কিচ কিচ কুচ কুচ কাচ কাচ কোচ কোচ!!! PART ONE: The Fissure
১
আমার বন্ধু জাকারিয়া।
জাকারিয়াকে আমার বন্ধু বলা যায় কি না বুঝতে পারছি না। একটা মানুষ যদি সারাক্ষণ আরেকটা মানুষকে কিভাবে খুন করা যায় এই চিন্তা করে, তবে কি তাদের পরস্পরকে বন্ধু বলা যায়? জানি না। তবু জাকারিয়াকে বন্ধু বলতেই হচ্ছে।
কারণ সে আমার বন্ধু ছিল।
আমার বন্ধু কাম ক্লাসমেট কাম রুমমেট।
২
জাকারিয়ার সাথে আমার দেখা ২০০৭ সালের ৯ জানুয়ারি। ঐদিন আমাদের ক্লাস শুরু হয়েছিল।
জাকারিয়া ছেলেটা একটু আঁতেল টাইপ। ওর চিন্তাভাবনা খালি পড়া আর পড়া।
আর আমি একদমই উল্টো। পড়তে নয়, দুপুরে বিকালে যখন তখন ফুটবলই আমার ধ্যানজ্ঞান। জাকারিয়া অন্তর্মুখী, আমি বহির্মুখী। জাকারিয়া রক্ষণশীল, আমি উদার।
রবীন্দ্রনাথ সাহেব সেই কবে বলে গিয়েছিলেন, মাটি আর পানির মধ্যেই মিলন হয় ভালো, কারণ দুটো একদমই পরস্পরবিরোধী।
মাটি রুক্ষতার পরিচায়ক, পানি কোমলতার আইকন। দুয়ের মধ্যে রসায়ন জমে ভালো।
হয়তো ঠিক সেই কারণেই এক মাসের মধ্যেই আমি আর জাকারিয়া পরস্পরের খুব ভালো বন্ধু হয়ে গেলাম। আমাদের বন্ধুত্ব ক্রমে ভ্রাতৃত্বের বন্ধনকেও ছাড়িয়ে গেল। আমাদের বন্ধুত্ব দেখে অন্যরা, এমনকি সিনিয়ররাও হিংসা করতেন আমাদের।
৩
আমরা যখন সেকেন্ড ইয়ারে, ঠিক তখনই ঘটল ঘটনা। আমরা প্রেমে পড়লাম।
একসাথে প্রেমে পড়লাম।
একসাথে একটা মেয়েরই প্রেমে পড়লাম।
তিথি।
ফার্স্ট ইয়ার। মাঝারি হাইট, ফর্সা গাল। সরু সরু হাত পা। হাসলে গজদন্ত বেরিয়ে আসে।
আমাদের মনে হল, ঐ একটা গজদন্ত দেখে দেখে সারাজীবন পার করে দেয়া যায়।
৪
হ্যাঁ, প্রিয় পাঠক। এতক্ষণে আপনারা বুঝে গেছেন, কেন আমার সবসময় জাকারিয়াকে খুন করতে ইচ্ছা করে।
অথবা, কেন জাকারিয়ার সবসময় আমাকে খুন করতে ইচ্ছা করে।
PART TWO: The Solution
৫
আমাদের মধ্যে মুখ দেখাদেখি বন্ধ আজ প্রায় এক বছর।
আমি যে টয়লেটে যাই জাকারিয়া সেটায় যায় না।
আমি যে ক্যান্টিনে খাই জাকারিয়া সেটায় খায় না। আমাদের দুজনেরই বেডের সামনে পর্দা, যাতে কেউ কাউকে দেখতে না পারি। আমরা কেউ রুমে জোরে কথা বলি না, যাতে অন্যের ভয়েজ আমাকে শুনতে না হয়।
এর মধ্যে তিথি ঘটনা জেনে ফেলেছে। আমার বন্ধুরা তাকে বলেছে।
আমি বা জাকারিয়া, কেউই তাকে এখনও প্রপোজ করি নি। আমরা জানিই না আদৌ তিথি আমাদের কাউকে পছন্দ করবে কি না, বা অলরেডি করে কি না। শুধু এটুকুই জানি তিথির কোন বয়ফ্রেন্ড নেই, আসলে আমার ব্যাচমেট সিনিয়র জুনিয়র মোটামুটি সবাই আমার জাকারিয়ার আর তিথির এই ত্রিভুজ অচলাবস্থার কথা জানে। তাই আর কেউ ওকে প্রপোজ করে নি।
কিন্তু এভাবে তো দিন চলতে পারে না।
অবশেষে আমি নিয়ম ভাঙলাম। জাকারিয়াকে গিয়ে পাথর মুখে বললাম, “এভাবে চলতে পারে না”।
জাকারিয়া পাথর মুখে উত্তর দিল, “তুই কি বলতে চাস?”
আমাদের মধ্যে সমঝোতা হল। আমরা একই সময় একই সাথে তিথিকে প্রপোজ করব। তিথি যাকে একসেপ্ট করবে তিথি তার।
একজনকে একসেপ্ট করার পর এই সব রাগ ভুলে আগের মত বন্ধু হয়ে থাকতে হবে আমাদের দুজনকে। তিথির কথা তোলা যাবে না কোনোমতেই।
আমাদের প্রস্তাবে আমরা রাজি হয়ে গেলাম।
৬
দুপুর বারোটা।
ফুচকা মামার দোকানের সামনে।
আমি আর জাকারিয়া হাঁটু গেঁড়ে বসে আছি। আমাদের হাতে টাটকা গোলাপ ফুল। আমাদের সামনে মুখে হাত দিয়ে যে মেয়েটা লজ্জা লুকাচ্ছে তার নাম তিথি। যার গজদন্ত আমরা দুজনেই প্রতি রাতে স্বপ্নে দেখি।
আমরা একসাথে বললাম, “তিথি আই লাভ ইউ।
আমি তোমায় বিয়ে করতে চাই”।
তিথি লজ্জায় মুখ লুকাল। আমাদের ঘিরে প্রায় একশ ছেলেমেয়ে, বিভিন্ন ব্যাচের। কয়েকজন আবার ভিডিও করছে পুরো ঘটনা, কেউ কেউ আবার স্লোগান দিচ্ছে আমার বা জাকারিয়ার নামে।
অবশেষে তিথি বলল, “আমায় একটু সময় দিন”।
আমরা সময় দিলাম। হতাশ হয়ে ভিডিও বন্ধ করে চলে গেল অতি উৎসাহী পোলাপান।
৭
দুদিন পর তিথি বলল, “আপনারা দুজনেই সমান ভালো। দুজনেই সমান যোগ্য। আর দুজনেই আমাকে ভালবাসেন।
সুতরাং আমি কাউকেই হ্যাঁ বলতে পারছি না। আপনারাই ডিসাইড করুন কে আমাকে ভালবাসবেন, আমি তারই হব”।
“আমরা কিভাবে ডিসাইড করব?”
“নিজেদের উপর টেস্ট করুন। নিজেকে চ্যালেঞ্জ দিন। তারপর দেখুন, আমার জন্য কে বেশী স্যাক্রিফাইস করতে পারবেন।
নিজেই বুঝে নিন, কে আমাকে বেশী ভালোবাসেন। ব্যস, আমায় বলুন। যার কথাই বলবেন আমি তাকেই মেনে নেব”।
৮
আমি জাকারিয়াকে পুরো প্ল্যানটা বুঝিয়ে দিলাম।
এটা তো আর সম্ভব না যে মেয়েটা দুজনকেই এক্স্যাক্টলি সমান ভালবাসে।
নিশ্চয়ই কাউকে একটু হলেও কম বাসে আর কাউকে একটু হলেও বেশী বাসে। আর এটাই, আমার নতুন এক্সপেরিমেন্টের মূল লক্ষ্য।
আমি জাকারিয়াকে বললাম, “শোন, তিথি কাকে বেশী ভালবাসে এইটা বের করার একটাই উপায়। ওকে তুই প্রথমে Benzodiazepine খাওয়াবি। খাওয়ানোর পর বলবি, আমি মারা গেছি।
তিথি নিশ্চয়ই এতে খুব রিঅ্যাক্ট করবে, কান্নাকাটি করবে। ওষুধের প্রভাবে কিছুক্ষণ পরই সে ঘুমিয়ে যাবে। তুই সংবাদটা দেবার পর থেকে ওর ঘুমানোর আগ পর্যন্ত পুরো সময়টা ভিডিও করবি।
তারপর ঘুম থেকে উঠার পর তিথি সবকিছু ভুলে যাবে। কারণ Benzodiazepine খেলে Anterograde amnesia হয়, তার মানে ওষুধের প্রভাব থাকা পর্যন্ত ব্রেইনে কোন নতুন মেমোরি তৈরি হতে পারে না।
সুতরাং ওষুধ খাওয়ানোর পরে আমার মৃত্যু সংবাদ এবং সেটা পাবার পর ওর যে রিঅ্যাকশন, কিছুই ওর মনে থাকবে না।
এর পরে পালা আসবে আমার। আমি ওকে Benzodiazepine খাওয়াব, তারপর তোর মৃত্যুসংবাদ দেব। ও রিঅ্যাক্ট করবে, কান্নাকাটি করবে। তারপর ঘুমিয়ে যাবে।
আমি পুরো ব্যাপারটা ভিডিও করব। বলা বাহুল্য, এই ঘটনাও তিথি ঘুম থেকে উঠে মনে করতে পারবে না।
তারপর, দুটো ভিডিও মিলিয়ে দেখা হবে। ব্যস, যার মৃত্যুসংবাদ পেয়ে সে বেশী রিঅ্যাকশন দেখাবে তিথি তারই হবে। ইটস সো সিম্পল।
রাজি?”
জাকারিয়া মাথা নাড়াল। সে রাজি।
PART THREE: The Video
৯
জাকারিয়ার করা ভিডিও এখন আমার কাছে।
নিজের করা ভিডিও আমি অসংখ্যবার দেখেছি। দেখেছি কিভাবে জাকারিয়ার মৃত্যুসংবাদে ভেঙে পড়েছে তিথি, কিভাবে ডুকরে কেঁদে উঠেছে।
কিভাবে চিৎকার করে ভাগ্যকে দুষেছে, কিভাবে নিজেকে অপয়া বলে গালি দিয়েছে। কিভাবে পরম নির্ভরতায় আমাকে জড়িয়ে ধরতে গিয়ে মেঝেতে পড়ে ঘুমিয়ে গেছে সে।
জাকারিয়ার ভিডিওতে কি আছে? আমার মৃত্যুসংবাদে কি রিঅ্যাকশন দেখিয়েছে তিথি? সে কি কেঁদেছে? কেঁদে কেঁদে ভিজিয়েছে ওড়না? নাকি পাথর হয়ে গেছে এই আচমকা সংবাদ শুনে?
নাকি খুশি হয়েছে? খুশি হয়ে জড়িয়ে ধরেছে জাকারিয়াকে? এমন কি হতে পারে না যে আমিই হয়ে ছিলাম ওদের পথের বাঁধা? এমন কি হতে পারে না যে তিথি আসলে আমাকে কখনই ভালবাসে নি?
আমি ভিডিও ফাইলটা ওপেন করলাম। আজ আমি খুব ক্লান্ত। ভিডিও দেখেই ঘুমাতে হবে।
ভিডিওটা চালু হবার সাথে সাথে জাকারিয়া আমার পাশে এসে বসল। ওর হাতে পেপসি। তৃষ্ণার্ত আমি ঢকঢক করে খেয়ে নিলাম চরম ঠাণ্ডা পেপসি।
অনেক অনে-ক দিন পর, জাকারিয়ার সাথে শেয়ার করে কিছু খেলাম আমি।
১০
আরে! এটা কোন রুম! এটা কোন বিছানা!
ভিডিওতে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে, এটা আমারই রুম।
আমারই বিছানা। ভিডিওতে আমি অবাক হয়ে ঢুলুঢুলু চোখে জাকারিয়ার দিকে চেয়ে আছি।
ভিডিওতে জাকারিয়া আমায় বলল, “দোস্ত, শান্ত হ। আমার কথা খুব মনোযোগ দিয়ে শোন। তিথি মারা গেছে”।
ভিডিওর আমি চমকে উঠলাম। মুখ লাল হয়ে গেল আমার। আমি তীব্র কটাক্ষ হেনে ভিডিওর জাকারিয়াকে বললাম, “তুই মিথ্যে বলছিস। তুই আমাকে মিথ্যা বলছিস”।
ভিডিওর জাকারিয়া আমাকে বলল, “না।
এই দেখ ওর রুমমেটের মেসেজ। বাসায় যাবার পথে পদ্মায় লঞ্চডুবি হয়ে তিথি মারা যায়। ওরা একটু আগেই খবর পেল”।
ভিডিওর আমি চূড়ান্ত অবিশ্বাস নিয়ে জাকারিয়ার দিকে তাকিয়ে রইলাম। তারপর হঠাৎ মাথা চেপে ধরলাম।
আমার কণ্ঠ থেকে স্রোতের মত বেরুতে লাগলো বেদনার্ত আর্তনাদ।
বাস্তবের আমি তখন হা করে স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে আছি। জাকারিয়া আমার হাত ধরে রেখেছে।
আমি হতবাক হয়ে ভিডিওর শেষ পর্যায়ে দেখলাম, ভিডিওর আমি জাকারিয়ার দিকে তাকিয়ে অদ্ভুত স্বরে বলছি, “তিথি গেছে তো কি হয়েছে? আমি স্বর্ণাকে ভালোবাসি। ভিতরে ভিতরে আমি ওকেই ফার্স্ট ইয়ার থেকে ভালবাসতাম।
তিথি গেছে তো কি হয়েছে, স্বর্ণা তো আছে। ও-ই এখন শুধু পারে আমার শূন্য হৃদয় ভরিয়ে তুলতে”।
বাস্তবের আমি চোখে মুখে হাজারটা প্রশ্ন নিয়ে জাকারিয়ার দিকে তাকালাম। জাকারিয়া আমার কাঁধে হাত রেখে বলল, “দোস্ত, কিছু মনে করিস না। তিথিকে এই ভিডিও দেখানো হয়েছে”।
“দেখানো হয়েছে!! ইউ রাস্কেল! কেন, কেন আমার এতবড় সর্বনাশ করলি তুই?” চিৎকার করে বললাম আমি।
জাকারিয়া খুব শান্ত স্বরে বলল, “দোস্ত, প্রেম ব্যাপারটা খুব খারাপ। এই প্রবাদটা জানিস না, দেয়ার ইজ নো রুল ইন লাভ অ্যান্ড ওয়ার? আমি জানতাম না তোর এই অদ্ভুত এক্সপেরিমেন্টের রেজাল্ট কি হবে। আমি জানতাম না তোর এই অদ্ভুত খেলায় কে জয়ী হবে। তাই নিজেকে সেফ করার জন্য আমাকে এই পদ্ধতি অবলম্বন করতে হল।
তোরই বাতলানো পদ্ধতিতে আমি তোকে benzodiazepine খাওয়ালাম, তারপর তোকে তিথির মৃত্যুসংবাদ দিয়ে সেটা ভিডিও করলাম। আমি জানতাম স্বর্ণা মেয়েটার প্রতি তুই একটু হলেও উইক, আমি শুধু দেখতে চেয়েছিলাম তোর অবচেতন মন এখনও স্বর্ণাকে চায় কি না, তিথির মৃত্যুর সংবাদে স্বর্ণাকেই একমাত্র অল্টারনেটিভ হিসেবে গণ্য করে কি না। সরি দোস্ত, তুই স্বীকার না করলেও, তোর অবচেতন মন এখনও স্বর্ণাকে চায়। আমার মনে হয় তোর স্বর্ণাকেই প্রপোজ করা উচিৎ। পিং পং বলের মত লাফাইলেও, মেয়েটা ভালোই”।
ভিডিও শেষ হয়ে গেল। আমি হাত মুঠ করে জাকারিয়ার দিকে ঘুষি পাকিয়ে ধরলাম। জাকারিয়া আলতো করে আমার হাত ধরে ফেলল।
এ কি! কোন দিন ব্যায়াম না করা স্বল্পাহারী জাকারিয়ার হাতে এত শক্তি এল কোথা থেকে? আমি আমার হাত নাড়াতে পারছি না কেন?
১১
“সরি দোস্ত। আমি চাইনা এই পরাজয়ের স্মৃতি স্মরণ করে তুই সারাজীবন কষ্ট পাস।
আমি চাইনা সারাজীবন তুই আমার ঠগবাজি মনে রাখিস, আমি চাইনা সারাজীবন তুই আমার উপর রাগ পুষে রাখিস। সরি দোস্ত, আমি চাইনা তুই আজকের এই ঘটনার একটা সেকেন্ডও মনে রাখিস”।
আমি বিছানায় শুয়ে আছি। ঘুমে আমার চোখ জড়িয়ে আসছে। পেপসির বোতল এখনও অর্ধেক খাওয়া।
প্রথম অর্ধেক আমিই খেয়ে রেখেছিলাম।
জাকারিয়া পেপসির বোতল ডাস্টবিনের উপর উপুড় করে ধরেছে। বোতলের অবশিষ্ট পেপসি ডাস্টবিনে পড়ে যাচ্ছে। আমার খুব ঘুম পাচ্ছে।
গভীর ঘুম।
পরিশিষ্টঃ
এই গল্পটা স্বর্ণাকে দেখানোর পর স্বর্ণা বলল, ফাইজলামি করস?
আমি মুখটা যথাসম্ভব নির্দোষ রেখে বললাম, ক্যান কি করছি?
স্বর্ণা বলল, আমি পিং পং বলের মত লাফাই? ফাইজলামি করস? মাইর চিনস?
আমি বললাম, না চিনি না। চিনায়ে দে।
স্বর্ণা বলল, আর তুই আমার পারমিশন নিয়া গল্প লিখছস ঠিক আছে, কিন্তু ফেসবুকে দিছস ক্যান? এখন সবাই আমারে পিং পং পিং পং বইলা খেপাইতেছে। মাইর চিনস?
আমি বললাম, না চিনি না। চিনায়ে দে।
ঠিক এই মুহূর্তে জাকারিয়া এল। তার মুখে হাসি। তাকে নিয়ে গল্প লেখা হয়েছে, এটাই তার হাসির কারণ।
জাকারিয়া আর স্বর্ণা ফুচকার দোকানের দিকে যাচ্ছে। আমি তৃষিত চোখে তাদের দিকে তাকিয়ে আছি।
জগতের লেখকমাত্রই একাকী, এবং অসুখী। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।