আঁধার এর রক্তশীতল করা শীত এর মধ্যে কাঁপতে থাকা ছেলে টি কে গাড়ির আলোয় কেমন জানি খেলনা লাগে, খেলনা যেমন অসার বস্তু ঠিক তেমনি- নড়ে না চড়ে না। ঘোলাটে দৃষ্টি তে তাকিয়ে পার্থিব শুন্যতা উপভোগ করছিল,। দেখে বেচে আছে না মরে গেছে বোঝা যায় না।
বস্তির চিপা রাস্তাটি তে গাড়ি চালাচ্ছিলেনন এক ভদ্রলোক। রাস্তা টি যৌনপল্লীর প্রবেশ পথ।
রাগত স্বর এ ভদ্রলোক টি ছেলে টি কে গালি দিয়ে রাস্তা থেকে সরতে বললেন। কাঁপতে থাকা ছেলেটি নড়তে পারছিল না। অবশেষে আবার গালি শুনে অনেক কষ্টে রাস্তার আরও কোণায় গিয়ে বসল। ভদ্রলোক টি গালি দিতে দিতে গাড়ি নিয়ে পাশ কাটিয়ে চলে গেলেন। ছেলেটি তখনও ঘোলাটে দৃষ্টি তে ই তাকিয়ে ছিল।
এক হুজুর লণ্ঠন জ্বালিয়ে সাইকেল চালাচ্ছিলেন। ছেলেটি কে দেখে সাইকেল থেকে নামলেন, বিড়বিড় করে কি যেন পড়ে ছেলেটির মাথায় ফু দিয়ে খুব গর্বের ভঙ্গি নিয়ে রাস্তা দিয়ে চলে গেলেন। তবে এতে ছেলেটির ছেলেটির খুব একটা কাজ হল না, ছেলেটির দৃষ্টি তখনও ঘোলাটে।
অতি বেসুরা গলায় গান গাইতে গাইতে উসকোখুসকো চুল অলা এক বাক্তি ছেলেটির পাশে বসে ছেলে টি কে কিছুক্ষন গান শোনালেন। পকেট থেকে একটি বোতল বের করে গলা পরিষ্কার করে নিলেন, গলা আরও বেসুরা হয়ে গেল।
আরও কিছুক্ষন গান শোনানোর পর আবার বোতল টি বের করে লাল বর্ণের পানি গিলে গান গাইতে গাইতে চলে গেলেন। ছেলেটি কাঁপছিল।
মধ্য রাত এর দিকে একটি মেয়ে এসে বসলো ছেলেটির পাশে, গায়ে পোশাকের অবস্থা
খারাপ। জীর্ণতার শেষ পর্যায়ে অবস্থিত একটি কাঁথা ছাড়া আর কিছুই ছিল না।
একটু পর মেয়ে টি ছেঁড়া কাঁথার একাংশ দিয়ে ছেলে টি কে মুড়ে নিল।
ছেলেটির চোখ বন্ধ হয়ে আশ্ছিল।
ছেঁড়া কাঁথার উষ্ণতায় নাকি অন্য কিছু- কে জানে.........! ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।