময়তা খুব অপছন্দ করত। সে কি চাইত জানো? সে মাছ ধরবে! ওই দূর সমুদ্র কিংবা নদীতে, একটা ছোট্ট নৌকা করে সে মাছ ধরতে যাবে। সঙ্গী হবে হারিকেন, হুমায়ুনের মধ্যবিত্তের উপন্যাস, ছিপ, বড়শি! আর হয়তবা এক বোতল দেশী সস্তা মদ! ঐ যে, ঢ্যাংঢ্যাঙ্গা ছেলেটা, তোমাদের শহুরে যানজট খুব অপছন্দ করত। ব্যস্ত ট্র্যাফিক জ্যামে বসে চেনা শহরে অচেনা মফস্বলের কথা ভেবে সুখী হত! চলতি গাড়ির হর্ন কে সে ভেবে নিত সন্ধ্যেবেলার ঝিঁঝিঁর ডাক! নেটোয়ার্ক খুব অপছন্দ ছিল তার, সে ভাবত তার ঘুম ভাংগবে মোরগের ডাকে, কুক-রু-কুক!!! স্নুজ দেয়া এলার্মকে সে এক প্রকার ঘৃণা করতে শিখে গেছে! ওই যে, দুখী দুখী চেহারার ছেলেটা, সে কিন্তু খুব ফূর্তিবাজ ছিল, সে ভালোবাসত ক্যাম্পফায়ারে ঝলসানো মুরগী, সেই সাথে বেসুরো গীটারের নিরর্থক বিরহ! সে চাইত ভোরের খোলা আকাশে তারা গুনতে গুনতে ঘুমিয়ে যেতে! হয়ত জোছনারা তাকে ঘুমাতে দিত না! ওই যে নাক উচু, ভ্রু কোচকানো ছেলেটা প্রতিদিনের খবরের কাগজের আড়াল চাইত, তার আর ভাল লাগত না সেইসব নোংরা রাজনীতি, কিংবা পরকীয় আত্মহত্যা! তার ভাবনা ছিল নির্মলেন্দু গুণের কবিতার মত, তার দরজা খোলার অপেক্ষায়, তার আশায় কেউ বসে থাকবে, দেরি হলে অভিমান করবে, গাল ফুলিয়ে রাগ দেখাবে! ঐ যে, প্রেমিক ছেলেটা, পাহাড় খুব ভালবাসত, হয়ত সে নিজেকে পাহাড়ী ভাবত, সে ভিজতে চাইত পাহাড়ের কুয়াশায়, কিংবা চাইত অভিমানীর উপর করা রাগের প্রকাশ সে চিৎকার করে পাহাড়ের গায়ে ফেরত দেবে! অবশ্য অভিমানী পর্যন্ত তা এখন আর পৌছায় না, অথবা সেও রাগ করতে ভুলে গেছে! ওই যে, বখাটে ছেলেটা, যে তোমাকে ভালোবাসত, তোমাকে জোর করে চুমু খেত, সে এখন আবেগশূন্য হয়ে গেছে। হারিয়ে গেছে এই চেনা শহর থেকে, পালাচ্ছে এই জীবন থেকে কিংবা নিজের থেকে! তোমাদের এই শহর বড় প্রতারক! তোমাদের মিথ্যের বেসাতি তাকে হত্যা করেছে!
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।