কল্পনার তুলির আঁচড়ে মনের ক্যানভাসে আঁকা ছবিগুলো দিয়ে জীবন রাঙ্গানোর অপচেষ্টা মাত্র
মানিব্যাগে খুচরা টাকা আছে কি না দেখার জন্য পকেটে হাত দিলাম। হাত দিয়ে মনে হল পকেটের ভিতরে চামড়ার যে বস্তুটা অবস্থান করছে সেটা আমার নয়। কিভাবে এত বড় ভুল হল বুঝতে পারছি না। ভালভাবে দেখার জন্য ভিতরে দৃষ্টি নিক্ষেপ করলাম।
বেশ স্টাইলিশ তবে গতানুগতিক ছেলেদের মানিব্যাগ যেমন হয় এটিও তার ব্যতিক্রম নয়।
অসংখ্য ভিজিটিং কার্ড আর কতগুলো ভাঁজ করা কাগজ। ব্যতিক্রম হল কাগজের ভাঁজে বেশ যত্ন সহকারে লুকিয়ে রাখা একটি ছবি পেলাম। ছবিটি আলগা করে ভালোভাবে দেখতে লাগলাম। সুন্দরী এক তরুনী। বেশ সুন্দর, গায়ের রঙ এর সাথে ম্যাচ করা শাড়ি পরিহিতা।
মেহেদি রাঙ্গানো হাত। আঁকানো চোখ। রাঙ্গানো ঠোঁট। ঠোঁটের কোণে এক চিলতে হাসি। খোলা চুলগুলো বাতাসে উড়ছে।
হাত নেড়ে প্রানবন্ত ভঙ্গিমায় কিছু বলছে।
আমি মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে রইলাম। কিন্তু মনের ভেতর কেমন যেন একটা যন্ত্রনা অনুভব করছিলাম (ঠিক বুঝিয়ে বলতে পারব না অনেক অনেক দূর থেকে যন্ত্রনাটা ভেসে আসছিল)। মনে হচ্ছিল মেয়েটির কাছ থেকেই আসছিল। মেয়েটি যেন আমাকেই কিছু বলছিল।
কিন্তু অনেক চেষ্টা করেও তাকে চিনতে পারলাম না। এরকম একটি সুন্দরী মেয়ের কথা ভুলে যাওয়া আমার পক্ষে কি করে সম্ভব? হয়তো দুরন্ত বাতাস তার চুলগুলোকে যেমন কর উড়িয়ে নিতে চাইছে, ঠিক তেমনিভাবে তাকেও আমার স্মৃতির মনিকোঠা থেকে দূরে সরিয়ে নিয়ে গেছে।
আমি ব্যাগটা তন্ন তন্ন করে খুঁজলাম। ব্যাগটা আমার নয় সে ব্যাপারে কোন সন্দেহ অবশিষ্ট রইল না। কারণ গোপন স্থানে বিরাট অঙ্কের টাকা রাখা।
ছবির তরুণী যেন টাকার বান্ডিলটা আমার বলেই আশ্বস্ত করছিল। কিন্তু দুরন্ত বাতাসে উড়ন্ত চুলের সুন্দরী মেয়েকে সত্যিই কি বিশ্বাস করা চলে?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।