আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আমার পুত্র

প্রকৃত রাজনৈতিক নেতার অপেক্ষায় আছি... অনেকদিন থেকেই ভাবছি ছেলেটাকে নিয়ে কিছু লিখবো...কি লেখা যায় বুঝতে পারছিলামনা...আজকে কিছু না ভেবেই লিখতে বসলাম। ছেলেটার বয়স গত ০৯ই অক্টোবর ৬ মাস পূর্ণ হলো। ওরে যত দেখি ততই মুগ্ধ হই। এর আগে নিকট আত্নীয় অনেকেরই বাচ্চা দেখেছি। বাচ্চারা সবসময়ই আনন্দের উৎস।

কিন্তু নিজের বাচ্চা যে অন্য যে কোন বাচ্চার চেয়ে আলাদা। ওকে কোলে নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা যাবেনা; হাঁটতে হবে। নইলে সে পা দিয়ে গুতা দিতে থাকে (অনেকটা ঘোড়া যেভাবে দাবড়ানো হয় সেভাবে)। বাইরে নিয়ে গেলে খুব খুশী; মেজাজ খারাপ হলেই বাইরে নিয়ে গেলে সব ঠান্ডা। মুগ্ধ হয়ে সবকিছু দেখতে থাকে।

পরিচিত অপরিচিত সবাইকে দেখলেই একটা হাসি মারে যা দেখে সবাই মুগ্ধ হয়ে যায়। কিছুদিন আগে ওর শরীর খারাপ ছিল। সকালে অফিসে যাবার সময়ই দেখেছি কান্না করছে। বিকাল ৩টার দিকে বউ ফোন দিয়ে বলল ছেলেকে ডাক্তার দেখাতে নিতে হবে। অফিসের কাজ ফেলে রেখে দিলাম দৌড়।

বাসায় গিয়ে শুনি সকাল থেকেই চিৎকার করে কান্না করছে একটানা। বাইরে নেয়া মাত্র শান্তি। ৪০ মিনিট লাগলো ডাক্তারখানায় যেতে। দেড় ঘন্টা অপেক্ষা করে ডাক্তার দেখালাম। পূর্ণ শান্তি; মানুষের সঙ্গে হাসাহাসি; বাচ্চাদের সঙ্গে হাসাহাসি চলল।

মাঝে মাঝে একটু কান্নার ভঙ্গি করে বাইরে নিলেই ঠিক। কত রঙ্গ জানোরে যাদু। মানুষের ঠোঁট দিয়ে যে কত অদ্ভুত ভঙ্গি করা যায় ওরে না দেখলে আমি জানতাম না কখনও। হাসি, কান্না, খেলা, মায়ের সাথে আহ্লাদ, হাত মুখে দেয়ার সময় নানান ধরনের ঠোট ভঙ্গি করে ছেলেটা। ঘুমানোর সময় হাত দুটো মাথার উপরে তোলা থাকে (হ্যান্ডস আপ)।

জোর করে হাত নিচে নামানো যাবেনা। তাইলে ঘুম শেষ এবং যথারীতি চিৎকার। সকালে ঘুম থেকে উঠে এক ঘন্টার মত গলা সাধা (আ আ উ উ করা আরকি)। যদি শরীর ভালো থাকে এবং পেটে ক্ষুধা না থাকে তাহলে এ কর্ম করে থাকে। তখন মা বাবাকে দরকার নেই।

আপন মনে খেলতে থাকে। মোবাইলে ওর ভিডিও করে ওরে দেখালে সেকি খুশী। আয়নায় নিজেকে দেখলেও দারুন খুশী হয়। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।