বিচ্ছিন্ন দুয়েকটি ঘটনা ছাড়া উত্সবমুখর পরিবেশে প্রথম নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শেষ হয়েছে। নারী ও তরুণ ভোটারদের স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। ভোটার তালিকায় এলোমেলো হওয়ায় বেশিরভাগ কেন্দ্রেই ভোটারদের বাড়তি ভোগান্তির শিকার হতে হয়। নগর অভিভাবক নির্ধারণ করতে ভোটাররা ঘণ্টার পর ঘণ্টা দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করেন।
সকাল ৮টা থেকেই ১৬৩টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।
এর মধ্যে ৫৮টি কেন্দ্রে ইলেক্ট্রোনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম)-এর মাধ্যমে ভোট গ্রহণ করায় কিছুটা সমস্যায় পড়েন এসব কেন্দ্রের ভোটাররা। তবে নির্বাচন কমিশনের সহায়তায় খুব বেশি সময় স্থায়ী হয়নি এ সমস্যা। ভোট প্রক্রিয়া নির্বিঘ্ন করতে কেন্দ্রে সেনা মোতায়েন না থাকায় কিছুটা ভয় থাকায় দিনের শুরুতে কেন্দ্রগুলোতে ভোটারদের উপস্থিতি ছিল কিছুটা কম। কিন্তু বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নারায়ণগঞ্জে বিভিন্ন কেন্দ্রে ভোটারদের উপস্থিতি বাড়তে থাকে। উত্সাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে ভোটাররা ভোটকেন্দ্রে জড়ো হন।
তবে প্রথমবারের মতো ৫৮টি কেন্দ্রে ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট গ্রহণ করায় এসব কেন্দ্রের ভোটারদের দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে ভোগান্তিতে পড়তে হয়নি। ফলে বিশেষ করে বন্দর এলাকার বেশ কয়েকটি কেন্দ্রই সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ফাঁকাই দেখা গেছে।
সকাল ১০টার দিকে সদর থানার বিবি মরিয়ম বালিকা বিদ্যালয় কেন্দ্রে পুলিশের সহায়তা নিয়ে মেয়র প্রার্থী শামীম ওসমানের সমর্থক ডা. সেলিনা হায়াত আইভীর সমর্থক ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করতে দেয়নি। শহরের এবিসি স্কুল কেন্দ্রে সকাল থেকে দিনের বেশিরভাগ সময়ই দেখা গেছে চরম অব্যবস্থাপনা। কেন্দ্রে ভোটারদের দীর্ঘ লাইন থাকলেও অনেক বহিরাগতকে এই কেন্দ্রে অবাধে চলাফেরা করতে দেখা গেছে।
এতে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়। এছাড়া সকালে শহরের তোলারাম কলেজ, আদর্শ স্কুল, খানপুরে বার একাডেমি, এবিসি স্কুলে ডা. সেলিনা হায়াত আইভীর পোলিং এজেন্টদের ঢুকতে দেওয়া হয়নি বলে তিনি অভিযোগ করেন। তবে নির্বাচন কমিশনের হস্তক্ষেপে সকাল ১০টার পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। এদিকে নারায়ণগঞ্জ মরগান বালিকা বিদ্যালয় কেন্দ্রে আচরণবিধি ভঙের অভিযোগে সুনয়ন মাহমুদ ও মোরশেদুল ইসলাম নামে দু’ব্যক্তিকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আটক করেছেন। আটক ওই ব্যক্তি কেন্দ্রে প্রবেশ করে মেয়র প্রার্থী শামীম ওসমানের পক্ষে ভোটারদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করছিলেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সিদ্ধিরগঞ্জের আদমজী নগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, এমডব্লিউ উচ্চ বিদ্যালয়, পাইনাদী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বাতেনপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মিজমিজি পাইনাদী সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে পুলিশের উপস্থিতি থাকলেও র্যাব ও আর্মড পুলিশ কেন্দ্র থেকে অনেকটা দূরে অবস্থান করেছে। এতে শামীম ওসমানের কর্মীরা কেন্দ্রে প্রবেশ করে প্রভাব বিস্তার করছে। একই সঙ্গে তারা ভোটারদের ঘড়ি প্রতীকে ভোট দিতে ভোটারদের চাপ দিচ্ছে বলেও ভোটাররা অভিযোগ করেন।
সিদ্ধিরগঞ্জ বিদ্যুত্ উন্নয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে বেলা ১১টার দিকে গিয়ে দেখা গেছে, সেখানে ভোটারদের উপস্থিতি নেই বললেই চলে। তবে এই কেন্দ্রে প্রচুর পুলিশ, র্যাব ও আর্মড পুলিশ সদস্য নিয়োজিত ছিল।
নারায়ণগঞ্জের ২০টি ভোটকেন্দ্রের সার্বক্ষণিক পরিস্থিতি সরাসরি পর্যবেক্ষণের জন্য বসানো হয়েছিল সিসি টিভি ক্যামেরা। শহরের শহীদ জিয়া হলে এর নিয়ন্ত্রণ কক্ষ ছিল। ১৩টি এলসিডি পর্দায় সরাসরি কেন্দ্রগুলোর ভেতর ও বাইরের অবস্থা পর্যবেক্ষণ
করা হয়।
Click This Link page_id= 7 ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।