আমার এই পথ চাওয়াতে আনন্দ...... সারাদিন আরদি'র একটার পর একটা নালিশ লেগেই থাকে । সাথে থাকে আজব সব প্রশ্ন । এই যেমন , মা - পড়ে গেলাম কেন ? পানি খাবো কেন ? স্কুলে যাবো কেন ? তুমি রান্না করো কেন ? বাবা অফিসে যায় কেন ? ট্রেন এতো লম্বা কেন ? ইত্যাদি ইত্যাদি ... মেজাজ খারাপ করা সব প্রশ্ন।
এমনিতেই ইদানীং পড়াশুনার ভীষণ চাপ যাচ্ছে - মন মেজাজ আগুন হয়ে থাকে সবসময় - তার উপরে ছেলের প্রশ্নের মিছিলে আমি প্রায় নাই হয়ে যাচ্ছি । আর মরার উপর খাঁড়ার ঘা হিসাবে এখন তার স্কুলে হেমন্তকালীন ছুটি চলছে - এবং যথারীতি ছেলে বাসায় থেকে তার প্রশ্নের ব্যাংকটা ঝালায় করে নিচ্ছে
আজকে দুপুরে একটা ম্যুভি অন করে ছেলেকে কিছু খাবার দিয়ে সোফায় বসায় দিয়ে বললাম " তুমি খাও আর মুভ্যি দেখো - আমি এখন পড়াশুনা করবো ।
আম্মুকে একদম বিরক্ত করবানা । ওকে ?"
সাথে সাথেই ছেলের প্রশ্ন " মা - কেন বিরক্ত করবোনা ?"
যাহোক, সন্ধ্যায় গুরুত্বপূর্ণ একটা পরীক্ষা আছে - তাই তাড়াতাড়ি পড়ায় ডুব দিলাম । বেশ কিছুক্ষন পর - ছেলে কানতে কানতে এসে বলল > > >
আরদি - মা মা - দেখো আমার আঙ্গুলে ব্যাথা দিয়েছে ।
আমি - কে ব্যাথা দিয়েছে ?
আরদি - আমার হাত আঙ্গুলকে ব্যাথা দিয়েছে
[ আসলে সে খুচিয়ে খুচিয়ে তার একটা নখের কোনা একটুখানি তুলে ফেলেছে]
আমি বললাম - তাহলে হাত টাকে একটা বকা দাও
আরদি - কার হাতকে বকা দিবো ?
আমি - তোমার হাতকে বকা দাও
আরদি - কেন আমার হাতকে বকা দিবো ?
আমি - কারণ তোমার হাত নাকি তোমার আঙ্গুলকে ব্যাথা দিয়েছে
আরদি - কেন ব্যাথা দিয়েছে ?
আমি - ঐ বেটা তার আমি কি জানি ? (খুব রেগে গিয়ে )
আরদি - তুমি জানোনা কেন ?
আমি - ঐ তুই চুপ করতো বাপ একটু ।
আরদি - তাইলে কি আমার আঙ্গুলের ব্যাথা কমবে ?
আমি - হু কমবে ।
তৎক্ষণাৎ খুব গদ্গদ হয়ে আরদি বলল " মা - তাইলে তোমার হাতে একটু মারিইইইইইইইইইইইইইইইই?"
ততক্ষণে আমার পড়াশুনা লাটে উঠেছে
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।