বন্যপ্রাণীদের বাঁচান, পরিবেশ রক্ষা করুন
সাপের বিষের এখনো একমাত্র আধুনিক চিকিৎসা হল এন্টিভেনম বা বিষ প্রতিষেধক আর এটা তৈরি করা হয় সাপের বিষ থেকে। বিষ এক প্রকার প্রোটিন যা রক্তে এন্টিজেন হিসাবে কাজ করে।
কোন প্রাণী বা মানুষকে সাপ কামর দিলে রক্তের এন্টবডি এসে প্রতিরোধের চেস্টা করে কিন্তু বিষ শক্তিশালী এবং পরিমানে বেশী হলে সব প্রতিরোধ ভেঙ্গে পড়ে আর তাই বাড়তি প্রতিরোধের জন্য বাহির থেকে এন্টবডি দিতে হয় যা সাপের বিষ থেকেই বানাতে হয়।
প্রক্রিয়া:
১. প্রথমে কোবরা, কেউটে বা অন্যান্য বিষধর সাপ থেকে বিষ সংগ্রহ করা হয়।
২. সাপের বিষ শরীরে প্রবেশ করানোর জন্য প্রাণী নির্বাচন করা হয়।
সাধারনত ঘোড়ার শরীরে প্রবেশ করানো হয় তবে কোন কোন ক্ষেত্রে ভেড়া, ছাগল, খরগোশ, বিড়াল ও ব্যাবহার হ্য়।
৩. বিষ নির্দিষ্ট মাত্রায় ইনজেকশন দিয়ে ঘোড়ার শরীরে প্রবেশ করানো হয়। এই বিষের বিরুদ্ধে ঘোড়ার রক্তে এন্টিবডি তৈরি হতে থাকে।
৪. কয় মাস পর আবার বিষ শরীরে প্রবেশ করানো হয় তবে এবার একটু বেশী। এভাবে আস্তে আস্তে বিষের পরিমান বাড়নো হয়।
কয়েক বছর পর ঘোড়ার রক্তে শক্তিশালী এন্টিবডি তৈরি হয়।
৫. সেই ঘোড়াকে ছাকনিযুক্ত স্টেজে নিয়ে বিশেষ ছুরি দিয়ে জবাই করা হয় যাতে রক্ত না জমে সব রক্ত বের হয়।
৬. রক্ত সংগ্রহ করে রক্ত থেকে রক্তকনিকা বাদ দিয়ে শুধু সিরামটা আলাদা করা হয়।
৭.এর পর নির্দিষ্ট পরিমানে মেপে মেপে বোতলে ভরে বাজারজাত করা হয়।
৮. যাকে যেই সাপ কামড় দিবে তাকে শুধু সেই সাপের বিষ থেকে তৈরি এন্টিবডি সিরাম দিতে হবে অন্য সাপের দেলে কাজ হবে না।
তবে একাধিক সাপের বিষ মিশ্রন থেকে মাল্টিএন্টিভেনমও তৈরি করা হয় যা একাধিক সাপের বিষের বিরুদ্ধে কাজ করে।
সবাই ভাল থাকবেন বিষধর সাপ থেকে সাবধান থাকবেন সব সাপ কিন্তু বিষধর নয়
অহেতুক সাপ মারবেন না প্লিজ!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।