কিছু প্রিয় মুখ, কিছু সুখ স্মৃতি..... অফিসের সিড়িতে তখন। হঠাৎ ফোনটা এল।
-হ্যালো...
-দোস্ত কেমন আছিস?
-ভালো।
-আমাকে চিনতে পারছিস?
-না।
-দোস্ত আমি চেরাগ আলী....
ছায়েফ উল্লাহ।
আমার স্কুলের সবচেয়ে রাগী আর ভয়াবহ মারে ওস্তাদ কাশেম স্যারের ভাইস্তা ছায়েফ উল্লাহ। গ্রামের ছেলে। হাল চষে বেড়াত। চাচা ঢাকায় নিয়ে এসেছেন যদি মানুষ হয়। শরীর থেকে তখনও গ্রামের গন্ধ বেরোয়।
আর চেহারাটাও ছিল এমন যে এখনই ঠোটের কষ বেয়ে লালা গড়াবে। সুমন দুদিনের মাথায় নাম দিয়ে দিল চেরাগ আলী। ছায়েফ উল্লাহ মনে হল এই নামে অখুশী নয়। আমরাও মহা উৎসাহে চিৎকার করতাম চেরাগ আলী, চেরাগ আলী।
--আরে ছায়েফ উল্লাহ যে।
কেমন আছিস? কোথায় আছিস?
--ভাল আছি দোস্ত। তুই কেমন আছিস? অফিসে?
স্কুলে তখন সবচেয়ে মজার খেলা ছিল ছোয়াছুয়ি খেলা। এই ছায়েফ উল্লাহ কে ছোয়া কারওর কর্ম ছিল না। হরিনের মতো দৌড়াত। এক লাফে উচু দেয়ালে উঠে বসে থাকত।
পিচ্ছিল পেয়ারা গাছেও চোখের নিমিষে উঠে যেত। আর আমরা দৌড়ে দৌড়ে হয়রান।
লিকলিকে শরীরে এমন অংগভংগী করত যে ছায়েফ উল্লাহ ছাড়া একদিনও স্কুল জমত না। ব্যাপারটা এমন যে ছায়েফ উল্লাহ মানেই হুদাই হাসি।
--হ্যা দোস্ত।
তুই কোথায়? কি করছিস?
--দোস্ত, একটা স্কুলে আছি। ভাইস প্রিন্সিপাল। দোয়া রাখিস।
--আরি বাপ্পস। ভাইস প্রিন্সিপাল হয়ে গেছিস?
--আরে, কাশেম স্যারের স্কুল।
আমি না হলে হবে কে? স্যারে মেয়ের লাইনে আছি দোস্ত। দোয়া রাখিস।
আমি হাসি। বলি, ঠিক আছে দোস্ত। খাস দিলে দোয়া করছি।
(ক্রমশ...)
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।