Student : B.Sc in EEE নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার নিঝুমদ্বীপে চাঁদা চাওয়ায় নামার বাজার তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ এসআই নজরুল ইসলামকে আটক করে গণপিটুনি দিয়েছে স্থানীয় মাছ ব্যবসায়ী ও এলাকাবাসী। গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৮টায় দ্বীপের নামার বাজারের ইব্রাহীম পার্টি নামে এক মাছ ব্যবসায়ীর দোকানে এ ঘটনা ঘটে। পরে ভিক্ষুব্ধ জনতা নজরুল ইসলামকে বেঁধে রেখে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) খবর দেয়। এ ঘটনায় মাছ ব্যবসায়ী আবুল হোসেন (২৬) ও হেলাল মাঝি (২৮) আহত হয়েছে। পরে এলাকাবাসী চাঁদাবাজ এসআই নজরুল ইসলামের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করে।
নিঝুমদ্বীপ নামার বাজারের মাছ ব্যবসায়ী, ইব্রাহীম পার্টি, আব্দুল আলী পার্টি, হাবিব উল্যাহ ডালি, দুদুমিয়া গাজিসহ উপস্থিত এলাকাবাসী জানান, দীর্ঘদিন ধরে পুলিশের প্রভাব খাটিয়ে নানা অপকর্ম চালিয়ে আসছেন নিঝুমদ্বীপ নামার বাজার পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের উপ-পরিদর্শক নজরুল ইসলাম। তিনি স্থানীয় মাছ ব্যবসায়ী ও নৌকার মাঝিদের কাছ থেকে মোটা অংকের চাঁদা ও মাছ আদায় করতেন। দাবিকৃত চাঁদা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে নির্যাতনের শিকার হন তারা। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল মঙ্গলবার সকাল অনুমান ৮টায় স্থানীয় ইব্রাহীম পার্টির মাছের কোল্ড স্টোর থেকে চাঁদা বাবদ মাছ দাবি করেন। পরে সে মাছ দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে ইব্রাহীম পার্টির ছোট ভাই আবুল হোসেনকে মারধর করে তার দোকানের ক্যাশ বাক্স ভেঙে টাকা নেন।
বিষয়টি জানাজানি হলে পার্শ্ববর্তী মাছ ব্যবসায়ী ও মাঝিরা একত্রিত হলে তাদের সাথেও একই আচরণ করেন নজরুল। পরে উত্তেজিত লোকজন এসে এসআই নজরুল ইসলামকে বেঁধে মারধর করে একটি ঘরে আটকে রাখে। প্রায় ৬ ঘন্টা পর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার অনুরোধে নজরুলের কাছ থেকে স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নিয়ে তাকে ছেড়ে দেয় এলাকাবাসী।
চাঁদপুর থেকে আসা মাছ ব্যবসায়ী দুদু মিয়া গাজি বলেন, ৬ অক্টোবর থেকে মাছ ধরা নিষেধ হলেও সোমবার রাতে এসআই নজরুল ইসলাম বাজারের মাছ ব্যবসায়ীদের নদীতে মাছ ধরতে নিষেধ করেন। কেউ মাছ ধরলে তাকে ১০ হাজার টাকা দিতে হবে বলেও তিনি হুমকি দেন।
একই এলাকার জেলে শামিম মাঝি (২৫), আবুল কাশেম মাঝি (৪০), সোহরাব মাঝি (৩৫), কামাল মাঝি (২৫), কেফায়েত মাঝি (২৫), আবুল হোসেন ওরফে ভেনু মাঝিসহ বহু মাঝি অভিযোগ করে বলেন, এআই নজরুল বিভিন্ন সময় তাদের থেকে ২০-৩০ হাজার টাকা করে চাঁদা আদায় করতেন। চাঁদা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে গাল মন্দসহ বিভিন্নভাবে হয়রানি করতেন।
এব্যাপারে এসআই নজরুল ইসলাম বলেন, এলাকাবাসীর আনীত অভিযোগ মিথ্যা। সোমবার আমি ৪টি মাছ ইব্রাহীম পার্টির দোকানে বরফ দিয়ে রেখেছি। সেই মাছ চাওয়ায় তারা আমাকে বেঁধে ব্যাপক মারধর করে।
চাঁদাবাজি ও অন্যান্য অভিযোগ সম্পর্কে তিনি বলেন, আপনারা তা তদন্ত করে দেখেন। এব্যাপারে হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুভাষ চন্দ্র পাল বলেন, তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেয়া হবে। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।