সত্য অথবা মিথ্যা দুটোই হতে পারে। বিশ্বাস করা আর না করা আপনার ব্যপার। প্রথম ঘটনা
কিছুদিন ধরে শুনছি যে আমাদের ভার্সিটিতে নতুন কয়েকজন স্যার জয়েন করেছেন। আমাদের ডিপার্টমেন্টের কিন্তু সাবজেক্ট ভিন্ন হউয়াতে তাদের সাথে দেখা হয়নি। মেয়েরা বলছে স্যার গুলো নাকি অনেক সুন্দর শুনতে থাকলাম।
গতকাল ক্লাস শুরুর আগে স্যারদের কমন রুমে যাচ্ছিলাম। ছোট একটা করিডোর পার হয়ে যেতে হয়। আমার সাথে আমার আরও ২টা বান্ধবী ছিল। হটাৎ সামনে দেখলাম ২টা ছেলে দাড়ানো একদম সুটেড-বুটেড। ছেলে ২টাকে পার হয়ে মনে পরলো আরে এরাই কি স্যার নাকি?অবশ্য সন্দেহ ছিল কারন দেখতে একদমই স্যারদের মত না।
চেহারায় একটা ছাত্র ছাত্র সিল মারা। দেখতে শুনতে মাশাল্লাহ।
তখন আমার পাশে দাড়ানো আমার ফ্রেন্ডকে জিগেস করলাম এগুলোই কি নতুন স্যার?দেইখাতো মনে হয় না। বলে পিছনে ফিরেদেখি দুইজনই আমার পিছনে দাড়ানো। মানে তারাও কমন রুমে যাচ্ছিলো।
তাকানোর ধরন দেখে আমি মনে মনে ২বার গলায় ধরি দিয়ে দিছি। তারাতারি চলে আসলাম আর আমার বদের হাড্ডি ২টা ফ্রেন্ড তখন হি হি হি করতেছে।
ভাগ্য ভাল যে এই স্যার কখনও আমাদের ক্লাস নিবে না
দ্বিতীয় ঘটনা
সেদিনেরই ঘটনা। ৩ তলা থেকে নামছিলাম। সিড়ির মাঝামাঝি গিয়ে আমাকে মৌ বলল সাইড হ।
আমি বললাম কেন? ও বলল ম্যাডাম আসতেছে। আমি গাধার মত কিছু না ভেবেই বলে ফেললাম, তো কি হইছে?
বলে খেয়াল হইছে আরে এটা বললাম?পিছনে ফিরে সেই একই ঘটনা। মানে ম্যাডাম সিড়ির মাথায় দাড়ানো। আমি এবার চরম বিরক্ত। আজ আমার সাথে এমন কেন হচ্ছে? আরও যেটা ভয়ের কথা সেটা হল এই ম্যাডামের আন্ডারেই আমাকে ইন্টার্নি করতে হবে।
তবে আশার কথা এই যে মনে হয় তিনি কিছু শুনতে পান নাই
তখনও আমার সেই ২টা ফ্রেন্ড সফলতার সাথে তাদের দাত দেখাচ্ছিল।
অবশেষে আমি সিদ্ধান্তে উপনীত হলাম যে যেদিন কুফা শুরু হয় সারাদিন কুফা পিছনে লেগেই থাকে। সকলের দোয়াপ্রার্থি ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।