আমার এমন কিছু দুঃক্ষ আছে যার নাম... তিলক কামোদ এমন কিছু স্মৃতি যা... সিন্ধু ভৈরবী জয় জয়ন্তীর মত বহু ক্ষত রয়ে গেছে ভিতর দেয়ালে কিছু কিছু অভিমান , ইমন কল্যাণ শরদ বাজাতে জানলে বড় ভালো হত.....!!!!!! আজ ১ লা August বনানীর Archy র দোকান থেকে টয়া ৪ টা মগ কিনল, সাথে একটা photoframe, কিছু গানের সিডি, সবই তার ৪ জন বন্ধুর জন্য। আজকে বন্ধু দিবস তাই কাছের বন্ধুদের জন্যে কিছু না কিছু কিনেছে সে। যাদের জন্য কেনা তাদের দুজনের উপহার সকাল সকাল পৌছে দিল তাদের অফিসে , এখনো তারা অফিছে পৌছায়নি। মনে মনে মজা পেল এই ভেবে যে টয়ার বন্ধুরা অফিসে ঢুকেই অবাক হয়ে যাবে এমন চমৎকার উপহার পেয়ে। বিদেশ থেকে আসা বন্ধুরটিকে উপহার দিতে হবে সবার শেষে কারন তার বাসায় দুপুরে খেতে হবে , এর পর ১৮ বছরের না বলা কথা একবেলায় বলে ফেলতে হবে।
বাকি আছে আরেকটা উপহার এটা দেয়াটাই সবচাইতে কঠিন । কারন যাকে দিবে তাকে সে কখনো দেখেনি ,এই প্রথম দেখা। একবার ভেবেছিলো উপহারটা ছেলেটির অফিসে পৌছে দেয় টয়ার অন্যান্য বন্ধুদের মত , বলেওছিলো সে কথাটা ছেলেটি বলেছে আমি কি রাস্তার ফকির যে উপহার পাঠিয়ে দিতে হবে , টয়া বুঝেছে আসলে তার সাথে দেখা করতে চায় তাই কথাটা ঘুরিয়ে বলছে। কাছাকাছি একটা কফি শপে আসতে বলেছে নতুন বন্ধুটিকে ।
ছেলেটির সাথে পরিচয় চ্যাট রুমে, টয়া চ্যাট করে বহুদিন কিনত্ত কোনদিন কারো সাথে দেখা করবার ইচ্ছা জাগেনি ।
দুজন চ্যাট করছে খুব বেশী দিন নয় তবু ওদের মধ্যে বন্ধুত্ব গরে ওঠে তাড়াতাড়ি । ফোনে কথাও হয়েছে ভালো লেগেছে কথা বলে, মজার সব কথাবার্তা । এই প্রথম দেখা, স্বভাবতই অনেক nurvous টয়া, কফি শপে বসে বসে ঘড়ির দিকে তাকিয়ে আছে, ভাবছে আসলে কি দেখা করাটা কি ঠিক হচ্ছে ? পর মুহূর্তে মনে হচ্ছে অফিসে তো কত লোকের সাথে সারাদিন কথা বলতে হয় , কাজ করতে হয় এই ছেলেটাকে তো আমি চিনি তবে তার সাথে দেখা করতে অসুবিধা কোথায় । এই ভেবেই ছেলেটাকে আসতে বলা। কিনত্ত টয়ার এখন কেমন জানি লাগছে , মনে হচ্ছে কাজটা ঠিক হলো না, চলে যেতে ইচ্ছা করছে আবার দেখা না করে চলে গেলে কি ভাববে ?
ঘড়ির কাটা টিক টিক করছে টয়ার হৃদকম্পন বেড়েই চলেছে ,
একবার ভাবলো যাই ফ্রেশ রুম থেকে ঘুরে আসি তাতে যদি হাটু কাপাকাপি একটু কমে।
ফ্রেশ রুম থেকে বেরিয়েই দেখলো জনাব হাজির । লম্বা কালো ইয়া মোটা একজন মানুষ, চোখে সবুজ রংয়ের লেন্স । দেখে মনেই হলো না এই প্রথম দেখা । মনে হলো টোকনের সাথে টয়া র এর আগেও অনেকবার দেখা হয়েছিল । এত কাছের কেউ একজন ।
টয়ার হাতে উপহার দেখে টোকোন একটু অবাক হলো , হালকা কিছু কথা বার্তা এক কাপ কফি খাওয়া, টোকোন টয়ার জন্য একমুঠো ফুল এনেছিলো । টয়া জিগেশ করে বসলো তোমার চোখের মনি কি সবুজ ? টোকোন হেসে বললো ধুর বোকা এটা তো contact lense. টয়া মনে মনে বললো পৃথিবীতে আর কোন রং ছিলনা এমন বিদঘুটে ক্ষ্যেত মার্কা রংয়ের contact lense পরতে কে বলেছে ?। কিনত্ত প্রথম দিনে কি এসব বলা যায়? আহামরি তেমন কোন কথা হয়নি ওদের মাঝে কিনত্ত একটা ভালো লাগার আবেশ ছিলো । সেই থেকে শুরু টয়া আর টোকোনের কাহিনী।
আর দশটা প্রেম কিংবা বিরহের গল্পের মত হতে পারতো কিনত্ত সেটা হয়নি ; কেন হলো না কোথায় এসে সব গল্প থেমে গিয়েছিলো সেটা জানা যাবে ধীরে ধীরে পরবর্তী পর্বে ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।