আমি ব্লগার না। আমি প্রবাসী শ্রমিক। প্রতি ৪৮ ঘণ্টায় ২৬ ঘণ্টা কাজ করি। আমার ঈদ , কোরবান , শুক্রবার , নববর্ষ, পুরানবর্ষ কিছুই নেই। ৩ মাসে ও একবার ব্লগে আসি কিনা সন্দেহ।
ছোট্ট একটি গল্প দিয়ে শুরু করছি।
গত কয়েক বছর আগে আমাদের পাশের গ্রামে একটা গরু চোর ধরা পড়েছিলো। সবার মতো আমি গেলাম চোর দেখতে।
গিয়ে আমি মজা করার জন্য বললাম কই চোর ??
একজন আমাকে দেখিয়ে দিলো অই যে কালো জামা পড়া লোকটা।
আমি বললাম আল্লাহ্ !! চোর যে দেখতে একদম মানুষের মতো।
সবাই হেসে উঠলো।
আজকের কাহিনীটা কিন্তু হাসির না। বুকভরা কষ্ট নিয়ে লিখতে বসলাম।
বিষয় ঃ সমকালের আলোচিত ঘটনা পারসোনা ও পারসোনার ব্যাবস্থাপনা পরিচালক কানিজ আলমাস।
কানিজ আলমাস তো দেখতে কারো মা, কারো খালা, কারো বোনের মত।
আসলে সে কি ??
সে হল সমকালের একটা ঘৃনিত মহিলা, নারী জাতির কলংক। যে কিনা তার গ্রাহকদের ভিডিও চিত্র ধারণ করে।
কেন করে সে প্রশ্নে যাবোনা। প্রশ্ন হল করবে কেন ??
ব্যাংক বলেন আর বাণিজ্যকেন্দ্র বলেন ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা শুধু মাত্র প্রবেশপথ আর ক্যাশকাউন্টার এলাকায় থাকে, এটাই আমরা এতদিন দেখে এসেছি। কিন্তু মহিলাদের সাজঘরে ক্যামেরা এই প্রথম শুনলাম।
এই বিষয়টি নিয়ে সবচেয়ে বেশি কথা বলেছে ব্লগার রা। যারা জাতিকে সচেতন করার জন্য নিঃসার্থ কাজ করে। বাকীরা সবাই চুপচাপ। কারন কানিজ আলমাস তার টাকা ও ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে সবার মুখ বন্ধ করে দিয়েছে। এমনকি অভিযোগকারী মহিলা ও তার স্বামীরও।
প্রশাসনের কাছে কোন প্রমান নেই। তাই এর বিরুদ্ধে তারা কোন ব্যাবস্থা নিতে পারেনি। সময়ের পরিবর্তনে একদিন সবাই চুপ হয়ে যাবে। এমনকি যারা এই ব্যাপারটি নিয়ে সবচেয়ে বেশি কথা বলেছে তারাও। আবারো জমে উঠবে পারসোনা ও কানিজদের অন্ধকার বাণিজ্য।
কিন্তু আমাদের কে মনে রাখতে হবে যুগ যুগ। জেগে থাকতে হবে এমন রাক্ষুসিদের খপ্পর থেকে। না হয় একদিন আমাদের মা,বোনদের ইজ্জতে ও আঘাত হানবে কেউ না কেউ। ছেলেদের জন্য যেহেতু সেলুন আছে সেহেতু মেয়েদের জন্যও পার্লার এর প্রয়োজন। তবে সাবধান।
আসুন আমরা জেগে থাকি, বেঁচে থাকি কানিজদের বিষাক্ত ছোবল থেকে !!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।