আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

স্বপ্ন যখন একজন উড়োজাহাজ ইঞ্জিনিয়ার

ছোট বেলা থেকেই প্রত্যেক ছাত্র ছাত্রীর মনের জানালায় বিভিন্ন স্বপ্ন উঁকি দেয়। কেউ হতে চায় ডাক্তার, কেউ ইঞ্জিনিয়ার, কেউ লেকচারার, কেউ আইনজীবী, আবার কেউ ব্যবসায়ী; এভাবে সবার মনে স্বপ্ন পরম স্নেহে লালিত হতে থাকে। ক্রমান্ব্য়ে লেখাপড়া চালিয়ে যাওয়া। এই লক্ষ্য বাস্তবায়নের একমাত্র উপযুক্ত সময় হচ্ছে এইচএসসি পরীক্ষার পাসের পরের সময়গুলো। বিগত দিনগুলোতে পড়ালেখার স্টাইল ছিল একরকম।

শুধুমাত্র প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা শেষ করে চাকুরী পাওয়াটা ছিল খুব একটা সহজ কাজ। দিন বদলের সাথে সাথে প্রযুক্তির মাঝে এসেছে ভীষন পরিবর্তন, আধুনিকতার ছোঁয়া। আর এই ছোঁয়া লেগেছে আধুনিক ও স্মার্ট প্রফেশনাল বিষয় পরিবর্তনের গতানুগতিক শিক্ষার ধারা। যে সকল বিষয় নিয়ে পড়ালেখা শেষ করে বের হতে না হতেই রয়েছে চাকুরী পাওয়ার শতভাগ নিশ্চয়তা। মানুষ চায় আধুনিকতা ও বিচিত্রতার ছোঁয়া যা রয়েছে ক্যারিয়ারের সাথে জড়িত।

তাই এমনই কিছু যুগোপযোগী ক্যারিয়ার যা আপনাকে গড়ে দিবে আগামী ভবিষ্যত। অনেকেই স্বপ্ন দেখে এয়ারলাইন্সে এসে চাকরি করার, তাদের ক্যারিয়ার গড়ার। কিন্তু এর জন্যে কী করতে হবে তা অনেকেরই জানা নেই। এভিয়েশন সেক্টরের স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কোথায় সে সম্পর্কেও অনেকের স্বচ্ছ ধারণা নেই। এসব বিষয়ে ক্যারিয়ার গড়তে হলে কী বিষয়ে ডিগ্রি নিয়ে কিভাবে এগোতে হবে তাও জানে না।

অথচ এভিয়েশনে চাকরির জন্যে এসব বিষয়ে অভিজ্ঞ ও দক্ষ প্রতিষ্ঠান খুঁজে বের করা দরকার। আর এভিয়েশন খাতের এয়ারলাইন্স ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ক্যারিয়ার গড়ার জন্যে একটি সময়োপযোগী বিষয় এরোস্পেস ইঞ্জিনিয়ারিং মানে উড়োজাহাজ ইঞ্জিনিয়ার । উড়োজাহাজ ইঞ্জিনিয়ার কী : বিমানবন্দরে থাকাকালীন বিমানের দায়িত্বে থাকেন বিমান প্রকৌশলীদের। আকাশে ওড়ার আগ পর্যন্ত বিমানের রক্ষণাবেক্ষণ ও কোথাও কোনো সমস্যা হলে বিমান পরিচর্যা করতে হয় তাদের। আকাশে পাড়ি দেওয়ার আগে বিমান পরীক্ষা ও সব বিষয়ে নিশ্চিন্ত হয়ে ছাড়ার আগে ফাইনাল ইনস্পেকশন করেন বিমান প্রকৌশলীরা।

বিমান প্রকৌশলীতে পড়াশোনা করে ক্যারিয়ার শুরু করতে পারেন অ্যারোস্পেস ইঞ্জিনিয়ার, কম্পিউটেশনাল ফ্লাইড ডাইনামিক ইঞ্জিনিয়ার, কম্পিউটেশনাল ফ্লাইড ডাইনামিক ইঞ্জিনিয়ার, অ্যারোস্পেস ডিজাইন ইঞ্জিনিয়ার, অ্যারোস্পেস ম্যামেটিয়্যাল প্রভৃতি পদে চাকরি করতে গেলে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্পেশালাইজড অ্যারোনটিক্যাল কোর্সে পড়াশোনা করতে হবে। চাকরি হবে যেখানে: এভিয়েশন ইন্ডাস্ট্রির লোভনীয় এই পেশায় জাতীয় বিমান সংস্থাসহ দেশি বিদেশি বিভিন্ন এয়ালাইন্সে অনেক শূন্য পদ রয়েছে। শুধু সৃজনশীল কাজের যোগ্যতা প্রমাণ করলেই আপনার জন্য রয়েছে চাকরির সুযোগ। প্রাথমিক অবস্থায় আপনি যেকোনো প্রতিষ্ঠানেই ২৫ থেকে ৪০ হাজার টাকা বেতনে নিজেকে নিয়োজিত করতে সক্ষম হবেন। ক্রমে অভিজ্ঞতা অর্জন এবং শিক্ষাজীবন সমাপ্ত করার পর বেতন কাঠামো ৬০-৯০ হাজার টাকা হবে।

একজন দক্ষ এরোস্পেস ইঞ্জিনিয়ারের বেতন ৫-৬ বছরে ২ লক্ষ টাকা ছাড়িয়ে যায়। কোথায় ভর্তি হবেন : একটা সময় অ্যারোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়াশোনার জন্য আমাদের ছেলে-মেয়েদের বিদেশে যেতে হতো। এখন আমাদের দেশেই অ্যারোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি অর্জন করা সম্ভব। বাংলাদেশ সরকারের কারিগরি শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক অনুমোদন নিয়ে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ইঞ্জিনিয়ারিং টেকনোলজি ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স পরিচালনা করছে। ৪ বছর মেয়াদি ৮ সেমি ডিপ্লোমা ইন মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং ভর্তিযোগ্য এসএসসি/সমমান ন্যূনতম জিপিএ ২.৫০ পাসকৃত ছাত্র/ছাত্রী ভর্তি হতে পারবে।

এ ছাড়া টেক্সটাইল, সিভিল, ইলেকট্রিক্যাল ইলেকট্রোনিক্স ও মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ভর্তির সুযোগ রয়েছে। আরও বিস্তারিত জানার জন্য যোগাযোগ করুন :ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ইঞ্জিনিয়ারিং টেকনোলজি (এনআইইটি) , ফোন :০১৯৭১২২০০৯৯, ৮১৮৯৬৩৭। এছাড়াও, আরেকটি স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান হল অ্যারোনটিক্যাল কলেজ অব বাংলাদেশ (এসিবি)। এসিবি চালু করেছে ৪ বছর মেয়াদি ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং ও মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, টেলিকমিনেকেশন কোর্স। এসিবির প্রতিটি বিষয়ে পড়াশোনা করবে বাংলাদেশ আর সার্টিফিকেট পাবে এডেক্সেলের বিদেশি ডিগ্রি।

এ ছাড়া যেসকল শিক্ষার্থী বিদেশে ক্রেডিট ট্রান্সফার করে ক্যারিয়ার গড়তে চান তাদের জন্য এসিবির রয়েছে বিশেষ সুযোগ। এখানে যেকোনো বিষয় ১৮ মাস পড়াশোনা করে সে বিষয়ে উচ্চতর ডিগ্রি অর্জনের জন্য বিশ্বের যেকোনো বিশ্ববিদ্যালয় ক্রেডিট ট্রান্সফারের সুবিধা রয়েছে। এখান থেকে ক্রেডিট ট্রান্সফার করে আপনি হতে পারেন একজন বিদেশি ডিগ্রিধারী। এসিবিতে যে কোনো বিষয়ে ভর্তির শিক্ষাগত যোগ্যতা গণিত ও পদার্থবিদ্যাসহ বিজ্ঞানে এইচএসসি অথবা সমমান পরীক্ষায় পাশ। যারা গণিত ও পদার্থবিদ্যাসহ বিজ্ঞানে এইচএসসি অথবা সমমান পরীক্ষায় ভাল ফলাফল করেছেন তারা অ্যারোনটিক্যাল কলেজ অব বাংলাদেশ (এসিবি) এ ৪ বছর মেয়াদী বি এসসি ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সে এখনই ভর্তি হতে পারেন।

অ্যারোনটিক্যাল কলেজ অব বাংলাদেশ (এসিবি), ক্যাম্পাস, বাড়ি নং-৩৮, রোড নং-২০, সেক্টর নং-১১, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা| ফোন: ০১১৯১৭৯১৭৮০, ০১৯২৯৩৪০৬৩৬, ৮৯৯১২৪০ সরকার অনুমোদিত, এডেক্সেলের ও আইএ’র অধীনে কলেজ অব এভিয়েশন টেকনোলজি ৪ বছর মেয়াদী স্নাতক ডিগ্রি পরিচালনা করছে। এখানে মূলত দুইটি কোর্সে ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি করে থাকে। বিএসসি ইন এরোস্পেস ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষা প্রদান করা হয়ে থাকে। এই কোর্সে আসন সংখ্যা রয়েছে ৩০টি। অন্য একটি কোর্স হিসেবে বিবিএ ইন এভিয়েশন ম্যানেজমেন্ট শিক্ষা প্রদান করা হয়ে থাকে।

এই কোর্সে আসন সংখ্যা রয়েছে মাত্র ৩০টি। এসব বিষয়ে শিক্ষা দেবার জন্যে রয়েছেন ২৬ জনেরও বেশি শিক্ষক, যারা এয়ারলাইন্সের বিভিন্ন বিষয়ে বিশেষভাবে দক্ষ এবং অনেকেই এই সেক্টরের অবসর প্রাপ্ত কর্মকর্তা। ক্যাটেক বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের প্রথম অনুমোদিত এভিয়েশন ইনস্টিটিউট যার কলেজ কোড ৫০৩৮৯। এই কোর্সগুলোতে গ্রুমিং; এয়ারক্র্যাফট সেভটি; প্যাসেঞ্জার হেন্ডেলিং; কার্গো হেন্ডেলিং ছাড়াও আরও অনেক ইন্টারেস্টিং বিষয় পড়ানো হয়। বিগত বিভিন্ন ব্যাচের কোর্স সমাপ্তকৃতদের প্রায় সবাই এখন বিভিন্ন এয়ারলাইন্সে কর্মরত।

যোগাযোগ :০১৭১৭৭১৯৬৩৩, ০১৯৩৭১৮২৪৭০। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.