আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সরকার কে চালায়? বিমানবাহিনীর আপত্তির মানে কি?

সরকার কে চালায়? বিমানবাহিনীর আপত্তির কারণে প্রস্তাবিত মেট্রোরেল অনিশ্চিত। তারা রুট বদলাতে বলছে। মেট্রোরেল প্রকল্প বাধাগ্রস্ত হওয়ায় মনে হচ্ছে অন্য কোন ধান্দা আছে। কুয়ালালামপুর মেট্ররেল। শুধু উচ্চতার যুক্তিই কি বিমানবাহিনী দিয়েছে? তাহলে বিমানবন্দরের ওয়াল লাগোয়া আকাশছোঁয়া বিলবোর্ড যেগুলো নভোথিয়েটারের সুন্দর ভিউটাকে বিশ্রীভাবে ঢেকে দিয়েছে সেগুলো কি তাদের সমস্যা করছে না? কয়েকটা বিলবোর্ডের খাম্বা বিমানবন্দরের নিরাপত্তা দেয়ালের ভেতরে।

(বিলবোর্ডের বিল কার কাছে জমা হয়?) একটি মেট্ররেল ষ্টেশন। বিমানবন্দরের একদম কোলঘেঁসে জাহাংগীর গেটে ট্রাষ্ট ব্যাঙ্কের বহুতল কমার্শিয়াল ভবন, যেটা Ranks ভবনের চেয়েও উচু। এটা নিয়ে তো কেউ কিছু বলছেনা। হাদিয়ার ব্যাপার জরিত তো ! নভথিয়েটারের ভিউ বিলবোর্ডে ঢাকা পড়া নভথিয়েটারের ভিউ এই শতফুট উচু বিলবোর্ডে ঢাকা পরেছে। তারা কিসের ভিত্তিতে এত বড় একটি জনস্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ভিন্নমত দিল? নভোথিয়েটারের চেয়ে কম উচ্চতার মেট্রো রেলপথ নিয়ে আপত্তি বিমানবাহিনীর।

শুধু এ রকম বক্তব্য অস্পষ্ট এবং অগ্রহনযোগ্য। এর আগে স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন বাংলাভিশনের এক আলোচনায় সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের জন্য নির্দিষ্টভাবে বিমানবাহিনীর প্রধানকে দায়ী করেছেন। বিমানবাহিনীর আপত্তির যে কারণ আমাদের নজরে এ পর্যন্ত এসেছে, তা অস্পষ্ট। তবে যদি উচ্চতাজনিত কারণই একমাত্র হয়ে থাকে, তবে আমাদের বুয়েটসহ সংশ্লিষ্ট সুপরিচিত বিশেষজ্ঞরা সর্বসম্মতভাবে তা নাকচ করে দিয়েছেন। ষাটের দশকে জমি-সংকটে ভুগতে থাকা সিঙ্গাপুরের সংসদ মাস রেপিড ট্রানজিট বা এমআরটি পরিকল্পনা করেছিল।

প্রস্তাবিত মেট্রোরেলে ঘণ্টায় ৬০ হাজার যাত্রী পরিবহন করা সম্ভব হবে। সিঙ্গাপুরের এমআরটি এখন ৭৯ স্টেশনের মাধ্যমে ১২৯ কিলোমিটার বিস্তৃত, আর এটা প্রতিদিন গড়ে যাত্রী পরিবহন করে ১০ লাখের বেশি। সিঙ্গাপুরের দূরদর্শী রাজনীতিকেরা যথাসময়ে পরিকল্পনা করতে পেরেছেন বলেই সিঙ্গাপুর আজ সিঙ্গাপুর হতে পেরেছে। সারা দুনিয়ার রীতি, রাজধানী থেকে বহুদূরে থাকে বিমানবন্দর ও ক্যান্টনমেন্ট। এই ডিজিটাল যুগে তাহলে আমরা ব্যতিক্রম থাকি কেন? হয়তো সব অনিয়মই বজায় থাকবে, বিমান চলাচলের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ ২৬১টি দালান ঠায় টিকে যাবে, আমরা কোনো পরিকল্পিত নগরায়ণ দেখব না।

বিমানবাহিনীর উচিত, তাদের আপত্তির কারণগুলো জনসমক্ষে প্রকাশ করা। শুধু বিমানবাহিনী বা সামরিক বাহিনী আপত্তি করেছে বলেই সিদ্ধান্ত বদলানোর ধারণা জনমনে সৃষ্টি হতে দেওয়া গণতন্ত্র ও সুশাসনের জন্য ক্ষতিকর। সাধারণ মানুষ সরল অঙ্ক করবে, কে বড়—সংসদ, না ক্যান্টনমেন্ট? তাই কায়মনোবাক্যে প্রার্থনা, গণমুখী মেট্রোরেল পরিকল্পনা যেন অহেতুক বাধাগ্রস্ত না হয়। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.