মুসলিম ব্রাদারহুডের সদস্যদের ‘নির্বিচারে’ ধরপাকড় বন্ধে মিসরের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। একই সঙ্গে নির্দিষ্ট কোনো দলকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত না করতে সতর্ক করে দিয়েছে দেশটি।
আজ শুক্রবার জুমার নামাজের পর কায়রোতে গণসমাবেশের ডাক দিয়েছে মুরসি-সমর্থক ইসলামপন্থীরা। মুরসিকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর গত সপ্তাহে তাঁর সমর্থক ও বিরোধীদের মধ্যে সংঘর্ষে ৯০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। বিবিসি ও রয়টার্সের এক খবরে এ তথ্য জানানো হয়।
হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জে কারনে গতকাল বৃহস্পতিবার নিয়মিত এক ব্রিফিংয়ে মিসরের উদ্দেশে বলেন, ‘এভাবে চলতে থাকলে তোমাদের জন্য তা হবে স্ববিরোধী কাজ। এতে মিসরের পক্ষে এই সংকট কাটিয়ে ওঠা কঠিন হয়ে পড়বে। ’
হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র বলেন, ‘যদি সব দলের সদিচ্ছা থাকে এবং সব দলকে অংশ গ্রহণের সুযোগ দেওয়া হয়, তবেই সফলভাবে কিছু অর্জন হবে। আমরা পরিষ্কার করে বলতে চাই, নির্বিচারে গ্রেপ্তারের বিষয়টি যুক্তরাষ্ট্র সমর্থন করে না। ’
জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুনও মিসরে কোনো দলকে বর্জন করার বিষয়ে সতর্ক করে দিয়েছেন।
মুসলিম ব্রাদারহুডের নেতাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করার পর গতকাল ওবামা প্রশাসন ও জাতিসংঘ উভয়ই উদ্বেগ প্রকাশ করে।
গতকাল মিসরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কামেল আমরের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন বান কি মুন। তিনি বলেন, ‘পরিষ্কার করে দিতে চাই, এখানে বড় কোনো দল বা সম্প্রদায়কে শাস্তি বা বর্জনের কোনো সুযোগ নেই। ’
এদিকে মন্ত্রিসভায় উদারপন্থীদের পাশাপাশি মুসলিম ব্রাদারহুডের নেতারাও থাকতে পারেন বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী হাজেম আল-বেবলাউয়ি। তিনি এখনো অন্তর্বর্তী সরকারের মন্ত্রিসভা গঠনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
তবে অন্তর্বর্তী সরকারে অংশগ্রহণের বিষয়টি নাকচ করে দিয়ে তাহরির স্কয়ারে গণসমাবেশ করবে ব্রাদারহুড। সংগঠনটির নেতা মোহাম্মদ বাদির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পর তাঁকে খুঁজছে পুলিশ। মিসরের বিচার বিভাগের অভিযোগ, বাদি ও ব্রাদারহুডের জ্যেষ্ঠ নেতারা অভ্যুত্থানের পরের সহিংসতার ঘটনায় জড়িত। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।