গোখরা দুনিয়ার সবচেয়ে বিষাক্ত সাপগুলোর একটি। এর একটা কামড়ে কেউ হয়তো সর্বোচ্চ চার ঘণ্টা জীবিত থাকতে পারবেন। কিন্তু মিস চাউয়ের জন্য এশিয়ার বিষাক্ত এই সাপটি রাতের খাবার। তাঁর ভাষায়, ‘সাপের মাংসে অনেক প্রোটিন, কোলাজিন থাকে। আর এটা একেবারেই কোলস্টেরলমুক্ত।
সাপের হাড়ে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম আছে। ’ সাপের মাংসের এই স্বাস্থ্যপোযোগিতার সুফল সবার কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য হংকংয়ে একটা রেস্তোরাঁ চালান মিস চাউ। ১৯৬৯ সালে প্রতিষ্ঠিত এই শিয়া ওয়ং হিপ রেস্টুরেন্টটি হংকংয়ের সবচেয়ে পুরোনো সাপের স্যুপের রেস্টুরেন্ট। মিস চাউয়ের বাবা ১৯৬০-এর শুরুতে সাপ বিক্রির ব্যবসা শুরু করেছিলেন। তখনই তাঁরা এই সরীসৃপ প্রাণীটাকে রান্না করে খাওয়াও শুরু করেন।
তবে আধুনিক যুগে খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তন হচ্ছে। আর এখন তরুণ প্রজন্মের খুব অল্প কিছু মানুষই জানে, কীভাবে এই স্যুপ তৈরি করতে হয়। সাপের এই স্যুপ ব্রংকাইটিস থেকে শুরু করে ডেলিরিয়াম পর্যন্ত বিভিন্ন রোগ সারিয়ে তুলতে পারে বলে অনেকেই বিশ্বাস করেন। প্রতি দুই সপ্তাহে সাপের স্যুপ খেলে শরীরের বিষাক্ত উপাদান ঘাম হিসেবে বেরিয়ে যায় বলে মত দিলেন রেস্টুরেন্টে খেতে আসা একজন ভোক্তা। তিনি বলেন, ‘এক বাটি স্যুপ পাঁচটি ভিন্ন জাতের সাপ দিয়ে তৈরি হতে পারে।
বিষাক্ত হোক বা না হোক, এদের সবারই রোগ নিরাময়ের ক্ষমতা আছে। সাপের স্যুপ যেখানে জনপ্রিয়
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।