দুষ্টু ছেলেই তো..... আর কিছু না........ পাগলের পাগল
মূল স্বপ্নে চলে আসি। আমার উদ্ভট স্বপ্নে মাঝেমাঝেই সেলেব্রিটিদের আগমন ঘটে। যেমনটি ছিল প্রথম স্বপ্নে। এবারের স্বপ্নেও একজন সেলেব্রিটির আগমন ঘটেছিল। স্বপ্নে যেমন বাস্তবতার কিছুটা ছোঁয়া থাকে, আমার স্বপ্নেও তা ছিল।
যেদিন আমি স্বপ্নটা দেখি সেদিন ঘুমাতে যাবার আগে কোন এক অজানা কারণে আমার মনে হচ্ছিল যে কানে অনেক ময়লা জমেছে। সেই ময়লা পরিষ্কার করা দরকার। কিন্তু সব সময় দেখা যায় যে আমি কোন কাজে ব্যস্ত হয়ে যাচ্ছি বা অন্য কিছু করছি বা কিছুটা অলসতা করেই আর পরিষ্কার করা হচ্ছেনা। পাঠক হয়তো মনে করছেন যে স্বপ্নের কথা বলতে এসে কেন এসব আজাইরা বক্তব্য পেশ করছি। কিছুক্ষণ পরেই তা উপলব্ধি করতে পারবেন আশা করি।
সে যাই হোক। আমি রাতে যথারীতি ঘুমাতে যাই। স্বপ্নটার শুরুতেই আমি আমার ভার্সিটির ক্যাম্পাস দেখতে পাই। দেখি যে আমি কিছু বন্ধুবান্ধবের সাথে হাঁটছি আমার ক্যাম্পাসে। ওদের সাথে হাঁটতে হাঁটতে আমি আমার ডিপার্টমেণ্ট এ ঢুকি।
ডিপার্টমেণ্টের প্রতিটা অংশ স্বপ্নে দেখেছিলাম। বন্ধুদের সাথে কথা বলতে বলতে আমি আমার ক্লাসরুমে ঢুকে পড়ি। ঢুকে আমি কোনদিকে না তাকিয়ে পিছনের সিটগুলার দিকে আগাতে থাকি যেখানে আমার রেগুলার বসা হয়। হঠাত কোন এক বন্ধুর ডাকে আমি পিছনে ফিরে তাকাই। তখনই আমার চোখ পড়ে সেই সেলেব্রিটির দিকে।
তবুও ভাল যে এবার বিদেশের গণ্ডি পেরিয়ে এসেছি। আমার চোখে পড়ে দেশেরই একজন বিখ্যাত মডেল। উনি আর কেউ নন, @18 খ্যাত শবনম ফারিয়া। উনি আমার দিকে তাকিয়ে মিষ্টি একটা হাসি দিলেন। আমি বরাবরই উনার ফ্যান।
উনার হাসি দেখে বিগলিত হয়ে গেলাম। আরো বেশি আনন্দিত হলাম যখন উনি হাত নেড়ে আমাকে ডাকলেন। আমি মন্ত্রমুগ্ধের মত তার দিকে তাকিয়ে ছিলাম। আস্তে আস্তে হেঁটে আমি তার দিকে গেলাম। সবচেয়ে বড় কথা, উনার ঠোঁটের পাশে তিলটা আমি স্পষ্ট দেখেছিলাম।
উনি আমার নাম ধরে ডাকলেন। বললেন, “ইরফান, আমি গতকাল ইণ্ডিয়া থেকে এসেছি। তোমার জন্য এটা নিয়ে এসেছি। ” বলে আমার হাতের মধ্যে কি যেন একটা গুঁজে দিলেন। আমি তখন দেখার সুযোগ পাইনি।
পরে হাতের মুঠো খুলে দেখলাম যে হাতে একটা কটন বাডের প্যাকেট। উনি কিভাবে জানলেন যে আমার কান পরিষ্কার করা দরকার আর সেজন্য উনি ইণ্ডিয়া থেকে আমার জন্য কটন বাড নিয়ে আসলেন। ব্যাপারটা বিস্ময়ের শেষ মাত্রায় গিয়ে পৌঁছাল আমার জন্য। এরপরে অবশ্য কিছু দেখিনি। আমার তখনই ঘুম ভেঙে গিয়েছিল।
মডেল শবনম ফারিয়া ইণ্ডিয়াতে ঘুরতে গিয়েছিলেন তা তার ফেসবুক স্ট্যাটাস এবং আপলোডকৃত কিছু ছবির মারফত জানতে পেরেছিলাম। পরে তিনি যে ফিরে এসেছেন তা পরের দিন সকালে ফেসবুক খোলার সাথে সাথে জানতে পারি। দিনকে দিন কোন পর্যায়ে যাচ্ছে আমার কল্পনাশক্তি আল্লাহ্ ভাল বলতে পারবেন। তা আবার স্বপ্নেও রূপ নিচ্ছে। সবই উনার খেলা !!!
যারা প্রথম দুটি উদ্ভট স্বপ্নের গল্প পড়েননি তাদের জন্য নিচে লিঙ্ক দিয়ে দিচ্ছি।
উদ্ভট স্বপ্ন ১: Click This Link
উদ্ভট স্বপ্ন ২: Click This Link
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।