কক্সবাজারের টেকনাফ পৌর এলাকার নাইট্যংপাড়া গ্রামে গত শনিবার রাতে পৌর বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে আটজন আহত হয়েছেন।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্র জানায়, এলাকায় প্রভাব বিস্তার নিয়ে পৌর বিএনপির জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি নূরুল ইসলাম ও সহসাংগঠনিক সম্পাদক শাহ আলমের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। এরই সূত্র ধরে শনিবার রাত ১১টার দিকে ওই দুজনের সমর্থকদের মধ্যে বাগিবতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে শাহ আলমের সমর্থক আবদুল হককে মারধর করা হয়। খবর পেয়ে শাহ আলমের সমর্থকেরা লাঠিসোঁটা, রড ও ইটপাটকেল নিয়ে নূরুল ইসলামের বাড়িতে হামলা চালান।
এ সময় দুই পক্ষ পাল্টাপাল্টি ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এতে মহিদা খাতুন (৪২), রহিমা খাতুন (৪৫), কেফায়েত উল্লাহ (১৪), নুর কামাল (৩৪), মোহামঞ্চদ তৈয়ব (৩২), শাহ আলমসহ (৩৫) আটজন আহত হন। এ সময় হামলাকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে নূরুল ইসলাম তাঁর লাইসেন্স করা অস্ত্র নিয়ে দুটি ফাঁকা গুলি ছোড়েন। হামলাকারীরা গুলির শব্দে পিছু হটে যায়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
আহত ব্যক্তিদের টেকনাফ ও কক্সবাজারের বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
নূরুল ইসলাম বলেন, ‘কথা-কাটাকাটির জের ধরে শাহ আলম তাঁর সমর্থকদের নিয়ে আমার বাড়িতে হামলা চালান। এ সময় আত্মরক্ষার্থে আমার বৈধ অস্ত্র দিয়ে দুটি ফাঁকা গুলি করি। ’
অন্যদিকে শাহ আলম বলেন, ‘নূরুল ইসলামের ছেলে নুর কামাল আমার সমর্থক আবদুল হককে মারধর করলে অন্যরা তাতে বাধা দিতে আসেন। এ সময় নূরুল ইসলাম অস্ত্র দিয়ে তাঁদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়েন।
’
টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহামঞ্চদ ফরহাদ বলেন, এ ঘটনায় এখনো পর্যন্ত কেউ অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।