নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন (নাসিক) নির্বাচনের ফল রাজনীতিকদের কাছে জনগণের চোখের ইশারা ও মুখের ভাষা বোঝার একটি পরিষ্কার বার্তা। এ নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্র ও জনগণের বিজয় হয়েছে। সোমবার জাতীয় সংসদের মিডিয়া সেন্টারে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য ও তথ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ওবায়দুল কাদের।
সংসদীয় কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নাসিক নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্র ও জনগণের বিজয় হয়েছে। জনগণ কি চায় তা নির্বাচনের মাধ্যমে প্রমাণ হয়েছে।
পাশাপাশি সরকার ও নির্বাচন কমিশনের শতভাগ সফলতাও প্রমাণিত হয়েছে। তিনি বলেন, নির্বাচিত সরকারের অধীনে নির্বাচন কমিশন যে স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে তা প্রমাণিত হয়েছে। একই সঙ্গে ইলেট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) নিয়ে যে সব প্রশ্ন উঠেছিল তাও দূরীভূত হয়েছে।
ইভিএম প্রকল্প সম্পর্কে তিনি বলেন, এটি এখনও একটি পাইলট প্রকল্প। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে এটি পরীক্ষামূলকভাবে ব্যবহার হয়েছিল।
সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে যদি এর কোন ক্ষতিকর দিক থাকে তবে সবার সঙ্গে আলোচনা করে এটি বাদ দেয়া যেতে পারে। তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী ইভিএমের পক্ষে কথা বলছেন বলেই বিরোধীদলকে এর বিরোধিতা করতে হবে এমন নয়। তা হলে তো আর গণতন্ত্র থাকে না।
আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী শামীম ওসমানের পরাজয় নিয়ে সরাসরি কোন মন্তব্য না করে তিনি বলেন, কে জিতল, কে হারল, সেটা বড় বিষয় নয়। বিজয়ীকে আমাদের পক্ষ থেকে অভিনন্দন।
শামীম ওসমানকে দলীয় সমর্থন দেয়া ভুল ছিল কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, জনগণের রায় অবনত মসত্মকে মেনে নিয়েছি।
বিরোধী দলের নির্বাচন বর্জন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মধ্যরাতে মানুষকে ঘুমে রেখে কেন এই নাটকীয় সিদ্ধানত্ম? যদি বলি এটি তাদের কৌশলগত অবস্থান, তবে সেটা মধ্যরাতে কেন? সে ৰেত্রে বিরোধী দলের কৌশল ব্যর্থ হয়েছে মনত্মব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, তারা ইসু্য তৈরির চেষ্টা করছিল, কিন্তু পারেনি। তারা আরেকটি মাগুরা নির্বাচন চেয়েছিল কিন্তু তা হয়নি।
এদিকে সংসদীয় কমিটির বৈঠক সূত্র জানায়, কমিটির পক্ষ থেকে সমপ্রচার নীতিমালা কবে নাগাদ বাসত্মবায়ন হবে তা জানতে চাওয়া হয়। কিন্তু মন্ত্রণালয় কোন সদুত্তর দিতে পারেনি।
মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, সংশিস্নষ্ট সকলের সঙ্গে আলাপ করে নীতিমালা চূড়ানত্ম করা হবে।
ওবায়দুল কাদেরের সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রী আবুল কালাম আজাদ, শাহিন মনোয়ারা হক, সারা বেগম কবরী, সুকুমার রঞ্জন ঘোষ ও বিএম মোজাম্মেল হক এবং তথ্য সচিব হেদায়েতুলস্নাহ আল মামুন, প্রধান তথ্য কর্মকর্তা হারুন-অর-রশিদসহ সংশিস্নষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।