চলো সবাই সামনে এগিয়ে যাই.... কয়েকদিন আগের কথা। ঢাকা থেকে ময়মনসিংহের উদ্দেশ্যে উঠেছি এনা রিবহনে। সকালবেলা হোয়ায়ায় বেশ গতিতে চলছে বাস। কিন্তু গাজীপুর চেৌরাস্তা পার হয়েই বাসের গতি কমে গেল। বাস যেন এগোতেই চায় না।
আর সে কী ঝাকুনি। বাস একবার এদিকে হেলে আবার অন্যদিকে। বাসের ভেতরে সিটে হেলান দিয়ে বসে থাকা যাচ্ছে না। যারা ঘুমিয়ে গিয়েছিল, তারা জেগে উঠল। যারা পত্রিকা পড়ছে, তারা সোজা হয়ে বসল।
আর সবাই সামনের সিটকে শক্ত করে ধরে থাকল। সামান্য দূর গিয়ে বাসের গতি কিছুটা বাড়ল। কিন্তু মিনিট পাঁচেকের মধ্যেই আবার আগের অবস্থা। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের চিত্র এটি।
বাংলাদেশের ছয়টি জেলার যোগাযোগ হয় এই সড়কে।
আগে আরো খারাপ ছিল। বেশ কিছু অংশে কাজ হলেো এখন পযর্ন্ত অনেক জায়গায়ই কাজ হয়নি। ফলে দুভের্াগ কমেনি। প্রায় ৩০ কিলোমিটারের বেশি সড়ক জুড়ে এই অবস্থা। বাসের ভেতরে সুপারভাইজার হঠাৎ ড্রাইভারকে বলল, ' উস্তাদ আস্তে, সামনে আবুল!'
তার কথায় সবাই নড়েচড়ে বসল।
ব্যাপার কী? রাস্তায় তো কাউকে দেখা যাচ্ছে না। পরে সুপারভাইজার বুঝিয়ে দিল, `সামনে আবুল মানে, ভাঙ্গা গতর্। সড়কের ভাঙা অংশকে তারা আবুল বলে থাকে। ' তার কথায় অনেকে হেসে উঠল।
এই সড়ক কবে ঠিক হবে।
সামনে ঈদুল আজহা। সবাই বাড়ির টানে ঘরে ফিরছে। অথচ সড়কের বেহাল চিত্র মাননীয় মন্ত্রীর চোখে পড়ছে না। সরকার জেনেো কাজ হচ্ছে না।
ছয় জেলার লোকজন ঈদের সময় বাড়ি ফিরবে ঝাঁকুনি খেয়ে।
আবার ঢাকায় ফিরবে ঝাঁকুনি খেয়ে। এতে অবশ্য একটা উপকার আছে। শরীরের ব্যথা ভালো হয়ে যাবে। কিন্তু যার ব্যথা নেই, তার কিন্তু খবর আছে। ব্যথা ভালো হয়তে কয়দিন লাগবে আল্লাহই জানে।
আমার শরীর এখনো ব্যথা করে। রাস্তাটি কবে সংস্কার হবে। আল্লাহই জানে। আমাকে বাড়ি যেতে আবারো আবুলের মুখোমুখি হতে হবে!! ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।