কাজী কাইসার হামিদ (মেহরাজ) বাংলাদেশের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুর্যোগ গবেষণা বিষয়ক কেন্দ্রের প্রধান এ. কিউ. এম. মাহবুব জানিয়েছেন, বঙ্গোপসাগরে মৌসুমি ঝড়ের হার বৃদ্ধি পাওয়ার পেছনে দায়ী বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তন৷ তিনি জানান, বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির ফলে সামুদ্রিক এলাকার তাপমাত্রা বাড়ছে যা বায়ুমন্ডলের স্বাভাবিক আচরণে পরিবর্তন আনছে৷ ২০৩০ সালের মধ্যে বঙ্গোপসাগরের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে ১ দশমিক ৩ সেন্টিগ্রেড বাড়বে বলেও মত তাঁর৷ এই ঝুঁকির মুখে রয়েছে শুধু কক্সবাজারেরই ১ লাখ জেলেএই ঝুঁকির মুখে রয়েছে শুধু কক্সবাজারেরই ১ লাখ জেলে বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ১৯৯১ থেকে ২০০০ সালের মধ্যে বঙ্গোপসাগরে ২০টি নিম্নচাপ সৃষ্টি হয় যেগুলোর মধ্যে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়েছিল ১২টি৷ অথচ ২০০১ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত বঙ্গোপসাগরে ৩৯টি নিম্নচাপের সৃষ্টি হয় যেগুলোর মধ্যে ঘূর্ণিঝড়ের পরিণত হয় ৬টি৷ আবহাওয়া অধিদপ্তরের কর্মকর্তা মোহাম্মদ রাশেদুজ্জামান জানান, ২০০৯ সালকে এখনই সবচেয়ে দুর্যোগপূর্ণ বছর হিসেবে গণ্য করা হচ্ছে৷ কারণ এই বছরই বঙ্গোপসাগরে ৯টি নিম্নচাপ সৃষ্ট হয় যার মধ্যে দুইটি প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেয়৷ বঙ্গোপসাগরের এই পরিবর্তনের ফলে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সমুদ্রের জেলেরা৷ বিরূপ আবহাওয়ার কারণে অনেক সময় মাছ ধরার ট্রলারগুলো যাত্রা বাতিল করে৷ ফলে জেলেদের ঘরে ফিরতে হয় খালি হাতে৷ এমনকি পরিবেশের হঠাৎ পরিবর্তনের ফলে সৃষ্ট ঝড়-বৃষ্টিতে কোন জেলে সমুদ্র মারা পড়লে তার পরিবার কিছুই পায়না৷ ফলে জেলেদের জীবনের ঝুঁকি যেভাবে বেড়ে চলেছে, সেভাবেই কমছে কাজের সুযোগ৷ আর এই ঝুঁকির মুখে রয়েছে শুধু কক্সবাজারেরই ১ লাখ জেলে৷ শুধু তাই নয়, ইতিমধ্যেই অনেক জেলে নাকি বদলাতে শুরু করেছে তাদের পেশা৷ কেউবা বেছে নিচ্ছে দিনমজুরের কাজ আবার কেউবা চালাচ্ছে রিকশা৷ আর তাদের পরিবারগুলো সামিল হচ্ছে জলবায়ু উদ্বাস্তুর তালিকায়৷
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।