আমি কি হনুরে... ৩ ... ;)
ভেবেছিলাম অমি রহমান পিয়ালের উদ্যোগ নিয়ে এবং তার পক্ষ বিপক্ষ নিয়ে কিছু মন্তব্য করবনা। কারণ প্রথমত আমি হালকা কথাবার্তা খুব ভাল বলতে পারি, কিন্তু কঠিন কথা আমার মুখ দিয়ে বের হয়না। যাই হোক, দেখি কতদূর কি হয়। এই পর্যন্ত ব্যাপারটার সমর্থনে/বিপক্ষে অনেক পোস্ট/কমেন্ট এসেছে, যেমন আরিফ ভাই, অষ্টডটু রাসেল ভাই পক্ষে বলেছেন আবার আইরিন আপু, রন্টি ভাই ব্যাপারটা মেনে নিতে পারেন নি। আমি কারো সমালোচনা না করে সবার মতের উপর শ্রদ্ধা রেখে আমার যা মনে হয় সেগুলা গুছিয়ে বলার চেষ্টা করব।
আরিফ ভাইয়ের পোস্টের শেষ অংশ:
খুনী ধর্ষক যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবী আমাদের মতো সুশীলদের হাতে যতোদিন থাকবে ততোদিনই এটি রসিকতা হয়েই থাকবে ।
পিয়াল বরং সেটি নিয়ে ছড়িয়ে দিক রাস্তায় , খালে বিলে নর্দমায় ।
--- সুশীল সমাজের ব্যর্থতার কথাটা মানতে ইচ্ছা না করলেও সত্যি। সুশীল সমাজ সবই বোঝে, সবই দেখে, সবই জানে তাও এখনো এই দেশে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হয়না। নিজামী, মুজাহিদ এখনো রাস্তা আটকে গণসমাবেশ করে আর বলে এই দেশে তো কোন যুদ্ধাপরাধী নাই, জামাত ৭১ এ স্বাধীনতার স্বপক্ষে কাজ করেছে।
জামাত এখনো নির্বাচন করে এই দেশে, আর তাই দেখে আমার ড্রয়িংরুমে বসা একজন প্রাক্তন মুক্তিযোদ্ধার চোখ ভিজে আসে যে কেন এমন হল? এমন তো হওয়ার কথা ছিলনা! তাইতো কি করল এই সুশীল সমাজ? গঠনমূলক টেবিল টক যখন ব্যর্থ হয় তখন সেটাকে সম্বোধন করা হয় এভাবে: "বকবক কইরা কি লাভ?"
এবার আসি পিয়াল ভাইয়ের কথায়। ওনার কথামত উনি জেজে.কম এ জয়েন করেন একটা বৃহৎ উদ্দেশ্য নিয়ে। ওনাকে নিয়ে কথা বলার আগে একটা গল্প বলি, ভিক্টর হুগোর লেখা, ১৭৯৩ এর ফরাসি বিপ্লবের পটভূমিতে রচিত। বাংলা নামটা হতে পারে "রক্তাক্ত তিরানব্বই"। গল্পটা অনেক বড়, সারাংশ টা বলার চেষ্টা করছি।
গল্পের শেষ পর্ব চলে ফুজারের লা তুর্গ্ দূর্গে। রাজতন্ত্রের একনিষ্ঠ সেবক মার্কুইস দ্যা লাঁতিনাক তার সীমিত সংখ্যক অনুসারী নিয়ে আশ্রয় নিয়েছে এই দুর্ভেদ্য দূর্গে। বাইরে দূর্গকে ঘিরে রেখেছে প্রজাতন্ত্রী বিপ্লবী দল। দলের সেনানায়ক গোঁভা, সাথে তার পিতৃতুল্য শিক্ষক সিমুরদ্যাঁ, বিপ্লবের সর্বোচ্চ পরিষদের প্রতিনিধি। মার্কুইসের পতন মানেই রাজতন্ত্রের মৃত্যু।
কিন্তু মার্কুইসের হাতের তুরুপের তাস তিনটি শিশু, যারা বিপ্লবী দলের কাছেও প্রাণপ্রিয়। এই মুহূর্তে তাদের আটকে রাখা হয়েছে সবচেয়ে উঁচু একটি কক্ষে, চারপাশে ঘিরে রাখা হয়েছে খড় দিয়ে। বিপ্লবীরা দূর্গ দখল নেয়ার চেষ্টা করলে তাদেরকে জ্যান্ত পুড়িয়ে মারা হবে। যাই হোক, গোঁভার নেতৃত্বে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর বিপ্লবীরা দূর্গ প্রায় দখল নিয়ে ফেলে কিন্তু মরবার আগে মার্কুইসের প্রধান সহকারী ইমানু শিশুদের ঘরে আগুন দেয়ার কাজটি সফল ভাবে করে যায়। শিশুদেরকে বাঁচানোর কোন উপায় নেই বিপ্লবীদের হাতে, শুধু তাকিয়ে দেখা ছাড়া।
মার্কুইস হয়তো ধরা পড়ল কিন্তু অনেক মূল্যের বিনিময়ে। এসময় ঘটে এক চমকপ্রদ ঘটনা। মার্কুইস নিজেই শিশু তিনটিকে বের করে নিয়ে নিচে নেমে আসে। সিমুরদ্যাঁ গ্রেফতার করে মার্কুইস দ্যাঁ লাঁতিনাককে। শাস্তি সবাই জানে: "গিলোটিন" (শিরোচ্ছেদ)।
কিন্তু রাতের বেলায় মার্কুইসকে ছেড়ে দেয় গোঁভা, নিজে গিয়ে বসে থাকে কারাগারে মার্কুইসের জায়গায়। সকালে এই ঘটনা প্রকাশিত হবার পর বিচার সভা বসে। আত্মপক্ষ সমর্থনে তার বক্তব্য ছিল এইরকম যে একটা প্রত্যক্ষ মহৎ কাজ তার চোখ থেকে মুছে দিয়েছিল শত অন্যায়ের ছবি। এই চিন্তায় সে ভুলে গিয়েছিল শত অগ্নিদগ্ধ গ্রাম, আহতের আর্তনাদ, হাজার বিপ্লবীর মৃত্যু যার জন্য মার্কুইস দায়ী। কৃতকর্মের জন্য গোঁভা নিজেই শাস্তি হিসেবে মৃত্যু দাবী করে।
বিচারসভায় বিচারক তিনজন। একজনের ভোট মৃত্যু, একজনের মুক্তি। শেষজন সিমুরদ্যাঁ। তিনি ভোট দেন মৃত্যু। গোঁভার মুখ খুশিতে উজ্জ্বল হয়ে উঠে।
পরদিন সকালে গিলোটিনের সাথে সাথে শোনা যায় একটি পিস্তলের অগ্নিবর্ষণের শব্দ। পুত্রতুল্য গোঁভার মৃত্যুদণ্ড দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন সিমুরদ্যাঁ।
এই গল্পটার সাথে আমাদের আলোচ্য ব্যাপারটার বেশ মিল রয়েছে আমার মনে হয়। মার্কুইস রাজার অনুগত, বুর্জোয়া, রাজতন্ত্রের অন্ধ সমর্থক আর বিপ্লবীদের চোখে অপরাধী। কিন্তু শেষ মুহূর্তে তার মানবিকতার যে উদাহরণ সে দেখালো গোঁভা তাকে অস্বীকার করতে পারেনি।
আবার সে প্রজাতন্ত্রের আদর্শকেও মনে প্রাণে স্হান দিয়েছে বলেই নিজের মৃত্যুকে চেয়েছে দ্বিধাহীনভাবে। তারপর সিমুরদ্যাঁ, তিনিও তার স্নেহ-মমতা আর বিপ্লবী আদর্শ, দুটো ভাবধারাকেই স্বীকৃতি দিয়েছেন একইসাথে, সমানভাবে। এখন সাদৃশ্যের কথায় আসি।
পর্নো বা এ্যাডাল্ট সাইটে কি থাকে? সহজ ভাষায় সেক্স কন্টেন্ট। কিন্তু বেশির ভাগ কন্টেন্ট থাকে আমাদের প্রচলিত স্বাভাবিক শারীরিক সম্পর্কের বাইরে, এক্ষেত্রে যারা সেক্স করছে দেখানো হয় তাদের পারস্পরিক রিলেশান হোক, অথবা করবার স্টাইলই হোক।
এক কথায় আমাদের সংস্কৃতির, কোন কোন ক্ষেত্রে সুস্হ সামাজিক আচরণের বিরুদ্ধাচারণ বলা যায়। এরকম একটি সাইটে নিয়মিত যাচ্ছে এমন একজনের কথা ধরে নিই। খুবই স্বাভাবিক একটি ব্যাপার হতে পারে যে এই মেম্বারটি সামাজিক জীবনে অন্য অনেকগুলো ভাল অথবা খারাপ চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের অধিকারী। সে হতে পারে স্কলারশীপধারী খুবই ভাল একজন ছাত্র/ছাত্রী, একজন ভাল বিতার্কিক, অথবা একজন ভাল চাকুরে, হতে পারে সে পরিবারের বখে যাওয়া কনিষ্ঠ ছেলে/মেয়ে, হতে পারে সে একজন দেশপ্রেমিক! হ্যাঁ পর্নো এ্যাডিকশন একটি সমস্যা, মাদকাসক্তির মতই। একজন পর্নো এ্যাডিক্টের পর্নো ছাড়া একদিনও চলেনা যেমন চলেনা মাদক ছাড়া একজন মাদকাসক্তের।
কিন্তু প্রশ্ন হল এরকম একজন এ্যাডিক্ট যদি যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের জন্য দাবী করতে আসে তখন কি হবে? আমি জানি আমার বাবা মা সবার আগে ছি ছি করা শুরু করবেন, তার সাথে আরো অনেক অনেক মানুষ। ঠিক আছে সে একজন আসক্ত ব্যাক্তি, তার একটি আচরণ সুস্হ সমাজাচরণ বিরোধী, কিন্তু তার দেশপ্রেমকে এর আড়ালে দুমড়ে মুচড়ে ফেলে দেয়া কতটুকু যুক্তিযুক্ত.... আরেকটু ধরে নিই, রাজাকারদের বিচার শুরু হয়েছে, গণ ভোট হচ্ছে, দুই পক্ষ সমান সমান। আরেকটি ভোট বেশি যে পাবে রায় তার দিকে যাবে। ভোটারও বাকি একজন, এসময় প্রশ্ন উঠল যে বাকি, সে একজন পর্নো/মাদকাসক্ত মানুষ এবং একইসাথে তার মনে রয়েছে দেশের জন্য অনেক ভালবাসা। তখন কি তার ভোট টা আমরা নেবনা? উপরের গল্পটার আলোকে বলছি, তার ভোট নেয়া হবে কিন্তু তার মানে এই নয় যে তার আসক্তিটাকে আমরা স্বাভাবিক বলে স্বীকার করে নিলাম, তার এই জীবনাচরণকে আমরা বৈধ করে দিলাম সমাজে।
তার দুই ধরনের আচরণকেই আলাদাভাবে মূল্যায়ন করতে হবে, কারণ গুরুত্বের দিক দিয়ে কোনটাই অগ্রাহ্য করার মতন নয়। তার দেশপ্রেমকে আমি শ্রদ্ধা করব, একই সাথে তার আসক্তির বিরুদ্ধে আমার অবস্হানও আমি স্পষ্টভাবে ঘোষণা করব।
পিয়াল ভাইকে আমি খুব ভাল চিনিনা, আমার ব্লগে আগমন বিচরণ খুব অল্প সময়ের। কিন্তু তার পরিচয় স্পষ্ট হয়ে উঠে "প্রবল আর্থিক স্ট্রাগলের সময়ও পিয়াল যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চায় , চাকুরির অনিশ্চয়তার মাঝে দাড়িয়েও পিয়াল যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চায় , নিজের সন্তানের জন্মের আনন্দ মুহুর্তেও পিয়াল যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চায় । " আবার রন্টি ভাই বলছেন, "তিনি ওখানে ৪১০০ এর উপরে পোষ্ট করেছেন।
কিভাবে মানুষের কাছে থাকা ভিডিও লোকজন পোষ্ট করবে সেগুলোর নিয়ম কানুন বিষয়ক পোষ্ট দিয়েছেন যা স্টিকি হয়ে আছে। এওয়ার্ড জিতেছেন, প্রায় প্রতিদিন একাধিক ভিডিও পোষ্ট করেছেন, চটি পোষ্ট করেছেন।
এসবই শুধু মাত্র নিজেকে জনপ্রিয় করে ওই সাইটের মডারেটরদের কাছাকাছি যাবার জন্য এবং তারপর ওই সাইট থেকে যুদ্ধপরাধী আন্দোলন শুরু করার জন্য, সেটা বিশ্বাস করতে আমার কষ্ট হলে আমাকে কি দোষ দেয়া যায়?"
হতে পারে পিয়াল ভাই একজন পর্নো ভক্ত। তাই তিনি এত সময় নষ্ট করে এত পোস্ট দেন, এত কন্টেন্ট পোস্ট করেন, পুরস্কার পান এবং নিজের সর্বশেষ পোস্টে উনি নিজের এই অর্জন গুলোর কথা সগৌরবে লিখে কিছুটা আত্মতৃপ্তি লাভের প্রয়াসও পেয়েছেন। কিন্তু তিনি যদি দাবী করেন এত কিছুর পিছনে তার আরেকটা উদ্দেশ্য ছিল তাহলে সেটা আমি কিছুটা হলেও বিশ্বাস করব।
কেননা ফলাফল উনি যা বলেছেন; যা আমরা এখন যৌবনযাত্রায় দেখতে পাচ্ছি, তা বিশ্লেষণ করলে কার্যকারণ হিসেবে তার এই "গোপন উদ্দেশ্য" কিছুটা হলেও কি যথার্থতার দাবীদার নয়? একটি বিশেষ ভিন্ন জীবনাচরণানুসারী একটি দল যদি একটি যথার্থ বৃহৎ উদ্দেশ্যে একাত্মতা প্রকাশ করতে চায় তাহলে অন্তত তার একাত্মতা প্রকাশের অধিকার টুকু আমি খর্ব করার দলে নই।
হাসান মাহবুব বলেছেন: জেবতিক ভাই,একটা সেমি পর্ণ সাইটে রাজাকারদের বিচারের দাবি তোলার খুব কি দরকার ছিল?দেখছেন না এখন পাকিস্থানপন্থীদের কিরকম আস্ফালন শুরু হয়েছে?ওরাতো এরকম সুযোগই চায়,তাইনা?আর দেখেন,মু্ক্তিযুদ্ধপন্থীদের অনেকেও এটাকে সমর্থন দিচ্ছেনা। এরকম একটা পরিস্থিতির উদ্ভব কোনভাবেই কাম্য নয়,যেটা পিয়াল এর কল্যাণে হয়েছে।
পাকিস্তানপন্হীরা কি চায় আমার সবাই তো জানি। সুতরাং তারা যদি "অশ্লীল একজন মানুষ দেশপ্রেমিক নয়" এই যুক্তি প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করে আমরা কেন সেটা মেনে নেব? আমরা জানি তাদের উদ্দেশ্য ঘৃণ্য, সেক্ষেত্রে তারা কি বলবে না বলবে সেটা কি আদৌ আমাদের চিন্তার বিষয়? আবার যদি আমাদের আরো একটি মুক্তিযুদ্ধ করতে হয় আমি অমি ভাই, বাঘ মামাকে যুদ্ধে আমার পাশে চাইব কারণ তারা যদি ১টা করেও রাজাকারকে নির্মূল করেন তাতে আমার দেশেরই লাভ বই ক্ষতি না।
আরেকটা ঐতিহাসিক উদাহরণ দেই, মুসলমানদের বিরুদ্ধে জেরুজালেমের ক্রুসেডে টেম্পলাররাও খ্রিস্টানদের সাথে অংশগ্রহণ করেছিল, যদিও খাঁটি খ্রিস্টানদের চোখে টেম্পলাররা মুসলমানদের চেয়েও ঘৃণ্য ও অবিশ্বাসী। কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে একই সাথে যুদ্ধ করলেও, তাদের বীরত্বকে স্বীকৃতি দিলেও খ্রিস্টানরা এছাড়া এক মুহূর্তের জন্যও টেম্পলারদের বিশ্বাসকে বৈধ বলে প্রশ্রয় দেয়নি।
আইরিন আপু বলেছেন:
"এডাল্ট সাইটে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার দাবী করে তার প্রচারনা করাটা নিতান্তই অসুস্থ মানসিকতা ছাড়া কিছুই মনে হয় নি আমার কাছে ...
এখন সবাই বলবেন, মানুষ-জন তো এসব সাইটে এমনিতেও যায়...তাহলে এখন যদি এমন সাইটে গিয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনামূলক কিছু পাওয়া যায় তো মন্দ কি !! কেউ কেউ বলবেন, এই সাইটের চেহারা অনেক পাল্টে গেছে ....কেউ কেউ বলবেন , এই সাইটে গেলে এডাল্ট কনটেন্টে যেতেই হবে এমন কোন কথা নেই ...
কিন্তু একাত্তর এর গাঁথা আর এডাল্ট কনটেন্ট এর লিংক বক্স পাশাপাশি দেখতে কারো খারাপ লাগে না জেনে আমার দু:খ হলো ...."
হ্যাঁ যেভাবে পিয়াল ভাই ঐ সাইটে তার কার্যকলাপকে শুধুই একটা মহৎ ভাবধারায় রূপায়িত করতে চেয়েছেন তার পোস্টে, সেটা পুরোপুরি সুস্হ মানসিকতা নয়। এইক্ষেত্রে প্রশংসা পাওয়া উচিৎ শুধুমাত্র তার উদ্যোগটির। আর আইরিন আপু, "একাত্তর এর গাঁথা আর এডাল্ট কনটেন্ট এর লিংক বক্স পাশাপাশি" দেখে আমারও ততটুকু দু:খ হয় যতটুকু হয় আমার খালার বাসার পাশাপাশি একটি নামকরা হোটেলকে দেখে, যেখানে দেহ ব্যবসার রমরমা আখড়া গড়ে উঠেছে।
প্রদীপের নিচে তো অন্ধকার থাকবেই, এটাকে স্বীকার করে নিয়েই এগিয়ে যেতে হবে। জেজে.কম তার জায়গায় পরিস্কার: "আমরা পর্নো ভালবাসি, কিন্তু রাজাকারদের ঘৃণা করি"। ওরা ওদের জায়গা থেকে প্রতিবাদ করুক, বাকিরা তাদের নিজের জায়গা থেকে। রাজাকারদের বিচার তো হোক।
আপু আরো বলেছেন, "কেউ কেউ বলছেন, সাইটের সাথে নাই তবে, উদ্যোগের সাথে আছে....কেমন জানি ধরি মাছ না ছুঁই পানি অবস্থা ....সরাসরি কেউ -ই বলছে না ...যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের জন্য আমরা অন্য কোন সাইট ব্যবহার করতে পারি ...কেউ প্রশ্ন করছে না, আমাদের কি এমন কোন ক্রুশিয়াল অবস্থা চলছে যে, একাত্তরের প্রচারণা স্বাভাবিক উপায়ে করতে গেলে অনেক বাধার সম্মুখীন হতে হবে, তাই এমন একটি সাইট বেছে নেয়ে যাতে দুস্কৃতিকারীরা কোন সন্দেহ করতে না পারে ...! "
ধরি মাছ না ছুঁই পানি অবস্হা কেন হবে? যে এক দিক দিয়ে খারাপ তার সবকিছুই খারাপ? আমরা তো ঐ গল্পও শুনেছি যে একজন কাফির মহিলা শুধুমাত্র মৃতপ্রায় কুকুরকে পানি খাইয়ে বেহেশত লাভ করে।
যেখানে আল্লাহ প্রত্যেকটা ভাল কাজের মূল্যায়নের নিশ্চয়তা দিয়েছেন, আমরা কেন সেটা দেখতে পাচ্ছিনা? আমরা অন্য সাইট কেন, সব বাংলাদেশী ফোরামই ব্যবহার করব এই প্রচারণায়।
তবে দেখা যাক, হয়ত শিঘ্রই এই সাইট বিপুল গ্রহণ যোগ্যতা পাবে, পত্র-পত্রিকায়, এমনকি নিউজ-চ্যানেলে কিনবা টক-শোগুলোতে কাভারেজ পাবে, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে দাবীতে সোচ্চার একটি এডাল্ট সাইট এবং এর সদস্য বৃন্দরা .... উদ্যোক্তা অমি রহমান ........
সাইটের গ্রহণযোগ্যতার প্রশ্ন আসেনা এখানে, তবে এটা একটা উদাহরণ হিসেবে উল্লেখযোগ্য হতে পারে অন্য ফোরামগুলোর কাছে যে ওরা যদি এ দাবীর জন্য কাজ করতে পারে আমরা কেন পারব না?
রন্টি ভাইয়ের কথা দিয়েই শেষ করছি:
"আমি পজেটিভলি দেখছি যে জেজে থেকে এ ধরনের একটি আন্দোলন করা হচ্ছে। দেশের বুদ্ধিজীবি, চাকুরে, ছাত্র গৃহীনি এরা যেমন যুদ্ধপরাধীদের ঘৃনা করবে, তেমনি এডাল্ট সাইট এও ঘৃনা প্রদর্শন করতে হবে। দেশের সেক্স ওয়ার্কাররাও পাকিজাত বদরদের ঘৃনা করবে। "
সবাই ভাল থাকবেন।
[বি:দ্র: কমেন্টগুলা পড়বেন, বিশেষ করে আইরিন আপু, জটিল আর ছন্নছাড়ার পেন্ন্সিলের, গুরুত্বপূর্ণ কিছু প্রশ্ন উঠে এসেছে।
অমি ভাইয়ের ফোকাস এখন ইতিবাচক পরিবর্তনের দিকে, তা যেখানেই হোক না কেন... নিচে উনার কমেন্ট আছে তাও কিছুটা তুলে দিলাম:
অমি রহমান পিয়াল বলেছেন: আসলে আমার এই সব তাত্ত্বিক বিশ্লেষণে অংশ নেয়া সময় নষ্ট করা মনে হয়। একটা পৃষ্টা বানানো হইছে। সেইটায় লোকজন আইসা নাম ঠিকানা লেইখা বলতেছে আমিও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাই। এই হইলো কাহিনী।
এখন সেইটা কোন জায়গা, আমি দেখতেছিনা। এরা বাঙ্গালী। একাত্তররে মহত অর্জন মানে। ]
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।