ভারত বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে ট্রানজিট সুবিধা পেতে যাচ্ছে আগামী বছরের মার্চের মধ্যেই। এমন আভাস দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর অর্থবিষয় উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান। পাশাপাশী এ কথাও জানিয়ে দিয়েছেন যে, তিস্তা চুক্তির সাথে ট্রানজিটের সম্পর্ক নাই। তাহলে রপ্তানী বাজার সম্প্রসারণ বিষয় তো খবর নাইতে বন্দী ?
প্রতিবেশীকে সর্বচ্চো সুবিধা দেওয়া, কিন্তু দেশের সুবিধার বেলায় হচ্ছে হবেনের মধ্যে ঘুরপাক খাওয়া। এই ক্ষেত্রে বিচক্ষণতার সহিত দ্বৈত পরিচয় প্রকাশ করছেন স্বনামধন্য অর্থ উপদেষ্টা।
ওনার ভূমিকায় প্রকাশ পাচ্ছে যে, মহাজোট সরকার প্রতিবেশী ভারতের সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে চাচ্ছে। পানির খবর নাই বাণিজ্যের নামকা ওয়াস্তে গার্মেন্টসের ৪৬ মালের অনুমতি ! কেন এমন ভূমিকা প্রতিবেশীর হবে ?
আমরাতো ভারতকে ভৌগোলীক রাজনীতিতে সর্ব্বচ্চো সহযোগীতা করতে চাচ্ছি। তাঁর দুর্বল রাজ্যগুলোকে বাণিজ্যিক সুবিধা দেওয়ার চেষ্টা চলচ্ছে বিভিন্ন পথে। বহুকাল ধরে আমাদের নৌ-পথ ব্যবহার করচ্ছে নাম মাত্র খরচায়। পানি দেওয়ার ব্যালায় ভারত বাক্য বিলাসী এবং কর্মে ধ্যানী সন্ন্যাসী।
আমাদের কথিত ভারত বিরোধী রাজনীতি কখন নৌ-পথ ব্যবহারের বিনিময় পানি দাবী করে নাই প্রতিবেশি ভারতের কাছে। অর্থাৎ ওনারা বাক্যে ভারত বিরোধী হলেও কর্মে সহযোগীর পরিচয় প্রকাশ পাচ্ছে। কারণ অভিন্ন নদীগুলোর পানির ন্যায্য ভাগসহ বিশেষ বাণিজ্যিক সুবিধা নিশ্চিৎ করা। বর্তমান মহাজোট সরকারের উচিত কোন পদক্ষেপ নেওয়ার আগে নিজেদের সুযোগ-সুবিধা হিসাব করা।
যদি ভারত সরকার বাংলাদেশকে পানি ও বাণিজ্যিক সুবিধা দিতে অনিহা দেখায় ও বিভিন্ন অশুল্ক বাধার বেড়া-জালে ফেলে।
তাহলে বাংলাদেশেরও উচিৎ হবে ১৯৭২ সালের নৌ প্রটোকল চুক্তি আগামী মার্চে নবায়ন না করা বা সংশোধন করে পরিবেশের ক্ষতিপুরণ সহ মাশুল আরোপের বিষয় নিশ্চিৎ করা। মনে রাখতে হবে ভারত যেমন জগতের এক নম্বর হবে বাংলাদেশও পাঁচ নম্বর। সুতারং লেন-দেন হবে সম্পর্কের মাপকাঠীতে বাক্যে নয়।
পিপলস্ রিপাবলিক অব বাংলাদেশের বর্তমান অর্থ উপদেষ্টার কথায় মনে হয় উনি যেন ভারতিয় ইউনিয়নের উপদেষ্টা এবং ভারতের সর্ব্বোচ্চ সুবিধা নিশ্চিৎ করাই তার একমাত্র কাজ। অথচ সম্মানীসহ সকল সুযোগ সুবিধা নিচ্ছেন আমাদের এই রিপাবলিক থেকে।
তাই পানি ও বাজার আপনি কতটা দেশের জন্য আনতে পারলেন তাহাই বিবেচ্চ্য। নচেত জনগণ ভাববে তাঁদের অর্থে প্রতিপালিত আপনি দিল্লীর অচ্ছুৎ চেলা।
লেখাটি খুলনা জার্নালে পুর্বে প্রকাশিত। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।