মন্তব্য নেই "আমার ডাক নাম নিশু। নিশি থেকে নিশু। নিশি মানে রাত। আমার জন্ম যদি রাতের বেলা হতো তাহলে এই নামটা মানাতো। কিন্তু আম্মুর কাছে শুনেছি আমার জন্ম হয়েছে সন্ধ্যা বেলা।
মাঘরিবের আযানের সময়। তাই নিশি নাম না রেখে সন্ধি নামটা রাখলেও হত। আমার নামটা কে রেখেছে জানিনা। জানলে আমি অবশ্যই তাকে নিশি নাম রাখার কারন জিজ্ঞাসা করতাম। তবে আঠার বছর হতে হতে নিশি নামটা কেমনে কেমনে জানি নিশু হয়ে গেছে।
এখন কেউ আমাকে নিশি নামে চেনেনা। সবাই নিশু নামেই চেনে। আজিব না? আজকে আব্বু আমাকে এই ডায়েরীটা দিয়েছে। ডায়রীটা বেগুনি রঙের। খুব সুন্দর।
আমার ডায়রী লেখার অভ্যাস নেই। কিন্তনু আমি ঠিক করেছি এই ডায়রীতে আমি সব ঘটনা লিখে রাখব। আমার ধৈর্য অনেক কম। তারপরেও দেখি কতটুকু লিখতে পারি....................."
এইটুকু লিখেই নিশি থামল। কারন ওর স্যার এসেছে ফিজিক্স পড়াতে।
নিশি লেখা বন্ধ করে উঠে গেল।
কলেজে ওঠার পর নিশির অনেক বন্ধু হয়েছে। স্মৃতি, শ্যামা, রাখি, মিশু এরা সবচেয়ে কাছের বান্ধবী। নিশিরা গার্লস স্কুলে পরত তাই ছেলে বন্ধু ছিলনা বললেই চলে। কিন্তু কলেজে ওঠার পর স্মৃতি, রাখিয়ার মিশু বয়ফ্রেন্ড পাতায় ফেলছে।
অরা সবাই নিশিদের সাথেই পড়ে। সবাই একসাথে থাকে তাই রিয়ন, সাগর, রাতুল এরা সবাই ওর অনেক ভাল বন্ধু হয়ে গেছে। আর নিশি এম্নিতেও অনেক মিশুক। ওর কোথাও বন্ধুর অভাব নাই। ওদের মধ্যে সাগর শুধু বাইরে থাকে।
সাগর,নিশু আর রাখি একসাথে কেজি স্কুলে পড়তো। তাই সাগরের সাথে আগে থেকেই ভাল বন্ধুত্ব আছে। ছেলেদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি কাছের বন্ধু হল রিয়ন আর সাগর। নিশির ধারনা দুজনেই খুব ভাল ছেলে।
নিশির আরেকটা বন্ধু আছে।
একই জায়গায় থাকে কিন্তু অনলাইনে পরিচয়। অনলাইনেই বন্ধুত্ব। ওর নাম ধ্রুব। ধ্রুব রিয়নের কাছের বন্ধু। ধ্রুবের সাথে নিশির সবচেয়ে বেশি ঝগড়া লাগে।
পরে আবার ঠিক হয়ে যায়। দেখা হয় খুব কম। কিন্তু অনলাইনে যখন ঝগড়া লাগে তখন মারামারি হয়ে যাবার মত অবস্থা হয়। প্রতিবার ঝগড়ার পর নিশি রিয়নের কাছে এসে রাগ ঝাড়ে। ,"তোর ধ্রুব আমার জীবন বরবাদ করে দিল।
বদমাইশ,জানোয়ার,ইতর সে নিজেকে কি মনে করে? মহামানব!!!...... "
"তোদের নিয়ে আর পারা গেল না। ওর কাছে গেলে ওই তোর নামে ঝাড়ে, তোর কাছে আসলে তুই ওর নামে ঝাড়িস। ওই এক পাগল আর তুই হল আরেক পাগলি। "
"আবার কথা কয়? একটা কথা বলবিনা। তুই চুপ করে থাক।
"
কিছুদিন পরেই আবার সব ঠিক হয়ে যায়। তখন আবার দুজনে চ্যাট করে। নিশি সবচেয়ে বেশি কথা শেয়ার করে এই ধ্রুবের সাথে। ধ্রুবের সাথে গল্প করে আরাম পাওয়া যায়। চুপচাপ কথা শোনে।
সুন্দর সুন্দর সাজেশানও দেয়। নিশির সবচেয়ে বেশি কথা বলতে ভাল লাগে ধ্রুবের সাথে। অন্য কারো সাথে অনেকক্ষন কথা বলা যায়না। বোরিং লাগে। কিন্তু ধ্রুবের সাথে কথা বলতে কখন বোরিং লাগে না।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।