হেফাজতে ইসলামের আমির শাহ আহমদ শফীর নারীবিদ্বেষী বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন দেশের ১৭ জন বিশিষ্ট ব্যক্তি। ‘বাংলাদেশ রুখে দাঁড়াও’-এর পক্ষে আজ শনিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তাঁরা এই প্রতিবাদ জানান।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আহমেদ শফী এক ওয়াজে নারীসমাজ সম্পর্কে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য দিয়েছেন। তাঁর এই বক্তব্য বিকৃত মানসিকতার পরিচায়ক। তিনি পোশাকশিল্পে কর্মরত নারী কর্মীসহ সব কর্মজীবী নারী ও উচ্চশিক্ষারত নারীদের চরম অপমান করেছেন।

বাংলাদেশের সংবিধানে নারী-পুরুষ সম-অধিকারের যে বিধান রয়েছে, তাঁর এ বক্তব্য এর পরিপন্থী।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ‘বাংলাদেশে বিস্ময়কর অর্জনের পেছনে দেশের নারীসমাজের বিপুল অবদান রয়েছে। পোশাকশিল্পে কর্মরত নারীরা দেশের বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের অন্যতম প্রধান কারিগর। শিক্ষা ক্ষেত্রে নারীর বিপুল সংখ্যায় অংশগ্রহণ ও সব ধরনের কর্মক্ষেত্রে নারীর পদচারণ দেশকে আধুনিক রাষ্ট্রে পরিণত করছে। আমরা মনে করি, পবিত্র ধর্মের অপব্যবহার, কুসংস্কার ও রক্ষণশীলতা অতিক্রম করে নারীর ক্ষমতায়ন ও সম-অধিকার মুক্তিযুদ্ধের স্বপ্নের আধুনিক যুক্তিবাদী সমাজ গড়ার প্রধান রক্ষাকবচ।

’
বিজ্ঞপ্তিতে নারীসমাজ সম্পর্কে আহমদ শফীর নেতৃত্বে হেফাজতে ইসলামের এ ধরনের মানসিকতা নারীকে পুনরায় অবরোধবাসিনী ও উন্নয়নমুখী দেশকে মধ্যযুগে প্রত্যাবর্তন করতে উদ্যত হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়। এতে জাতীয় স্বার্থে সব রাজনৈতিক দল, সামাজিক সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানকে এ ধরনের সব অপশক্তিকে তুষ্ট কিংবা লালন করা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে স্বাক্ষরকারী বিশিষ্ট ব্যক্তিরা হলেন ইমেরিটাস অধ্যাপক আনিসুজ্জামান, ইমেরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, আকবর আলি খান, অজয় রায়, কাইয়ুম চৌধুরী, সৈয়দ শামসুল হক, আনোয়ারা সৈয়দ হক, কামাল লোহানী, রামেন্দু মজুমদার, রাশেদা কে চৌধূরী, সারওয়ার আলী, জিয়াউদ্দিন তারেক আলী, রানা দাশগুপ্ত, সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম, আবেদ খান, নাসিমুন আরা হক ও এম এম আকাশ। ।