এক সময় বই ছিল আমার নিত্য সঙ্গী , অনেক রাত জেগে বালিশ নিয়ে উপুর হয়ে বই পড়তে পড়তে বুক ব্যাথা হয়ে যেত । পড়া শেষ হতো না । আজো বইয়ের কথা মনে হলে আমার বুকে ব্যাথা হয়, তাদের মলাটে ধুলোর আস্তর জমেছে বলে । বইয়ের পোকা থেকে এখন আমি ইন্টারনেটের পোকা ।
মৌলভীবাজার জেলার জুড়ী উপজেলার গোয়ালবাড়ী ইউনিয়নের শুকনাছড়া, হায়াছড়া, কচুরগুল, লালছড়া, রূপাছড়া, সোনাছড়া, উত্তর কুচাইরতল, পূর্ব কচুরগুল প্রভৃতি পাহাড়ি জনপদ গুলোতে রয়েছে ৫শতাধিক কমলার বাগান ।
বেশ কয়েকদিন যাবৎ যাবো যাবো করছি জুড়ীর কমলা বাগান দেখার জন্য । শেষ পর্যন্ত বাগান দেখেই আসিনি আপনাদের জন্য ও কিছু ছবি তুলে নিয়ে এসেছি ।
তাহলে আসুন দেখা যাক জুড়ীর কমলা বাগান..........
নরসিংদী থেকে রওয়ানা দিয়ে, মাধবপুরের এই হোটেলে সকালের নাস্তা করি সকাল ৯টায় ......
জুড়ী পার হয়ে আরো দশ কিলোমিটার এমন সরু নির্জন পথ পারি দিয়ে আমরা পৌছি কালামাটি নামক গ্রামে ।
ওখানকার চা বাগান গুলোর মতো এতো সুন্দর চাগান আমি আর কোথাও দেখিনি । সারিবদ্ধ টিলাগুলো দেখলে মনে হয় যেন কোন শিল্পীর হাতের নিখুত বুনন ।
কমলার সরবত..........আগে কখনো খাইনি ।
আমাদের এক বন্ধুর মাধ্যমে এক লোকের ঠিকানা অনুসারে তার বাড়িতে গিয়ে তো আমরা তাজ্জব, আমরা ভেবেছিলাম ওরা আমাদেরকে শুধু একজন গাইড দিবে বাগান দেখার জন্য । কিন্তু ওরা আমাদের জন্য বিরাট মেহমানদারীর আয়োজন করে ফেলেছে ।
সেগুন বনের পাহাড়ি পথ দিয়ে যেতে হয় কমলার বাগানে.......
কমলা,,,,,,,,,,,,,,,,,
পাহাড়ি পথ, দুই পাশে শুধুই কমলা বাগান, বাগানের কমলাগুলো দেখা না যাওয়ার কারণ হলো কমলাগুলো বেশীর ভাগই সবুজ, আর তাছাড়া অর্ধেকের ও বেশী কমলা ইতিমধ্যেই বিক্রি হয়ে গেছে ।
এই লেবুর গুনাগুন শুনলে অবাক না হয়ে পারবেন না, এই লেবুটার নাম কাটা লেবু ।
এই লেবু খায় না মাথা ব্যথায় এই লেবুর রস মাথায় লাগালে নাকি ব্যথা সেরে যায় । কয়েকটা নিয়ে এসেছি, এখনো পরিক্ষা করে দেখা হয়নি ।
এগুলো সবই কমলা গাছ, কিন্তু অধিকাংশই কমলা শূন্য, বিক্রি হয়ে গেছে ।
ওখানকার একটি গাছ এভাবেই আমাদের ভালোবাসা জানলো
দীর্ঘ ৩ ঘন্টা কমলার পাহাড় হাটার পর ক্ষিদেটা কেমন লেগেছিল তা কি আর বলতে হয় । আর এমতাবস্থায় যদি বন মোরগের ঝালফ্রাই আর পোলাও সামনে চলে আসে এমন দাত বের হওয়াটা কি অস্বাভাবিক ?
জমির মহাজনের বাড়িতে খাইলাম, ওনাকে নিয়ে কমলার পাহাড় ঘুরে দেখলাম ওনার সাথে আমাদের একটা পোজ না দিলে তো আমাদের ট্যুরটা অপূর্ণই থেকে যায়, নাকি বলেন
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।